অদ্ভুত ইসলাম। অদ্ভুত ইসলামের বিধান।
কোন মহিলাকে বিয়ে করার পর তার সাথে যৌন সম্পর্ক করার আগেই যদি ওই মহিলাকে তালাক দেয়া হয় তবে সেই মহিলার মেয়েকে বিয়ে করা জায়েজ।এর মানে মা ও মেয়ে ২ দুজনকেই বিয়ে করা জায়েজ ইসলামে।
তার জন্য আল্লাহ আবার পবিত্র কুরানে আয়াত নাজিল করলেন
➤➤সুরা নিসা,আয়াত ২৩
২৩. তোমাদের জন্যে (বিয়ে করা) হারাম করা হলো:
তোমাদের মা, কন্যা, বোন, ফুফু, খালা, ভাইয়ের মেয়ে,
বোনের মেয়ে, দুধ-মা, দুধ বোন, শাশুড়ী। আর তোমাদের
স্ত্রীদের যাদের সাথে তোমরা সহবাস করেছো তাদের
পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত কন্যা, যারা তোমাদের
অভিভাবকত্বে আছে। তবে যে স্ত্রীর সাথে সহবাস
করোনি (অর্থাৎ সহবাস করার পূর্বেই যাদের তালাক
দিয়েছো) তাদের পূর্ব স্বামীর ঔরসজাত
কন্যাকে বিয়ে করতে বাধা নেই। এছাড়া তোমাদের
জন্যে হারাম তোমাদের ঔরসজাত পুত্রের (তালাক
দেয়া) স্ত্রী। হারাম দুই বোনকে একত্রে বিবাহাধীন
করা, তবে পূর্বে (জাহেলি যুগে) যা হবার হয়েছে।
নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পরম ক্ষমাশীল, পরম দয়াবান।
এখন ওই মহিলার সাথে যৌন কাজ হয় নি এটা কীভাবে নিশ্চিত হওয়া যাবে?
যৌন কাজ করার পরেও কেউ যদি বলে সে যৌন কাজ করে নি তবে কীভাবে যৌন কাজ সংঘটিত হবার প্রমান করা হবে?
আবার উক্ত মহিলাকে তালাক দিয়ে ওই মহিলার গর্ভজাত আপনা মেয়েকে বিয়ে করা যাবে।
যৌন কাজ না হলেও বিয়ের মাধ্যমে মেয়েটি পুরুষটির সৎ কন্যা হিসেবে বিবেচিত হবে।
তাহলে দেখা যাচ্ছে সৎ মেয়েকে বিয়ে জায়েজ যদি মেয়ের মাকে তালাক দেয়া হয়।
এসব অজাচার বা মা-মেয়েকে বিয়ে করার মত জঘন্য নিয়ম বা বিধান কীভাবে সৃষ্টিকর্তা নাজিল করতে পারেন?