হিন্দুধর্ম নারীদেরকে শস্যক্ষেত্র বানিয়ে ইচ্ছা মত চাষ করতে বলে না।

সনাতন হিন্দু ধর্ম এমন একটা ধৰ্ম যেটা ইসলাম ধর্মের মতো বিশেষ কোন সম্প্রদায়ের মানে নিজস্ব সম্প্রদায়ের মঙ্গল কামনার জন্য প্রার্থনা করে না, বরং পৃথিবীর সমস্ত ধর্মের মানুষের মঙ্গল কামনার জন্য প্রার্থনা করে। সনাতন ধর্মে কখনো বলা হয় না যে, হিন্দুদের এটা ওটা করা উচিত বরং সমস্ত কিছু মানুষের মঙ্গলের উদ্দেশ্যে বলা হয়ে থাকে। সনাতন হিন্দু ধর্মে অপর ধর্মের মানুষকে বিধর্মী আখ্যা দিয়ে কতল করতে বলে না। নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মতো হিন্দুধর্ম নারীদেরকে শস্যক্ষেত্র বানিয়ে ইচ্ছা মত চাষ করতে বলে না। বিধর্মী নারীদের দাসী বানিয়ে ধর্ষণ করতে বলে না। জিহাদের কোন কনসেপ্ট হিন্দুধর্মে নেই। এই বিষয়টি যারা বুঝে নেন তাঁরা সনাতন হিন্দুধর্মে ফিরে আসছেন, আবার অনেকে সনাতন সংস্কৃতিকে স্বীকার করে নিচ্ছেন। ইউরোপ, আমেরিকার মানুষের লাইফ স্টাইলকে সব থেকে উন্নত লাইফ স্টাইল বলে দাবি করা হয়। তবে এই মর্ডান লাইফ স্টাইল দেখা ব্যক্তির শান্তির জন্য ইউরোপে ইউরোপীয়রা ভারতীয় হিন্দু মন্ত্র শিখতে শুরু করেছেন, ভারতীয় যোগ ব্যায়াম শিখছেন, স্কুল,কলেজে বৈদিক সাহিত্য মহাভারত, রামায়ণ পড়ানো হচ্ছে সগৌরবে। উচ্চতর দর্শন হিসাবে গীতাও পড়ানো হচ্ছে। অতিসম্প্রতি নেদারল্যান্ডের অতি উচ্চ শিক্ষিত মানুষ জন একটা চার্চকে দুর্গামন্দির করে নিয়েছেন।

কয়েকদিন আগেই বিশ্ববিখ্যাত হলিউডের মেগাস্টার উইল স্মিথ ভারতে এসেছিলেন এবং এসেই উনি উত্তরখন্ড এ পৌঁছে গেছিলেন। সেখানে উনি হরিদ্বারে সনাতনের বহু বিধি পালন করেছেন এছাড়াও উনি গঙ্গা আরতি করেছেন। গঙ্গার বিধিগত পূজা করেছেন এবং শ্রদ্ধার সহিত সমস্ত নিয়ম পালন করেছেন। স্মিথ ব্যক্তি জীবনে প্রতিদিন গীতা পাঠ করেন। তিনি ভারতে এসে শিবলিঙ্গের পূজা করেছেন এবং আরতি করেছেন। শুধু এই নয় তাজমহলের সামনে গিয়ে হিন্দু মতে যোগ ব্যায়াম করেছেন। হিন্দু কিছুজন দাবি করেছিলেন যে উইল স্মিথ হিন্দু ধর্মের দীক্ষা নিয়েছেন। তবে এই ব্যাপারে কোনো সুনিশ্চিত তথ্য নেই।

তবে এই কথা সত্য যে, উইল স্মিথ কোন সাধারণ আমেরিকান টুরিস্টের মতো পুজো করেননি বরং বহু সময় নিয়ে বিধি নিয়ম মেনে মন্ত্রজপ করে পুজো করেছেন। একই সাথে উনি বহু মন্দিরে ভ্ৰমন করেছেন পূজারীর সাথে আলোচনা করেছেন। জানিয়ে দিই, হলিউডের এক বড় অভিনেত্রী যার নাম জুলিয়াস রবার্টস, উনি এক আশ্রমে গিয়ে সনাতন ধর্ম গ্রহন করেছিলেন। আজ উনি আমেরিকায় একজন হিন্দু হিসেবে সুখী জীবন অতিবাহিত করছেন। আর এক বিশ্ববিখ্যাত আমেরিকান কবি এ্যালেন গিন্সবার্গ হিন্দু ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন সেই ১৯৭১ সালে।

পশ্চিম বাংলার অর্ধশিক্ষিত, মূর্খ, হীনমন্য, সেকু, মাকুরা যখন পেট্রোডলার ভাঙ্গিয়ে কেনা গরুর গোসত খেয়ে, হিন্দুধর্মের বিকৃত সমালোচনা করে প্রগতিশীল খেতাব ধারণ করার চেষ্টা করছেন। এই সেকু, মাকুরা হিন্দুধর্মের বিলুপ্তির জন্য চেষ্টা করে আসছেন অনেক দিন ধরে। ভারতে এদের রোখবার জন্য কোথাও কেউ নেই। হয়তো এদের জন্যই আগামীতে ভারতে যবন আধিক্য, আধিপত্য হতে হতে হিন্দুধর্ম বিলুপ্ত হবে। ওদিকে দেহ সর্বস্ব বুদ্ধিহীন বলিউডের উৎকট অভিনেতা অভিনেত্রীরা হিন্দুধর্মের দেব দেবী নিয়ে মাঝে মাঝে মজা করেন, সেখানে একমাত্র আশার কথা উচ্চ শিক্ষিত, অতিশয় ধনী আমেরিকান এবং ইউরোপিয়ানরা হিন্দু ধর্মের আর্দশে হিন্দুধর্ম গ্রহণ করছেন। হিন্দুধর্মের উদারতাকে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি দিচ্ছেন। অন্যদিকে হলিউডের মতো একটা উন্নত প্লাটফর্মের উন্নত মানুষজন হিন্দু ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধা দেখান পূজাদি করেন এবং কিছু মহৎপ্রাণ উচ্চ শিক্ষিত, মাত্রাতিরিক্ত ধনী আমেরিকান, ইউরোপিয়ান স্ব ইচ্ছায়  সনাতন হিন্দু ধর্ম গ্রহন করছেন। ভারতে না হোক হয়তো পৃথিবীর উন্নত দেশগুলিতে হিন্দু ধর্ম টিকে থাকবে স্বগর্বে।

Courtesy রেজাউল মানিক