অনেকেই বলে সুভদ্রা অর্জুন মামাতো পিসাতো ভাই বোন হয়ে তাদের মধ্যে বিয়ে হল কেন ???
তাহলে কৃষ্ণ কি রক্তের সম্পর্কের ভাই বোনের বিয়ে সাপোর্ট করে ???
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ হচ্ছেন যাদব বংশের আর কুন্তীর বা অর্জুনের বংশ হচ্ছে ক্ষত্রীয় ।
তাহলে কৃষ্ণ কি রক্তের সম্পর্কের ভাই বোনের বিয়ে সাপোর্ট করে ???
ভগবান শ্রী কৃষ্ণ হচ্ছেন যাদব বংশের আর কুন্তীর বা অর্জুনের বংশ হচ্ছে ক্ষত্রীয় ।
কুন্তীর স্বামীরা দুই ভাই ছিলেন । আর এই দুই ভাইয়ের জন্ম ও অলৌকিক ভাবে মহা ঋষি ব্যাসদেবের অার্শিবাদে জন্ম । আর অর্জুনের জন্ম ও অলৌকিক ভাবে ইন্দ্রদেবের আশির্বাদে অর্থাৎ অর্জুন কুন্তির গর্ভজাত সন্তান নয়। তাছাড়া কুন্তিকে কুন্তিভোজের রাজা দত্তক নিয়েছিলেন। শাস্ত্রে দত্তকী কন্যার জন্ম পরিচয় বিলুপ্ত হয়ে পিতৃপরিচয় প্রাধান্য পায়।
সে হিসেবে কুন্তীর সাথে যদুবংশ এর কোন সম্পর্ক থাকার কথা নয়। দান সর্বদা প্রফুল্লচিত্তে পুরো অধিকার ত্যাগ পূর্বক করতে হয়। যদু বংশ কুন্তীকে কুন্তিভোজের রাজার কাছে পূর্ণ অধিকার ত্যাগপূর্বকই দান করেছিলো অতএব কৃষ্ণের আর অর্জুনের পরিবার তথা সুভদ্রা আর অর্জুনের কোন রক্তের সম্পর্ক ছিল না। কুন্তি শ্রী কৃষ্ণের আপন পিসি নন। রক্তের কোন সম্পর্ক কুন্তির সাথে ছিল না। এছাড়াও এই বিয়েটি আপদধর্মের অন্তর্ভূক্ত।
একই রক্তের বা বংশের নারী পুরুষ এর মধ্যে বিয়ে হলে পরবর্তী প্রজন্মের ক্যান্সার বা লিউকেমিয়া এর মত জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারে বা বিকলাঙ্গ বা অঙ্গহীন সন্তান জন্ম হতে পারে । যা চিকিৎসা বিজ্ঞান এ বিভিন্ন গবেষণায় ও প্রমাণিিিত। গবেষণায় আরো দেখা যায় যে, স্বামী এবং স্ত্রী র রক্তের গ্রুপ একই যদিও হয় তবুও স্বামী তার স্ত্রীকে রক্ত দিতে পারবেন না। কারণ, পরবর্তীতে সন্তান জন্ম দানে মায়ের নানা রকম জটিলতা সহ নবজাতকের নানাবিধ দুরারোগ্য ব্যাধি হতে পারে। তবে আর সন্তান না নিলে রক্ত দিতে পারবেন। এই কথা গুলো বহুকাল পরেও বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত। তবে, কোন শাষ্রে কি আছে তা আমি নির্দিষ্ট করে বলতে পারবো না।
নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ে বিজ্ঞানসম্মত নয়। কাকাতো, মামাতো, মাসতুতো ও পিসতুতো ভাই-বোনদের মধ্যে বিয়ের পরিণামে যে সন্তান হয়, তার মধ্যে জন্মগত ত্রুটি দেখা দেওয়ার ঝুঁকি বেশি। দ্য ল্যানসেট সাময়িকীতে প্রকাশিত এক গবেষণা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।
যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড শহরে বসবাসকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে জন্মগ্রহণকারী সন্তানের জিনগত অস্বাভাবিকতার হার সাধারণ শিশুদের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। এসব অস্বাভাবিকতার মধ্যে নবজাতকের অতিরিক্ত আঙুল গজানোর মতো সমস্যা থেকে শুরু করে হূৎপিণ্ডে ছিদ্র বা মস্তিষ্কের গঠন-প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অবশ্য সার্বিক বিবেচনায় এ ধরনের অস্বাভাবিকতার হার খুবই কম।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এয়ামন শেরিডান। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী সাড়ে ১৩ হাজার শিশুকে ওই গবেষণার আওতায় আনা হয়।
ব্র্যাডফোর্ড শহরে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের বড় একটি অংশ বসবাস করে। সেখানে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩৭ শতাংশই রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ের প্রচলন রয়েছে। সারা বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ এ রকম সংস্কৃতি ধারণ করে।
হিন্দুরীতির প্রধান মান্য গ্রন্থ মনুস্মৃতি এ বিষয়ে যে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে তা হাজার হাজার বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে আসছে। পিতা ও মাতার সপিণ্ড তথা সগোত্র নারী-পুরুষের বিবাহকে মনুস্মৃতি নিষিদ্ধ করেছে (মনু. ৩/৫-৬)। উন্নততর প্রজন্মের জন্যই এই বিধান দেওয়া হয়েছে যাতে নতুন প্রজন্ম অধিকতর মেধাবী ও স্বাস্থ্যবান হতে পারে।
এছাড়া যে বংশের লোকের মাঝে অর্শজাতীয় রোগ, আমাশয় বা মন্দাগ্নি, ক্ষয়রোগ (রাজযক্ষ্মা; pthisis), অপস্মার রোগ (যে রোগ স্মৃতিভ্রংশ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়বৈকল্য; epilepsy), শ্বেতরোগ ও কুষ্ঠরোগ আছে সেই বংশে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে (মনু. ৩/৭)। এছাড়া জেনেটিক সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিকেও বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, যেমন যার আঙুল বা অন্য কোন অতিরিক্ত অঙ্গ আছে, চিররোগগ্রস্তা, যার কেশসমূহ তামাটে কিংবা কনকবর্ণ, যে কেশশূন্য (অলোমিকা) বা যার শরীরে লোমের আধিক্য, বাচাল, পিঙ্গলবর্ণ চোখ যার তাকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে (মনু. ৩/৮)।
যুক্তরাজ্যের ব্র্যাডফোর্ড শহরে বসবাসকারী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে এক গবেষণা চালিয়ে দেখা যায়, নিকটাত্মীয়ের মধ্যে বিয়ের মাধ্যমে জন্মগ্রহণকারী সন্তানের জিনগত অস্বাভাবিকতার হার সাধারণ শিশুদের তুলনায় ৩০ শতাংশ বেশি। এসব অস্বাভাবিকতার মধ্যে নবজাতকের অতিরিক্ত আঙুল গজানোর মতো সমস্যা থেকে শুরু করে হূৎপিণ্ডে ছিদ্র বা মস্তিষ্কের গঠন-প্রক্রিয়ায় ত্রুটি দেখা দিতে পারে। অবশ্য সার্বিক বিবেচনায় এ ধরনের অস্বাভাবিকতার হার খুবই কম।
গবেষণায় নেতৃত্ব দেন লিডস বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এয়ামন শেরিডান। ২০০৭ থেকে ২০১১ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী সাড়ে ১৩ হাজার শিশুকে ওই গবেষণার আওতায় আনা হয়।
ব্র্যাডফোর্ড শহরে দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীদের বড় একটি অংশ বসবাস করে। সেখানে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৩৭ শতাংশই রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রক্তের সম্পর্কের আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ের প্রচলন রয়েছে। সারা বিশ্বে ১০০ কোটির বেশি মানুষ এ রকম সংস্কৃতি ধারণ করে।
হিন্দুরীতির প্রধান মান্য গ্রন্থ মনুস্মৃতি এ বিষয়ে যে দিক নির্দেশনা প্রদান করেছে তা হাজার হাজার বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা পালন করে আসছে। পিতা ও মাতার সপিণ্ড তথা সগোত্র নারী-পুরুষের বিবাহকে মনুস্মৃতি নিষিদ্ধ করেছে (মনু. ৩/৫-৬)। উন্নততর প্রজন্মের জন্যই এই বিধান দেওয়া হয়েছে যাতে নতুন প্রজন্ম অধিকতর মেধাবী ও স্বাস্থ্যবান হতে পারে।
এছাড়া যে বংশের লোকের মাঝে অর্শজাতীয় রোগ, আমাশয় বা মন্দাগ্নি, ক্ষয়রোগ (রাজযক্ষ্মা; pthisis), অপস্মার রোগ (যে রোগ স্মৃতিভ্রংশ প্রভৃতি ইন্দ্রিয়বৈকল্য; epilepsy), শ্বেতরোগ ও কুষ্ঠরোগ আছে সেই বংশে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে (মনু. ৩/৭)। এছাড়া জেনেটিক সমস্যা আছে এমন ব্যক্তিকেও বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে, যেমন যার আঙুল বা অন্য কোন অতিরিক্ত অঙ্গ আছে, চিররোগগ্রস্তা, যার কেশসমূহ তামাটে কিংবা কনকবর্ণ, যে কেশশূন্য (অলোমিকা) বা যার শরীরে লোমের আধিক্য, বাচাল, পিঙ্গলবর্ণ চোখ যার তাকে বিবাহ করতে নিষেধ করা হয়েছে (মনু. ৩/৮)।