মুসলিসদের জন্য এপ্রিলের এক তারিখ না, সারা বছরই এপ্রিলফুল!

ঙএপ্রিল ফুলের যে মর্মান্তিক কাহিনী এতদিন যে আমরা পড়েছি, তা যে ভুয়া ইতিমধ্যে হয়তো অনেকেই জেনেছেন!
সেই কাহিনীর সাথে স্পেনে মুসলিমদের ধোঁকা দিয়ে পুড়িয়ে মারার যে কাহিনী প্রচলিত তা দিন তারিখ হিসেব করে ঐতিহাসিক রা জেনেছেন ইতিহাসে এর কোন ভিত্তি নেই!
হ্যা,  স্পেনে মুসলিমদের বিতাড়িত করার সময় নির্যাতন অবশ্যই করা হয়েছিলো…. কিন্তু তা মসজিদে আশ্রয় নেয়ার কথা বলে ছলনা করে আগুন দেয়া, বা পহেলা এপ্রিল…  এইসব থিউরি রিউমার ছাড়া কিছুই না!  ( ফেইক এপ্রিল ফুলের গল্পের লিংক কমেন্টে)

তবে রিসেন্ট কিছু  এপ্রিল ফুলের কাহিনী আপনাদের বলি…..

এতদিন আমরা গর্ব করে বলতাম মক্কা মদিনায় কোন অমুসলিম ঢুকতে পারে না ব্লা ব্লা……. কিন্তু ইন্টারনেটে গত বছর   ভাইরাল হওয়া একটা ঘটনা নাটকীয় ভাবে তা ভুল প্রমাণ করে!  ঘটনা হলো  এক ইহুদী কান্দুরা পরিহিত অবস্থায় মসজিদে নববীতে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন! একটা না কয়েকটা!

তিনি একজন  জনপ্রিয়  ইহুদী ব্লগার এবং হিউম্যান এক্টিভিস্ট!  রাশিয়ান পাসপোর্ট ধারী!   ফেইসবুকে / ইনস্টাগ্রামে (ben.tzion) লিখে ওই তরুণের একাউন্টে গেলে তাঁর ছবি ও বর্ণনা দেখতে পাবেন এখনো আছে!

ছবিগুলো ভাইরাল হওয়ার পর উনার ইন্সট্রাগ্রাম  অফ আছে কিন্তু  ফেইসবুক একাউন্ট ওপেন আছে, সেখানে ঢুকলে তথ্য পাবেন অথবা গুগল করলেও পাবেন!

এখন কথা হচ্ছে এটার গুরুত্ব কতটুকু? শুধু যদি মসজিদে নববীতে না গিয়ে সৌদি আরবের অন্য জায়গায় ছবি তুলত, তাহলে কোন সমস্যা ছিলো না।

সমস্যাটা হচ্ছে, মসজিদে নববীতে প্রবেশ করাটা।  হাতের ব্যাগের লেখাটার দিকে ভালোমতো লক্ষ্য   করলে বোঝা যাবে হিব্রু ভাষায় কিছু লেখা!

আরেকটা কথা,  আমরা মুসলমানরা সবচেয়ে আবেগপ্রবণ জাতি! মুসলিমরা এমন করছে তেমন করছে শুনলে আর যাচাই করি না!
অং সান সুচি থেকে ধরে মাইকেল জ্যাকসন,  মিয়া খলিফা থেকে ধরে সানি লিউনি — অতি সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা  সবাইকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসি! মজার ব্যাপার হলো জেসিন্ডা সম্পর্কে অনেকেই জানে না কিন্তু প্রোপিকেও দিয়ে রাখছে!
জেসিন্ডা একজন গে এক্টিভিস্ট,  হ্যা তিনি নারী হয়েও নিউজিল্যান্ডে গে দের অধিকার কে সমর্থন করে এর পক্ষে আইনী লড়াই পর্যন্ত করেছেন! আর সে কারনেই উনার জনপ্রিয়তা ছিলো তুঙ্গে!  একই সাথে উনি বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে কুমারী মাতা হওয়ার গৌরব ও অর্জন করেছিলেন! — এমন মহিলা কি ইসলামে আশির্বাদ? 

আরো আছে কুসংস্কার আর অপপ্রচার!  এই যেমন ফেইক ভিডিও বানিয়ে ৩৫০ জন নিউজিল্যান্ডের খ্রিস্টান কে মুসলিম হওয়ার নিউজ  প্রচার! গতবছর এইভাবে  ইংলিশ ক্রিকেটার জন বেরিস্টো এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের ড্যারেন সামী কে নিয়ে প্রচার হলো,  তারা  ইসলাম গ্রহন করেছে—আর এইসব করছে মুসলিমরাই! অর্থাৎ একদল মুসলিম আরেকদল মুসলিম কে ফুল মানে বোকা বানিয়েই যাচ্ছে!

এর আরেকটা চমৎকার উদাহরণ হলো– কিছু বিধর্মী ব্লগার  মুসলিম না  হয়েও  ইসলামের পক্ষে লিখে জঙ্গিবাদ,  শরিয়া আইন আর সেনসিটিভ ইস্যু নিয়ে লিখে মুসলিমদের মাঝে এখন অঘোষিত পীর! নাম বলবো না, বুঝে নিয়েন!
এরা যে আড়ালে মুসলিম দের বিরুদ্ধে মুসলিমদেরই উস্কে দেয়ার নীলনকশা নিয়ে নামতে পারে — তা তাদের স্বয়ং ফেরেশতা পাঠিয়ে ও বুঝানো যাবে না! — এইগুলোই হলো এপ্রিলফুল!
.
মুরগীর খাবার খাওয়ার প্লেবেক ভিডিও দিয়ে,  বিড়ালের নামাজ পড়া দিয়ে, গাছের কান্ডের নুয়ে  থাকা কে সেজদা আখ্যায়িত করে   আমরা প্রচার করি —— ইসলাম জিন্দা হ্যা!

আমাদের জন্য এপ্রিলের এক তারিখ না, সারা বছরই এপ্রিলফুল!

ধন্যবাদ

https://www.facebook.com/100006081606221/posts/2208039402742092/