November 22, 2020

Bangla Blog

ইসরাইলের মতন অসামরিক ব্যক্তিদের ৩ বছরের জন্য বাহিনীতে যোগদানের প্রস্তাব ভারতীয় সেনার।

ইসরাইলের মতন অসামরিক ব্যক্তিদের ৩ বছরের জন্য বাহিনীতে যোগদানের প্রস্তাব ভারতীয় সেনার। দেশের নাগরিকেরা যাতে তিন বছরের জন্য সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পারেন, তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ভারতীয় সেনা। সেনাবাহিনীর আধিকারিক হিসাবে তিন বছরের জন্য ময়দানে নেমে কাজ করা ছাড়াও লজিস্টিক-সহ অন্যান্য বিভাগেও কাজের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন তাঁরা। গোটা বিষয়টিই পরিকল্পনার স্তরে থাকলেও এই প্রস্তাবটি গৃহীত হলে ভারতীয় সেনা তথা দেশের ইতিহাসে তা এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, গোটা প্রস্তাবটিই সেনার এক শীর্ষ বৈঠকে আলোচনা করা হবে। ওই বৈঠকে সেনার শীর্ষ আধিকারিকেরা এই বিষয়টির সব দিক খতিয়ে দেখবেন বলে জানা গিয়েছে। দেশের যুব সম্প্রদায়ের সদস্যরা ছাড়াও আধাসামরিক বাহিনী এবং কেন্দ্রীয় সশস্ত্র বাহিনী (সেন্ট্রাল আর্মড পুলিশ ফোর্সেস বা সিএপিএফ)-এর সদস্যদের কাছেও সেনাবাহিনীতে যোগদানের দরজা খুলে দেওয়া হবে। সর্বোচ্চ সাত বছর পর্যন্ত সেনাবাহিনীতে কাজের সুযোগ থাকবে তাঁদের কাছে। সাত বছরের মেয়াদ শেষে তাঁরা নিজেদের পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফিরে যেতে পারবেন।   কেন এই পদক্ষেপ? মূলত দেশের যুব সম্প্রদায় যাতে প্রত্যক্ষ ভাবে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে কাজের অভিজ্ঞতা লাভ করতে পারেন, সে জন্য এই পদক্ষেপ করার কথা ভাবনা-চিন্তা শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এর ফলে দেশের একটি বিশাল অংশের কাছে সরাসরি সামরিক জীবনের অঙ্গ হওয়ার সুযোগও খুলে যাবে। অন্য দিকে, একটি সেনা সূত্রের মতে, দেশের যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে জাতীয়তাবাদ এবং দেশভক্তির পুণঃজাগরণ ঘটেছে। সেই আবেগকে কাজে লাগাতেও এই পদক্ষেপ বলে দাবি ওই সূত্রের। পুরোপুরি ভাবে যোগদান না করতে চাইলেও দেশের বহু তরুণ পেশাদারই সেনাবাহিনীতে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চান। ফলে ভারতীয় সেনার সংস্কারের অঙ্গ হিসাবেই এই পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হচ্ছে।   সেনা সূত্রের খবর, ট্যুর অব ডিউটি (টিওডি) বা ‘থ্রি ইয়ার্স শর্ট সার্ভিস’ নামের এই প্রকল্পের নানা খুঁটিনাটি শেষ মুহূর্তে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অন্য দিকে, আধাসামরিক এবং সিএপিএফ-দের নিয়োগের ভাবনাটিকে ‘ইনভার্স ইনডাকশন মডেলে’-এর আওতায় ফেলা হয়েছে। তবে দেশের তরুণ পেশাদার বা অসামরিক ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হলেও বয়স, বা ফিটনেসের মতো শারীরিক দক্ষতা নিয়ে কোনও রকম আপস করা হবে না বলে জানানো হয়েছে। রাজা রামমোহন রায় : ভারতীয় রেনেসাঁর জনক-দূরর্ম রাশিয়ার পক্ষে কেন সম্ভব নয়, চীনের সঙ্গে সামরিক জোট গঠন করা – কৃত্তিবাস ওঝা ভারত-মিয়ানমার মিলিটারি টাইজ, বনাম চীন-বাংলাদেশ বন্ধুত্ব – কৃত্তিবাস ওঝা দক্ষিণ এশিয়ার পরিবর্তিত ভূরাজনীতি ও অযৌক্তিক ভারত বিদ্বেষ – কৃত্তিবাস ওঝা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি………..!!! প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিখোঁজ ভারতীয় যুদ্ধবিমান। ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল আমন আনন্দ বলেন, ‘‘এই প্রস্তাবটি গৃহীত হলে তা হবে একটি স্বেচ্ছাসেবী ব্যবস্থাপনা। তবে এতে নিয়োগের মাপকাঠি নিয়ে কোনও রকম শিথিলতা আনা হবে না। এই পরিকল্পনার অঙ্গ হিসাবে প্রাথমিক ভাবে, আধিকারিক পদে ১০০ জন এবং সেনার অন্যান্য বিভাগে ১ হাজার জনকে নিয়োগ করা হবে।’’   ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এই প্রস্তাব গৃহীত হলে আর্থিক দিক দিয়েও লাভবান হবে ভারতীয় সেনাবাহিনী। এই মুহূর্তে ‘শর্ট সার্ভিস কমিশনে’র আওতায় তরুণদের ১০ বছরের জন্য নিয়োগ করে সেনা। পরে তা ১৪ বছর পর্যন্ত বাড়ানো যায়। একটি সূত্রের মতে, প্রি-কমিশন ট্রেনিং, বেতন ও অন্যান্য সব কিছু মিলিয়ে ১০ বছর বা ১৪ বছরের জন্য এক জনের জন্য যথাক্রমে ৫ কোটি ১২ লক্ষ এবং ৬ কোটি ৮৩ লক্ষ খরচ হয় সেনার। তবে, ওই একই খরচ তিন বছরের জন্য করলে তা আর্থিক মূল্যে নেমে দাঁড়াবে জন প্রতি ৮৫ লক্ষ টাকা। এ ছাড়া, সেনায় কাজের অভিজ্ঞতা থাকলে তাতে লাভবান হবেন দেশের তরুণ পেশাদারেরা। কারণ, একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, সমস্ত কর্পোরেট সংস্থাই ২২-২৩ বছরের আনকোরা স্নাতকদের তুলনায় সেনায় কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ২৬-২৭ বছরের কোনও পেশাদারদের অগ্রাধিকার দেয়। আরো পড়ুন.. বাংলার আত্মঘাতী সেক‍্যুলার সংস্কৃতি ও বুদ্ধিবৃত্তির জগতে স্বামী প্রণবানন্দ এক উপেক্ষিত চরিত্র।  বাঙালি মুসলমান কি সূফীবাদের প্রেমেই ইসলাম গ্রহণ করেছিল ? দুরর্ম খাবার স্যালাইনের ফর্মুলা আবিষ্কারক হেমেন্দ্র নাথ চ্যাটার্জী, কেন বর্ণ-বৈষম্যমূলক ভাবধারা শিখার ? কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী-দূরর্ম প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আয়ুর্বেদ।-দূরর্ম পশ্চিমবঙ্গ এবং বাঙালির অধঃপতনের মূল কারণ।-দূরর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক আদি শংকরাচার্য-দূরর্ম…….।।। ৪৭ এর ধর্ষিত মায়েদের সন্তানরা কি সেকুলাঙ্গার ?-দূরর্ম বাঙালির গৌরব মহারাজা প্রতাপাদিত্য-দূরর্ম কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী-দূরর্ম প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আয়ুর্বেদ।-দূরর্ম পশ্চিমবঙ্গ এবং বাঙালির অধঃপতনের মূল কারণ।-দূরর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক আদি শংকরাচার্য-দূরর্ম…….।।।

কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক
Bangla Blog, ইতিহাস, চিকিৎসা, ব্যক্তিত্ব

কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী-দূরর্ম

কালাজ্বরের প্রতিষেধক আবিষ্কারক উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী। স্যার উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী (ইংরেজি: Sir Upendranath Brahmachari) (১৯ ডিসেম্বর, ১৮৭৩ – ৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪৬) ব্রিটিশ ভারতের একজন খ্যাতনামা চিকিৎসক এবং বৈজ্ঞানিক ছিলেন। তিনি কালাজ্বরের ওষুধ ইউরিয়া স্টিবামাইন আবিষ্কার করেছিলেন । উপেন্দ্রনাথ ব্রহ্মচারী বিহারের মুঙ্গের জেলার জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন । তাঁর পিতা ডাক্তার নীলমনি ব্রহ্মচারী এবং তাঁর মাতা সৌরভ সুন্দরী দেবী।  শিক্ষা উপেন্দ্রনাথ জামালপুরে পূর্ব রেলওয়ের বয়েজ হাই স্কুলে পড়েছিলেন । ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে গণিতে প্রথম শ্রেণীর অনার্স সহ বিএ পাস করেন হুগলি কলেজ থেকে । ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে প্রেসিডেন্সী কলেজে রসায়নে এমএ পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্থান অধিকার করেন । ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এল.এম.এফ. ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে ভেষজবিজ্ঞান ও শল্যচিকিৎসায় প্রথম স্থান নিয়ে এম.বি. পাস করেন এবং গুডিভ ও ম্যাকলাউড পদক পান । ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে এম.ডি. এবং এরপর শরীরতত্ত্বে পিএইচ.ডি. উপাধি পান । পিএইচডিতে তাঁর গবেষণার বিষয় ছিল রক্তের লোহিতকণিকার ভাঙ্গণ । এছাড়াও তিনি কোট্‌স পদক, গ্রিফিথ পুরস্কার ও মিন্টো পদক পান ।কর্মজীবন   চাকতী জীবনের শুরুতে ঢাকার মিটফোর্ড হাসপাতালে তিনি যোগ দেন। ১৯০৫ থেকে ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ক্যাম্পবেল মেডিক্যাল স্কুলে ভেষজবিজ্ঞানের অধ্যাপক হিসেবে এবং ১৯২৩ থেকে ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে অতিরিক্ত চিকিৎসক কাজ করেন। ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দে সরকারী কাজ থেকে অবসর নিয়ে কারমাইকেল মেডিক্যাল কলেজে ক্রান্তীয় ভেষজবিজ্ঞানের সাম্মানিক অধ্যাপক ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ-রসায়নের অধ্যাপক নিযুক্ত হন ।  গবেষণা ১৯২০ সালে উপেন্দ্রনাথ তৈরি করেন ইউরিয়া স্টিবামাইন । ১৯২২ সালে ইন্ডিয়ান জার্নাল অফ মেডিক্যাল রিসার্চে ৮ জন কালাজ্বর রোগীকে সুস্থ করার বিবরণ সহ উপেন্দ্রনাথের আবিষ্কারের কথা প্রকাশিত হয়। । তিনি তাঁর গবেষণা পত্রে ওষুধটির বিষাক্ততা সম্পর্কে আলোচনা করেন । ১৯২৩ সালের জুলাই মাসে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল গেজেটে ইউরিয়া স্টিবামাইন সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতার কথা প্রকাশিত হয় । ১৯২৪ সালের এপ্রিল মাসে উপেন্দ্রনাথ আরো কিছু তথ্য প্রকাশ করেন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল গেজেটে। কালাজ্বর ছাড়াও উপেন্দ্রনাথ ফাইলেরিয়া, ডায়াবেটিস, কুষ্ঠ, মেনিনজাইটিস প্রভৃতি নিয়েও গবেষণা করেছিলেন ।চিকিৎসা বিজ্ঞান সম্বন্ধে রচনাবলীর মধ্যে ট্রিটিজ অন কালাজ্বর বিখ্যাত ।  শিক্ষামূলক সংগঠন উপেন্দ্রনাথ ইংল্যান্ডের র‌য়্যাল সোসাইটি অফ মেডিসিনের সভ্য, ইন্দোরে ভারতীয় বিজ্ঞান কংগ্রেসের (১৯৩৬) সভাপতি এবং নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন । তিনি ব্রহ্মচারী রিসার্চ ইনস্টিটিউট স্থাপন করে দেশী ওষুধ প্রস্তুত করেন ।   পুরস্কার ও সম্মান কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে গ্রিফিথ মেমোরিয়াল পুরস্কারে সম্মানিত করেছিল । স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন তাঁকে মিন্টো পদক দিয়েছিল । এশিয়াটিক সোসাইটি অফ বেঙ্গল তাঁকে স্যার উইলিয়াম জোনস পদকে সম্মানিত করেছিল । এছাড়াও তিনি কাইজার-ই-হিন্দ স্বর্ণপদক পেয়েছিলেন । ব্রিটিশ সরকার তাঁকে রায়বাহাদুর উপাধিতে ভূষিত করেছিল । ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে উপেন্দ্রনাথ ব্র্‌হ্মচারী নাইট উপাধি পান । ১৯২৯ খ্রিস্টাব্দে তাঁকে মেডিসিনে নোবেল পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হয়েছিল ।   তথ্যসূত্র- সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান প্রথম খণ্ড – সংশোধিত চতুর্থ সংস্করণ – সাহিত্য সংসদ চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাস – উনিশ শতকে বাংলায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রভাব – বিনয় ভুষণ রায়, প্রথম সম্পাদনা, ISBN ভারতকোষে উপেন্দ্রনাথ নোবেল প্রাইজের ওয়েবসাইট   লেখক, জুতিকা রানী প্রাচীন ভারতের চিকিৎসা বিজ্ঞান ও আয়ুর্বেদ।-দূরর্ম পশ্চিমবঙ্গ এবং বাঙালির অধঃপতনের মূল কারণ।-দূরর্ম সর্বশ্রেষ্ঠ দার্শনিক আদি শংকরাচার্য-দূরর্ম………………………………………….।।। ৪৭ এর ধর্ষিত মায়েদের সন্তানরা কি সেকুলাঙ্গার ?-দূরর্ম বাঙালির গৌরব মহারাজা প্রতাপাদিত্য-দূরর্ম

Scroll to Top