সনাতন ধর্মে নারী

সনাতন ধর্মে নারীর মর্যাদা: সনাতন ধর্মে নারীর অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

সনাতন ধর্মে নারীর মর্যাদা: সনাতন ধর্মে নারীর অধিকার এবং মর্যাদা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

⚡সনাতন ধর্মে, মেয়েদের ধর্মগ্রন্থ (বেদ) পাঠে নিষেধ আছে?
⚡সনাতনে মেয়েদের কতটুক সম্মান দেয়?
⚡সনাতন ধর্ম কি পুরুষ প্রধান?
⚡মেয়ে জন্মাইলে,বাপের শ্রাদ্ধ কে করবে?
⚡সনাতন ধর্মে বিধবা বিবাহের বিধান কই আছে? 
✨(সংগৃহীত তথ্য সমূহ প্রয়োজনের জন্য নিজের সংগ্রহে রাখতে পারেন) 🍂সনাতনধর্ম হচ্ছে পৃথিবীর একমাত্র ধর্ম যার প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদের মন্ত্রদ্রষ্টা ঋষিদের মধ্যে রয়েছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারী ঋষি।

যেমন-
১) ঘোষা (ঋগবেদ দশম মন্ডলের ৩৯-৪১ নং সুক্তের দ্রষ্টা,ঋষি কক্ষিবান এর কন্যা)
২) লোপামুদ্রা
৩) মৈত্রেয়ী
৪) গার্গী
৫) পৌলমি
৬) রোমশা
৬) অপালা
৭) বাক (ঋগবেদের বিখ্যাত দেবীসূক্তের দ্রষ্টা )
৮) অপত
৯) কত্রু
১০) বিশ্ববর
১১) জুহু

১২) ভগম্ভ্রীনি (মহর্ষি অম্ভ্রন এর কন্যা, ঋগবেদের অষ্টম মন্ডলের ১২৫ নং সুক্তের দ্রষ্টা)
১৩) যরিতা
১৪) শ্রদ্ধা
১৫) উর্বশী
১৬) স্বর্ণগা
১৭) ইন্দ্রানী
১৮) সাবিত্রী
১৯) দেবায়নী
২০) নোধা
২১) আকৃষ্ভাষা
২২) শীকাতনবাবরি
২৩) গণ্পায়নী
২৪) মন্ধত্রী
২৫) গোধ
২৬) কক্ষিবতী
২৭) দক্ষিণা
২৮) অদিতি
২৯) রাত্রি (মহর্ষি ভরদ্বাজের কন্যা)
৩০) শ্রীলক্ষ্য

 

🍂সনাতন ধর্মের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র বেদ। এবারে দেখুন পবিত্র বেদের নারী স্তুতি; যেগুলোতে পুত্রের পাশাপাশি কন্যার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করা হয়েছে-

০১. “আমার পুত্র শত্রুর নাশকারী এবং নিশ্চিতরূপে আমার কন্যা বিশিষ্টরূপে তেজস্বিনী।” (ঋগবেদ ১০/১৫৯/৩) 
০২. “যেমন যশ এই কন্যার মধ্যে এবং যেমন যশ সম্যকভৃত রথের মধ্যে, ঐরূপ যশ আমার প্রাপ্ত হোক।”
(ঋগবেদ ৯/৬৭/১০)
০৩. “একসঙ্গে মিলিয়া যজ্ঞ করিলে পতি পত্নী, পুত্র এবং কন্যা কুমারী লাভ করেন। তাহারা পূর্ণ আয়ু ভোগ করেন। এবং উভয়ে নিষ্কলঙ্ক চরিত্রের স্বর্ণভূষণে দীপ্যমান হন।” (ঋগবেদ ৮/৩১/৮)

বৈদিক ভারতে নারী শিক্ষা - অগ্নিবীর

অথর্ববেদের ১ম কান্ডের ১৪তম সুক্তে একজন পিতার কন্যা দানের উল্লেখ পাওয়া যায়-
০৪. “হে নিয়মকারী বর রাজন, এই কামনাযোগ্য কন্যা তোমার বধু। সে তোমার মাতা পিতা এবং ভ্রাতার সাথে ঘরে নিয়মপূর্বক অবস্থান করবে।” (অথর্ববেদ ১/১৪/২)
০৫. “হে বর রাজন, এই কন্যা তোমার কুলের রক্ষাকারী, তাহাকে তোমার জন্য আমি আদরের সহিত দান করিতেছি। সে বহু কাল পর্যন্ত তোমার মাতা পিতা আদির মধ্যে নিবাস করবে।” (অথর্ববেদ ১/১৪/৩)

বিবাহিতা নারীকে ‘কল্যাণময়ী, মঙ্গলময়ী’ আখ্যায়িত করে বেশ কিছু স্তুতির উল্লেখ পাওয়া যায় বেদে-
০৬. “হে বধূ, শ্বশুরের প্রতি, পতির প্রতি, গৃহের প্রতি এবং এই সব প্রজাদের প্রতি সুখদায়িনী হও, ইহাদের পুষ্টির জন্য মঙ্গল দায়িনী হও।”( অথর্ববেদ ১৪/২/২৬)

০৭. “হে বধূ কল্যাণময়ী, গৃহের শোভাবর্দ্ধনকারী, পতিসেবা পরায়ণা, শ্বশুরের শক্তিদায়িনী, শাশুড়ির আনন্দ দায়িনী ও গৃহকার্যে নিপুণা হও।” (অথর্ববেদ ১৪/২/২৭)
০৮. “হে বধূ, যেমন বলবান সমুদ্র নদী সমূহের উপর সাম্রাজ্য স্থাপন করিয়াছে, তুমিও তেমন পতিগৃহে গিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।” (অথর্ববেদ ১৪/১/৪০)
০৯. “শ্বশুরদের মধ্যে এবং দেবরদের মধ্যে, ননদ ও শাশুড়ির সঙ্গে মিলিয়া সম্রাজ্ঞী হইয়া থাকো।” (অথর্ববেদ ১৪/১/৪৪).
১০. “এই বধূ মঙ্গলময়ী, সকলে মিলিয়া ইহাকে দেখো, ইহাকে সৌভাগ্য দান করিয়া দুর্ভাগ্য বিদূরিত করো।”
(অথর্ববেদ ১৪/২/২৮)

 

১১. ”নারী হল জ্ঞানের ধারক।” (অর্থববেদ ৭/৪৭/১)
১২. “নারী হলো শিশুর প্রথম জ্ঞানদাতা।” (অথর্ববেদ ৭/৪৭/২)
১৩. “পিতার সম্পত্তিতে নারী ও পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে। ” (ঋগ্বেদ ৩/৩১/১)
১৪. ”একজন নারীর কখনো যেন কোন সতীন না থাকে।” (অর্থববেদ ৩/১৮/২)
১৫. “স্বামীর উচিত শুধু একমাত্র স্ত্রীর প্রতি অনুরক্ত থাকা। দ্বিতীয় কোন নারীর প্রতি অনুরাগ থাকা উচিত নয়। ” (অথর্ববেদ ৭/৩৮/৪)

 

১৬. “নারী শিক্ষাগ্রহণ শেষে পতিগৃহে যাবে। ” (অথর্ববেদ ১১/৫/১৮)
১৭. ”গর্ভের সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে হোক সে যেন ভালোথাকে।” (অর্থববেদ ২/৩/২৩)
১৮. ”নারী হল মঙ্গলময়ী লক্ষী।” (অর্থববেদ ৭/১/৬৪)
১৯. “হে নারী, মৃত পতির শোকে অচল হয়ে লাভ কি? বাস্তব জীবনে ফিরে এসো। পুনরায় পতি গ্রহণ করো।” (অথর্ববেদ ১৮/৩/২ এবং ঋগ্বেদ ১০/১৮/৮)

 

সহমরণে স্ত্রী স্বর্গে যাবে এরকম বিশ্বাসে সতিদাহ প্রথা একটি কুসংস্কার হিসেবে প্রচলন লাভ করেছিল তৎকালীন সনাতন সমাজে। যাই হোক, এই কুসংস্কার সনাতন সমাজ থেকে দূর করা হয়েছে। সনাতন ধর্ম স্বয়ং বিধবা বিবাহের নির্দেশ দিয়েছে।

 

২০. “হে স্ত্রী! শ্বশুরের নিকট সম্রাজ্ঞী হও, শাশুড়ির নিকট সম্রাজ্ঞী হও, ননদের নিকট সম্রাজ্ঞী হও এবং দেবরদের নিকট সম্রাজ্ঞীর অধিকার প্রাপ্ত হও।” ( অথর্ববেদ ১০/৮৫/৪৬)
২১. “হে স্ত্রী! অমৃতরসে পরিপূর্ণ এই কুম্ভকে আরো পূর্ণ করিয়া আনো, অমৃতপূর্ণ ঘৃতধারাকে আনো, পিপাসুকে অমৃতরসে তৃপ্ত করো। ইষ্ট কামনার পূর্তি গৃহকে রক্ষা করিবে।” (অথর্ববেদ ০৩/১২/০৮)

২২. “হে ঈশ্বর, আমাদের রাজ্যে যেন বিদ্বান ব্রাহ্মণ, নির্ভয় ক্ষত্রিয়, দুগ্ধপূর্ণ গাভী, ভারবাহী ষাড়, ঔষধি, সুন্দর ব্যবহারকারী স্ত্রী এবং শত্রু বিজয়কারী পুরুষ উৎপন্ন হয়।” (যজুর্বেদ ২২/২২)

 

মন্ত্রটিতে স্পষ্টভাবে পুরুষের সাথে সাথে নারীকেও উৎপন্ন হবার জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে। ২৩. “হে পুরুষ ও নারী, তোমাদের পোশাক ও দৃষ্টি সবসময় হোক ভদ্র ও অবনত। তোমাদের চলন হোক সংযত, দেহ হোক পোশাকে আবৃত, নগ্নতা হোক পরিত্যাগ। ” (ঋগ্বেদ ৮/৩৩/১৯)

এই মন্ত্রে নারী-পুরুষ উভয়কেই শালীন পোশাক পড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।শুধুমাত্র নারীকে নয়। ২৪. “মানবের মধ্যে কেউ বড় নয়, কেউ ছোট নয়। জন্ম থেকেই তারা শ্রেষ্ঠ।” ( ঋগ্বেদ ৫/৫৯/৬)
উপরের মন্ত্র হতে স্পষ্টতঃ প্রতীয়মান হয় যে, সনাতন ধর্মে নারী-পুরুষ উভয়েরই সমান মর্যাদার কথা বলা হচ্ছে।

 

২৫. ”যেসকল নারী দেহ রূপ দেখিয়ে অপরের সাথে বন্ধুত্ব করতে চাই,তারা হায়েনার মত; তাদের পরিত্যাগ কর।” (ঋগবেদ ১০/৯৫/১৫)
২৬. ”নারীর যেন কখনো কোনো দুঃখ কষ্ট না হয়।” (অর্থববেদ ১২/২/৩১)
২৭. ”নারীকে উপহার হিসাবে জ্ঞান উপহার দাও।” (অর্থববেদ ১৪/১/৬)
২৮. “ন জাময়ে তান্বো রিক্থমারৈক্চকার গর্ভং সিতুর্নিধানম্। যদী মাতরো জনযন্ত বহ্নিমত্যঃ কর্তা সূকৃতোরন্য ঋন্ধন্।।” (ঋগ্বেদ ০৩/৩১/০২)

 

অনুবাদ- “পুত্র কন্যাকে (ভাই তার বোনকে) পিতৃসম্পত্তি থেকে আলাদা করে দেয়না, তা সমানই থাকে বরং সে তার বোনকে শিক্ষিত, সংস্কৃতিবান করে গড়ে তোলে এবং স্বামীর হাতে তুলে দেয়। পিতামাতা ছেলেমেয়ের জন্ম দেন, প্রথমজনকে পারিবারিক দায়িত্ব অর্পণের জন্য আর দ্বিতীয়জন আসে তাদের জন্য পবিত্রতা ও গুণের প্রতীক হিসেবে।”

 

ব্যাখ্যা- এই মন্ত্রে ছেলে ও মেয়ে সন্তানের সম্পত্তির উত্তরাধিকারের প্রতি ইঙ্গিত করা হয়েছে। একটি পিতামাতার যদি শুধু মেয়ে সন্তান থাকে তবে পিতৃসম্পত্তির সম্পূর্ণ ভাগটাই সে পাবে, আর যদি তার ভাই থাকে তাহলে দুজনের মধ্যে তা সমানভাবে ভাগ হবে, কোনভাবেই তা এককভাবে শুধু পুত্রসন্তান পাবেনা। আর পিতা-ভ্রাতাদের কর্তব্য হল কন্যাকে বিয়ের আগেই শিক্ষা-কৃষ্টিতে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে গড়ে তোলা।একজন পুত্রের কাজ সংসারের দায়িত্বভার নেয়া আর একজন কন্যাসন্তানকে পিতামাতার জন্য পবিত্রতা ও গুণের প্রতীক হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

গুরুবাদ ও আমাদের সনাতন ধর্ম।

সনাতন ধর্মে নারী

🍁শ্রাদ্ধশান্তি তে কন্যা সন্তানের ভূমিকাঃ ‘মহাবীর তন্ত্র’ এর দশম অধ্যায়ে বলা হয়েছে-
“নারীরা সকল ধরনের শ্রাদ্ধ করতে পারবে কেবলমাত্র বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ ব্যতীত।”

 

বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ নারীরা করতে পারবেন না। কেননা, একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর স্বামী অনাগত সন্তানের মঙ্গল কামনায় এবং বিবাহাদি যেকোনো মাঙ্গলিক কার্য্যের শুরুতে পিতৃপুরুষদের আশির্ব্বাদ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে যে শ্রাদ্ধ করেন তাই হল বৃদ্ধি শ্রাদ্ধ। সুতরাং, নারীর এই শ্রাদ্ধ করতে পারার কোন কারণ নেই।
বিখ্যাত তামিল ঐতিহাসিক গ্রন্থ “পুরুনানুরু”তে আমরা দেখতে পাই লেখক ভেল্লেরুক্কিলাইয়ার বর্ণনা দিচ্ছেন রাজা ভেলেব্বির মৃত্যুতে রানীর পিণ্ডদানের কথা।

 

শাস্ত্রমতে একজন ব্যক্তির যেসকল আত্মীয়রা শ্রাদ্ধ করতে পারেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন ছেলে, মেয়ে, ছেলের ছেলে, মেয়ের ছেলে, স্ত্রী, বাবা, মা, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, গুরু, শিষ্য।

অর্থাৎ, যেহেতু ওই ব্যক্তির মেয়ের পিণ্ডদানের অধিকার আছে তাই দায়ভাগ শাখায় মেয়েদের পৈতৃক সম্পত্তি লাভের সুযোগ রয়েছে।

 

🍂এবার দেখে নেওয়া যাক অন্যান্য গ্রন্থগুলোতে কি লেখা আছে…..
০১. “যদি কেউ মা, স্ত্রী বা কন্যার নামে মিথ্যে দোষারোপ করে তাকে শাস্তি দিতে হবে। ” (মনুসংহিতা ৮/২৭৫)
০২. “কন্যা পুত্রের সমান। তার উপস্থিতিতে কেউ তার অধিকার ছিনিয়ে নিতে পারবে না।” (মনুসংহিতা ৯/১৩০)

০৩. “মাতৃরূপে, কন্যারূপে, স্ত্রীরূপে, ভগ্নীরূপে কিংবা ধর্মকর্মে অংশীদাররূপে নারীই সকল কল্যাণের মূল উৎস।” ( মনুসংহিতা ৯/২৮)

০৪. নারীকে নিরাপদে রাস্তায় চলাচল করতে দাও।” (মনুসংহিতা ২/১৩৮)
০৫. “ স্ত্রীলোকেরা নতুন প্রজন্ম বা উত্তরসূরির জন্ম দেয় ও পালন করে। তারা সৌভাগ্য ও আশীর্বাদ বয়ে আনে। তারাই গৃহের শ্রী।” ( মনুসংহিতা ৯/২৬)

 

০৬. সনাতন ধর্ম নারীর ক্ষমতায়নেও নারী নেতৃত্বে বিশ্বাসী। মহাভারতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীদের দেখা যায়। নারীদের রথ/যানবাহন চালানোর অধিকারও আছে।
০৭. “ যারা নারী, শিশু ও গুণবান পন্ডিতদের হত্যা করে তাদের কঠিনতম শাস্তি দিতে হবে। ” (মনুসংহিতা ৯/২৩২)

০৮. “নারী অপহরণকারীদের মৃত্যুদন্ড হবে।” (মনুসংহিতা ৮/৩২৩)
০৯. “ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া যে মা, বাবা, স্ত্রী বা সন্তান ত্যাগ করে তাকে কঠিন দন্ড দিতে হবে। ” (মনুসংহিতা ৮/৩৮৯)
১০. সনাতন ধর্ম নারীর সম্ভ্রম রক্ষার শিক্ষা দেয়। দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার সম্ভ্রম রক্ষা করেছিলেন।

১১. “নববিবাহিতা বধূ, কন্যা এবং গর্ভবতী মহিলাদের অতিথি ভোজনের পূর্বেই ভোজন প্রদান করতে হবে।”
( মনুসংহিতা ৩/১১৪)
১২. “যারা নারীদের ধর্ষণ করে বা উত্ত্যক্ত করে বা তাদের ব্যাভিচারে প্ররোচিত করে তাদের এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে তা অন্যদের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করে এবং কেউ তা করতে আর সাহস না পায়।”
(মনুসংহিতা ৮/৩৫২)

১৩. সনাতন ধর্মে নারীকে বলা হয় সহধর্মিণী। স্বামী স্ত্রী একসাথে মন্দিরে যাবেন, ধর্মকর্ম করবেন।
১৪. “পতি ও পত্নী মৃত্যুপর্যন্ত একসাথে থাকবেন। তারা অন্যকোন জীবনসঙ্গী গ্রহণ করবেন না বা ব্যাভিচার করবেন না। এই হলো নারী-পুরুষের ধর্ম।” (মনুসংহিতা ৯/১০১)

 

১৫. “সনাতন ধর্ম ডিভোর্সের মতো নিষ্ঠুর পন্থা সমর্থন করে না। এজন্য সনাতন বিবাহ আইনে ডিভোর্স নেই। স্বামী স্ত্রীর মতের অমিল হলে উনারা আলাদা থাকবেন এবং আজীবন স্বামীকে স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে হবে।”

১৬. “নারীর স্বামী যদি মারা যায়, যদি গোপনে সন্ন্যাস গ্রহণ করে, যদি নিখোঁজ হয়, যদি সন্তান উৎপাদনে অক্ষম হয়, যদি অধার্মিক ও অত্যাচারী হয় তবে স্ত্রী এই স্বামী ছেড়ে পুনরায় বিবাহ করতে পারে।” (পরাশরসংহিতা ৪.৩০)
🚩আর রামায়ন ও মহাভারতের কথা কি বলব। সীতা দেবী হোক আর যাজ্ঞসেনী ধ্রুপদী, নারী সম্মান রক্ষার্থেই লংকা আর কুরূক্ষেত্র পুড়লো।🏹 💥এবার আমার প্রশ্নের উত্তর দিন। এতটা সম্মান এর কথা আমরা কয় জন জানি ❓

 

একমাত্র  সনাতন ধর্মেই নারী পুরুষ এক সাথে প্রার্থণা করতে পারে। যা পৃথিবীর আর কোন ধর্মে সম্ভব নয়। এখানে রাধা কৃষ্ণ, সীতা-রাম, লক্ষী-নারায়ণ, এভাবেই বলা হয়।

নারীর সম্মান, আমার ধর্মে অসীম,তাই পোষ্ট এত দীর্ঘ। বিভিন্ন পেইজ,সনাতন শাস্ত্র গ্রন্থ থেকে তথ্য সমূহ সংগৃহীত এবং পরীক্ষিত। জয় আদ্যাশক্তি 🙏 সনাতন ধর্মে নারী সনাতন ধর্মে নারী সনাতন ধর্মে নারী সনাতন ধর্মে নারীর মর্যদা

কার্টেসি- অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য