মন্দির ভিত্তিক বিয়ে

মন্দির ভিত্তিক বিয়ে ও বৈদিক নিয়মে বিবাহ বন্ধনে অভিনেত্রী অপর্ণা ঘোষ ও কেটরিনা কায়েব।

মন্দির ভিত্তিক বিয়েকে জনপ্রিয় করে তুলতে “প্রখ্যাত অভিনেত্রী অপর্না ঘোষ” এর শুভ বিবাহের আয়োজন করেছিলেন “গোসাইলডাঙ্গা শ্রীশ্রী লোকনাথ ধাম” শ্রী মন্দিরেই, গোসাইলডাঙ্গা শ্রীশ্রী লোকনাথ ধাম পরিবার তাদের দাম্পত্য জীবনের সুখ, শান্তি বাবা’র শ্রী চরনে প্রার্থনার মধ্যে দিযে শেষ হয়।

ভিকি কৌশল আর ক্যাটরিনা কাইফের বিয়েই এখন হট টপিক টিনসেল টাউনের। তাঁদের বিয়ের মেনু কী, গেস্ট লিস্টে আছেন কারা, এই সব কিছু নিয়েই চলছে জোর আলোচনা। কিন্তু জানেন কি, তাদের বিয়েও ছিলো মন্দির ভিক্তিক।

মন্দির ভিত্তিক বিয়ে আপনাদের সুখী ও সুন্দর জীবন কামনা করছি আপনাদের বিবাহিত জীবন সুখের হোক – প্রশান্তিময় হয়ে উঠুক আপনাদের আলোকিত পরিবার ..

এ বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে, এবং ব্যাপক প্রচারণা চালাতে হবে। হয়তো একদিন মন্দির ভিত্তিক বিয়ের,প্রবণতা পরিলক্ষিত হবে!!

অপর্না ঘোষের মন্দির ভিক্তিক বিয়ে
অপর্না ঘোষের মন্দির ভিক্তিক বিয়ে

 

সহ মত কিনা জানাবেন শিশুকে যদি মন্দিরে নিয়ে মুখে ভাত দেওয়া হয় মন্দিরে বিয়ে করাতে অসুবিধা কোথায়? কেন ক্লাবে বিয়ে নয়, আর কেনই বা মন্দির ভিত্তিক বিয়ে? যে সমস্ত কারণে কমিউনিটি সেন্টার বা ক্লাবে বিয়ের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান নিতে হবে তা নিচেয় আলোচনা করা হলো।

সকালে অন্যকিছু যে পাত্রে রান্না হয় সেই পাত্র পরিষ্কার না করেই বিকেলে আবার তা বিয়ের জন্য রান্না হয় ।

সকালে পশুর রক্ত না শুকানোর পূর্বেই সেখানে নারায়ণ শিলা প্রতিষ্ঠিত করে বিয়ে করানো হয় ।

একদিকে মাছ-মাংস খাওয়ার টেবিল সমূহ সাজানো হয়েছে, আরেকদিকে অগ্নি প্রজ্জলন করে অগ্নিকে সাক্ষী করে এবং সমগ্র দেবতাদের ডেকে এনে বিয়ের কাজ সমাধা করা হয় ।

লগ্নের দিন বিয়ে করানোর কারণে ক্লাবের তুলনায় বিয়ের সংখ্যা বেশি থাকে এবং সেই কারণে বিশ হাজার টাকায় যে ক্লাব পাওয়া যায় তা এখন এক থেকে দেড় লক্ষ টাকা দিতে হচ্ছে, এই টাকা তাদের হাতেই যাচ্ছে যারা আমাদেরকে ধ্বংস করছে ।

একই মানুষকে সাত বার আমন্ত্রণ জানিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে যা অর্থ ও সময়ের অপচয় ছাড়া অন্য কিছু নয় ।

ক্লাবের বিয়েতে খাওয়ার সময় বাইরের লোক চলে আসে, যা কন্যা পক্ষকে বহন করতে হয় ।

আর্শীবাদ অনুষ্ঠান শুধু মাত্র পাঁচ থেকে দশজন বয়োজ্যেষ্ঠকে নিয়ে মঙ্গলাচরণ সম্পন্ন করা যায় । সেখানে পাঁচশত লোককে ডেকে খাইয়ে অর্থ শ্রাদ্ধ করানো হচ্ছে, এই অনুষ্ঠানও অনেক সময় ক্লাবে হচ্ছে, যার ফলে একটি মধ্যবিত্ত কন্যাপক্ষকে অতিরিক্ত ছয় থেকে আট লক্ষ টাকা খরচ করতে হচ্ছে ।

কৌশল আর ক্যাটরিনা কাইফের বিয়ে
কৌশল আর ক্যাটরিনা কাইফের বিয়ে

সমস্ত খরচ চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে কন্যা পক্ষের উপর।

পাত্রপক্ষ ইদানিং বৌভাত অনুষ্ঠান তুলে দিচ্ছে কারণ অর্থ নষ্ট হয়, কিন্তু কন্যাপক্ষের অর্থ নষ্ট করতে ক্ষতি নেই । এখন, আমাদের হিন্দু অভিভাবকরা টাকার অভাবে ছেলেমেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করার সাধ্য নেই, কিন্তু মেয়েকে বিয়ে দিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হতে আপত্তি নেই।

তাহলে আমরা আর কবে বুঝবো যে বিয়েটা সাত্ত্বিক ভাবে মন্দিরে করতে হবে এবং অপব্যয়টাও রোধ করতে হবে ।

ছেলেমেয়েকে শিক্ষিত করে সমাজকে শ্রেষ্ঠ করতে হবে । মন্দিরে বিয়ে করিয়ে পাত্র ও পাত্রী উভয় পক্ষ মিলে একটি সামাজিক অনুষ্ঠান করলে আমাদের অপব্যয় কমবে, বিয়েটাও সাত্ত্বিক ভাবে হবে এবং মন্দিরগুলিও লাভবান হবে ।

দেখুন আমাদের সনাতন ধর্মালম্বীদের ঘরে যখন একটা শিশুর জন্মের পর তার মুখে প্রথম ভাত দেওয়া হয় মন্দিরে ভগবানের বিগ্রহের সামনে।কেন মন্দিরে ভগবানের বিগ্রহের সামনে বিবাহ হবে না??

আর পড়ুন…