বৈদিক ঘড়ি: বৈদিক ঘড়ি কি, সময়ের উৎপত্তি, AM এবং PM কিভাবে এলো, এতে লেখা শব্দের অর্থ কি?
বৈদিক ঘড়ি: বিশ্বের প্রথম বৈদিক ঘড়ি 2 এপ্রিল, 2022 চৈত্র প্রতিপদ দিনে উজ্জয়নের টাওয়ার চকে স্থাপন করা হবে । টাওয়ারের পাশাপাশি ইন্দোর রোডের নানখেদা মোড়ে একটি টাইম পিলারও তৈরি করা হবে। প্রাচীনকালে উজ্জয়িনী ছিল পৃথিবীর কলগনার কেন্দ্রবিন্দু। তাই উজ্জয়িনে অবস্থিত জ্যোতির্লিঙ্গকে মহাকাল বলা হয় ।
কালের দুটি অর্থ– একটি সময় এবং অন্যটি মৃত্যু। মহাকালকে ‘মহাকাল’ বলা হয় কারণ প্রাচীনকালে সমগ্র পৃথিবীর মান সময় এখান থেকেই নির্ণয় করা হত, তাই এই জ্যোতির্লিঙ্গের নামকরণ করা হয়েছে ‘মহাকালেশ্বর’। তাই প্রাচীনকালে এখানে কর্করাজ মন্দির প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আসুন জেনে নিই এর বিশেষত্ব কি।
দেখুন, জানুন এবং বুঝুন যে ভারতের চিরন্তন সংস্কৃতি ও সভ্যতার অমূল্য জ্ঞান মুক্তিদাতাদের কেন আমাদের থেকে হারিয়ে গেলে। ইতিহাস সাক্ষী এই জ্ঞানের পাণ্ডুলিপি ও বইগুলো তুর্কি ও আরব হানাদার বাহিনী ধ্বংস করেছিল। আজ আবারও প্রয়োজন এই জ্ঞানকে আত্মস্থ করা এবং সংরক্ষণ করা, যাতে আমাদের সংস্কৃতি ও সভ্যতা পুনরুদ্ধার করা যায়। অনুগ্রহ করে সম্পূর্ণ পড়ুন-
টাইমপিসের উৎপত্তি: AM এবং PM কিভাবে এলো?
শৈশব থেকেই শেখানো হয়েছিল, বিশ্বাস করা হয়েছিল যে AM এবং PM এই দুটি শব্দের অর্থ: AM: পূর্ব মেরিডিয়ান এবং PM: পোস্ট মেরিডিয়ান। অ্যান্টি মানে আগে, কিন্তু কার…? পোস্ট মানে পরে, কিন্তু কার…?
এটি কখনই স্পষ্ট করা হয়নি। শাস্ত্র অধ্যয়নে জানা গেল আমাদের প্রাচীন সংস্কৃত জ্ঞান এ তথ্যের ভিত্তি।
ব্যাখ্যা-
AM = অরোহণম মার্তান্ডস্য
PM = পতনম মার্তান্ডস্য
সূর্য, যা প্রতিটি মহাকাশীয় গণনার মূল, কিন্তু গৌণ করা হয়েছে। এই ইংরেজি শব্দগুলি সংস্কৃতের ‘অর্থ’ নির্দেশ করে না যা আসলে আছে।
অরোহণম মার্তান্ডস্যা মানে সূর্যের আরোহণ (অবরোহণ)। পাতনাম মার্তান্ডস্য পতনম মার্তান্ডস্য মানে সূর্যাস্ত। দিনের বেলা বারোটার আগে সূর্য উঠতে থাকে – ‘অরোহণম মার্তন্ডস্য’ (AM)। 12 টার পর সূর্য অস্ত যায়/অস্ত যায় – ‘পতনম মার্তান্ডস্য’ (PM)।
বৈদিক ঘড়ি লেখা শব্দের অর্থ কি?
বৈদিক ঘড়ি লেখা শব্দের অর্থ কি
উজ্জয়িনী কাল গণনার কেন্দ্র
প্রাচীনকালে, উজ্জয়িনী সময়কাল গণনা কেন্দ্র ছিল। এর কারণ হল এই শহরটি কর্কটক্রান্তির উপর অবস্থিত। এই কারণে প্রাচীনকালে এখানে কর্করাজ মন্দির নির্মিত হয়েছিল। এছাড়াও, রাজা জয়সিংহ দেশে চারটি মানমন্দির স্থাপন করেন, যার একটি উজ্জয়িনে অবস্থিত। শুধু তাই নয়, সম্রাট বিক্রমাদিত্যের দরবারের অন্যতম নবরত্ন, জ্যোতির্বিজ্ঞানী ভারাহ মিহির এবং অন্যান্য পণ্ডিতরাও উজ্জয়িনীতে সময় গণনার উল্লেখ করেছেন।