প্রিয়া মুন্ডা কে? যে এককভাবে সমগ্র ঝাড়খণ্ডে ধর্মান্তরকারী দলকে রুখে দিচ্ছেন। প্রিয়া মুন্ডা ঝাড়খণ্ডের বাসিন্দা, তিনি খ্রিস্টান মিশনারিদের বিরুদ্ধে ধর্মান্তরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন, উপজাতীয় ভূমি থেকে খ্রিস্টান মিশনারিদের মুক্ত করার ডাক দিয়েছেন, এতে সে সফলতাও পাচ্ছেন।
প্রিয়া মুন্ডাএ পর্যন্ত শতাধিক হিন্দুকে ঘরে ফেরানো কাজ করেছেন। অনেক জায়গায় ধর্মপ্রচারকদের অবৈধ দখলকৃত জমিও দখলমুক্ত করেছেন তিনি।
প্রিয়া মুন্ডা ঝাড়খণ্ডের একজন সমাজকর্মী। ঝাড়খণ্ডে লকডাউন চলাকালীন ধর্মান্তরের ক্রমবর্ধমান ঘটনার কারণে মানুষ বিরক্ত হয়ে উঠেছিল। ঠিক সেই সময় প্রিয়া মুন্ডার নেতৃত্বে গ্রাম বাসি সংগঠিত হযে গ্রাম থেকে খ্রিস্টান মিশনারিদের তাড়ানোর জন্য প্রচার শুরু করে। তিনি মুলত 11 জুন 2021 সালে খুন্তি জেলার রাইসেমলা গ্রাম থেকে ঝাড়খণ্ডের প্রিয়া মুন্ডা এই প্রচার শুরু করেন।
11 জুন রাইসেমলা গ্রামে অনুষ্ঠিত গ্রামসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে কোনও খ্রিস্টান মিশনারিদের গ্রামে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। যারা ইতিমধ্যে গ্রামে বসবাস করছেন এবং ধর্মান্তরের কাজ করছেন তাদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে।
এর সাথে গ্রামবাসীরা এও সিদ্ধান্ত নেয় যে যারা খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করবে তাদের সামাজিকভাবে বয়কট করা হবে।
এর আওতায় খ্রিস্টান পরিবারের সঙ্গে গ্রামের মানুষের কোন সম্পর্ক থাকবে না। তাদের স্থানীয় বন থেকে কাঠ কাটতে দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, খ্রিস্টান হয়ে যাওয়া কোনো ব্যক্তি মারা গেলে তাকে গ্রামের শ্মশানে স্থান দেওয়া হবে না।
উল্লেখ্য, খুন্তি জেলার তোরপা ব্লকের রাইসেমালা গ্রামে বহু বছর ধরে ধর্মান্তরের কাজ চলছিল বিশ্ববাণী গির্জার পক্ষ থেকে। এর জেরে একাধিকবার গ্রামে উত্তেজনাও দেখা দিয়েছিল। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকর্মী প্রিয়া মুন্ডা শুরু করেছেন যাজক ভাগাও অভিযান।
প্রিয়া মুন্ডা স্পষ্টভাবে বলেছেন, যারাই তার প্রজন্মের ঐতিহ্য ত্যাগ করে কোনো ঐতিহ্যকে গ্রহণ করবে, তারা তাদের উপজাতির নামে যে সুযোগ-সুবিধা পেতে না পারে তার চেষ্টা করবে। তিনি আরও বলেছিলেন যে গোটা ঝাড়খণ্ডে খ্রিস্টানদের দ্বারা উপজাতীয় সমাজ এবং আরও কিছু লোককে সড়যন্ত্র হিসাবে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, এটি এখন আর সহ্য করা হবে না।
তিনি বলেন আমাদের সমাজকে খণ্ডিত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে এবং যারাই স্বাভাবিক উত্তরাধিকারী ধর্ম পরিবর্তন করে অন্য ধর্ম গ্রহণ করবে। তাকে তার সমাজ থেকে বয়কট করতে হবে। যেমন, রুটি-কন্যার সম্পর্ক থেকে শুরু করে হিন্দু ধর্মের তফসিলি ও অন্যান্য জাতিদের সরকারি কল্যাণমূলক প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হতে হবে।
কারণ লোভে দেখিয়ে হিন্দু ধর্মের অনেক মানুষ ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে, এমনকি ধর্ম পরিবর্তন করার পরও তারা হিন্দু ধর্মের নিম্নবর্ণের জন্য সরকার কর্তৃক প্রদত্ত কল্যাণমূলক প্রকল্পের সুবিধাও নিচ্ছে। এই সুবিদা তাদের আর দেওয়া হবে না ।
এই ধর্মপ্রচারকরা পৃথিবীর সবচেয়ে বিপজ্জনক প্রাণী। হিন্দুদের অবশ্যই ভারত থেকে এই কীটপতঙ্গ নির্মূল করতে হবে।যখন থেকে ভারতের রাজনীতিতে বিদেশী বুড়ো কাকির প্রভাব বেড়েছে, তখন থেকেই খ্রিস্টান ধর্মপ্রচারকদের তৎপরতা এবং দুর্নীতিগ্রস্ত কংগ্রেস পার্টির হিন্দুবিরোধী প্রচারণাও তুঙ্গে। পুলিশের উপস্থিতিতে পালঘরের সাধুদের মারধরের ঘটনা তার উজ্জ্বল উদাহরণ। যতক্ষণ না এই ভারতবিরোধী বিদেশী উপাদানগুলিকে মূল থেকে নিশ্চিহ্ন করা না হয়, ততক্ষণ এই ধরনের সমস্যার মোকাবিলা করা আমাদের বাধ্যতামূলক কাজ।
আমাদের পাশে থাকতে একটি লাইক দিয়ে রাখুন।-ধন্যবাদ
আর পড়ুন….
- কর্নাটক হিজাবের জেদ নাকি জিহাদ.. ধর্মান্ধতার বিষ মেশালো কে? বিতর্কে মালালার প্রবেশ।-সুষুপ্ত পাঠক
- হিজাব বিতর্কের পেছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী আসলে কে?
- হিজাব বিতর্ক: কর্ণাটকের স্কুলে ‘উগ্রতাবাদ’ ছড়ানোর পিছনের ‘ওস্তাদ’ কে?
- মুলতান সূর্য মন্দির 5000 বছরের পুরনো ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এটি এখনও জ্বলজ্বল করছে, উদীয়মান সূর্যের আলোয়।
- পাকিস্তান: ধর্ম অবমাননার দায়ে সিন্ধুতে হিন্দু অধ্যাপকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড