জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ: ধর্ম ভিত্তিক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত না হলে ভারত আবার ভাগ হবে।

জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ: ধর্ম ভিত্তিক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত না হলে ভারত আবার ভাগ হবে। দেশভাগের ৭৫ বছর পর ভারতের জনসংখ্যার অসামঞ্জস্যতা নিয়ে যখন প্রশ্ন উঠেছে তখন অসমের সাংসদ বদরুদ্দিন আজমল বলেছেন,আমরা সরকারি চাকরি চাইনা আমরা চাই বাচ্চা নিতে।

 

কারণ আমরা ভারতকে মুসলিম ভারত দেখতে চাই।জন্মনিয়ন্ত্রণ চাইনা চাকরি চাইনা।সম্প্রতি অসম সরকার আইন করে ঘোষণা করেছে,দুটির বেশী সন্তান থাকলে সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।সেই নিয়মে বলা আছে দুইয়ের বেশি সন্তান হলে সেই সন্তানের পিতা-মাতা আর কোনও রাজ্য সরকারি চাকরি পাবেনা।

 

দেশভাগের সময় জনসংখ্যার অসামঞ্জস্যতার কারনে ভারতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হাত ছাড়া হয়েছিল।সেই বিপদ এখন আবার ভারতের শিয়রে।আভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি বলছে জনসংখ্যার অসামঞ্জস্যতার কারনে ভারত পুনরায় ভাগ হতে পারে।তাই সরকারের পরবর্তী এজেন্ডা হতে চলেছে ধর্ম ভিত্তিক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ।জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ 

 

সারা পৃথিবীতে এমন বহুদেশ রয়েছে যাদের জন বিন্যাস বাধ্য করেছে দেশের পরিচয় পাল্টে দিতে।পাকিস্তান আগে ছিল হিন্দুভূমি।আফগানিস্তানের পূর্বের নাম ছিল গান্ধার বৌদ্ধদের দেশ।মনে করে দেখুন বামিয়ান বুদ্ধমূর্তি যুগলের কথা।

 

ধৃতরাষ্ট্র পত্নী গান্ধারীর কথা।ইরান ছিল জুরাষ্ট্রিয়ান দেশ।কিন্তু আজ পৃথিবী এই সব দেশ সমূহকে ইসলামিক দেশ হিসাবে জানে।মুসলিম প্রধান সুদান ভেঙে তৈরি হয়েছে অমুসলিম প্রধান দঃসুদান।খৃষ্টান প্রধান সার্বিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে আলাদা দেশ গঠন করেছে মুসলিম প্রধান কসভো।কিছুকাল আগ পর্যন্ত সিরিয়া,তুরস্ক,মিশর দেশগুলো খ্রিস্টান দেশ হিসাবে সারা পৃথিবীতে সুপরিচিত ছিল।সে দেশগুলো এখন ইসলামিক দেশ।

 

ভারতে কেন ধর্ম ভিত্তিক জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ প্রয়োজন তার একটি গবেষণালব্ধ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় পৃথিবীব্যাপী ইসলামিকিকরন সম্পর্কিত একটি গবেষণা থেকে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।তথ্য বলছে,কোন দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে যদি ২০% মুসলিম জনসংখ্যা হয় তখন সেই দেশে হিংস্র আন্দোলন দানা বাধতে থাকে।

 

২০% ছাড়ালেই ভয়ংকর দাঙ্গা জেহাদি কার্যকলাপ,খুন জখম,ধর্ষন ধর্মস্থানের পবিত্রতা নস্ট করা,অগ্নিসংযোগ প্রাত্যহিক জীবনের দুঃস্বপ্ন হয়ে উঠে।যার সাথে ভারতের হুবহু মিল রয়েছে।জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ

 

দেশভাগের পর ভারতে যে সাড়ে তিন কোটি মুসলিম রয়ে গিয়েছিল তাদের আনুগত্য এবং জাতীয়তা নিয়ে বিগত সরকারগুলো কোন কথা বলেনি।হিমালয় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত ভারতের সর্বত্র আজ তারা উজ্জীবিত।একটাই উদ্দেশ্য হারানো রাজত্ব ফিরিয়ে আনা।তারা দূরদর্শী ও বিচক্ষণ ছিল। তারা দেশভাগ দাবি করেছিল কিন্তু দাবি করেনি লোক বিনিময়।কারন এই সাড়ে তিন কোটি মুসলিম ভারতে থেকে গেলে যে আরো একটি পাকিস্তান পাওয়ার সম্ভবনা উজ্জ্বল তা তারা বুঝতে ভুল করেনি।

 

দেশভাগের পর বিগত সরকারগুলো কংগ্রেস এবং বামেরা কোনদিন মুসলমানদের কোন কাজে বাধা দেয়নি নির্বিঘ্নে তারা তাদের ভিত শক্ত করেছে এবং এমন এক সময়ে বর্তমান সরকার এই সমস্যাকে সামনে নিয়ে এসেছে যা আরও বহু বছর আগেই এই সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসা উচিত ছিল।সেই জন্যই প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেস এবং বামেরা ভারতকে টুকরো করার উদ্দেশ্য নিয়েই এতদিন রাজত্ব করে গিয়েছিল।

 

আড়াইশ বছর আগেও বাংলাভাষী ৯০% মানুষ ছিল হিন্দু ধর্মাবলম্বী।৯০% থেকে এখন এসে দাঁড়িয়েছে ৩৩%এ।সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমেছে ১.৯৪% হারে ঠিক তার উল্টো মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে ১.৮৮% হারে এবং এই ক্রমোন্নতি দিনদিনই বাড়ছে।ফলে এখনই রাশ না টানলে জনসংখ্যার অসাঞ্জস্যতার কারনে ভারতে আরেকটা পাকিস্তানের সৃষ্টি হবে।জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ

মুসলমান দাবি করে ভারতে তাদের জনসংখ্যা ২০ কোটি আর কংগ্রেস সরকার থেকে প্রচার করা হত ১৫ কোটি।১৯৪৭ সালের ন্যায় হিন্দুকে রক্ত দিয়ে এই মিথ্যা প্রচারের মূল্য দিতে হচ্ছে ভারতের নিরিহ জনগনকে।ষড়যন্ত্রটা প্রথম থেকেই ছিল।দেশভাগের পর ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তাব যখন এসেছিল তখন দেশের একটি অংশের নাম যদি পাকিস্তান হয় তাহলে অপর অংশের নাম হোক হিন্দুস্থান।কিন্তু তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল কংগ্রেস।তাদের বক্তব্য ছিল দেশের নাম হিন্দুস্থান হলে হিন্দুর প্রাধান্য সূচিত হবে।

 

প্রকৃতপক্ষে হিন্দু জাতিকে দুর্বল করা ও হিন্দু বা ভারতীয় জাতীয়তাবাদকে ধ্বংস করার এটি ছিল একটি কুটিল চক্রান্ত।যার ধারাবাহিকতা আজও অব্যাহত আছে।সুপরিকল্পিত প্রচারের ফলে অবস্থা এমন হয়ে দাড়িয়েছে যে,মুসলমান পরিচয় গৌরবের আর হিন্দুর পরিচয় হল কলঙ্কের।এই প্রচার বিশ্বব্যাপী এমন ভাবে ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে যে যার ফল এখন ভারতীয় হিন্দুদের ভোগ করতে হচ্ছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ

 

গেরুয়া পোশাক তিলক মালা চন্দনের ফোটা মহিলাদের সিদুর পরা ভারতের অনেক রাজ্যে এখনো আতঙ্কের মনে করা হয়।এই সুপরিকল্পিত প্রচারের একটাই উদ্দেশ্য হিন্দুদের হেয় প্রতিপন্ন করে ভারতকে সারা বিশ্বে একটি অসহনশীল জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা।এই উদ্বেগ থেকে ভারতীয়রা মুক্তি চায়।তাই তারা হিন্দুত্বের মশাল নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে এবং ভারতকে তার অতীত ফিরিয়ে দেয়ার অঙ্গীকার নিয়ে।