কোরআন

বাংলাদেশের আবার কোরআন সহ পূজা মন্ডপ মিজান নামে এক ব্যক্তি আটক হয়েছে।

পূজা মন্ডপ: আরেক‌টি কুমিল্লা থে‌কে রক্ষা পেল হবিগঞ্জবাস । গল্প চিত্রনাট্য একই শুধু নায়ক ভিন্ন । আজ দুপর ২ ঘটিকায় হবিগঞ্জ জেলায় চৌধুরী বাজার এলাকায় ৫০ বছরের পুরানো চৌধুরী বাজার সার্বজনীন পূজা মন্ডপে কোরান শরীফ রেখে দিয়ে যাওয়ার সময় হাতেনাতে ধরা প‌ড়ে‌ছে -মিজান(২৫) নামক এই ভন্ড জানোয়ার। স্থানীয় হিন্দুুরা পুলিশের হাতে তুলে দেয় তা‌কে।
প্রাথমিক জিঙ্গাসাবাদে জানা যায় তার বাড়ি নোয়াখালী বলে পরিচয় দিচ্ছে।চৌধুরী বাজারে প্রায় ৭০%হিন্দুু ব্যবসায়ী ।

বাংলাদেশের আবার কোরআন সহ পূজা মন্ডপ মিজান নামে এক ব্যক্তি আটক হয়েছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার চৌধুরী বাজার সার্বজনীন পূজা মন্ডপে অল্প কিছুক্ষণ আগে কোরআন শরীফ সহ এই ব্যক্তিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ আটক করেছে। তাকে বর্তমানে স্থানীয় চৌধুরী বাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আটক রাখা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের নাম মিজান এবং বাড়ি নোয়াখালি বলে জানিয়েছে।

স্থানীয় সূত্র মারফত ঘটনার বিস্তারিত বিবরণে জানা গেছে, আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে মিজান নামের এই যুবককে মন্ডপের কাছে সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরা করতে দেখে নায়েবের পুকুরপাড় এলাকার স্থানীয় সানি রায় নামে এক ব্যক্তির সন্দেহ হয়।
সানি রায় এলাকার সকলকে বিষয়টি জানানোর সময় একপর্যায়ে মিজান মন্ডপে ঢুকে পরে। পরবর্তীতে এলাকাবাসী তাকে ধরে ফেলে।
পূজা কমিটির সেক্রেটারি ইমন পাল বিষয়টি হবিগঞ্জ সদর থানার ওসিকে অবগত করলে নিকটস্থ চৌধুরী বাজার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে তাকে আটক করে। এসময় তার ব্যাগ তল্লাশী করে একটি কোরআন শরীফ পাওয়া যায়।
পূজামন্ডপে এই ব্যক্তির ঢুকার উদ্দেশ্য কি এটা আমাদের স্পষ্ট করতে হবে। অল্প কিছুদিন আগে শারদীয় দুর্গাপূজার সময় কুমিল্লার নানুয়ারদীঘির পাড়ের পূজামন্ডপে কি ঘটেছিল আমরা ভুলে যায়নি।
এটাও ভুলে যায়নি, কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে মাত্র এক মাস আগে দেশের বিভিন্ন জেলায় হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর কি পরিমাণ পরিকল্পিত তান্ডব চলেছিল। হবিগঞ্জে আজকের এই ঘটনার দ্রুত তদন্ত করা হোক, সত্যটা সামনে আসুক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।।
নিলয় চক্রবর্তী।
১৯শে নভেম্বর ২০২১ ইং।।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়চ এর প্রধান রবীন্দ্র ঘোষ বিষয়টি সোসাল মিডিয়া মাধ্যমে সামনে এনেছে। তার ফেজবুক ওয়াল থেকে সরাসরি তুলে দেওয়া হল।

সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জিলার নবীগঞ্জের পূজামণ্ডপে মাদ্রাসা ছাত্রদের হামলা, ওসিসহ আহত ২০ । (১৪।১০।২০২১ এর ঘটনা) বৃহস্পতিবার (১৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামে কুমিল্লায় কুরআনের অবমাননার কথিত অভিযোগে পূজামণ্ডপে হামলা, ভাঙচুর চালিয়েছে স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্ররা।

এতে মাদ্রাসা ছাত্রদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে পূজারীদের। সংঘর্ষে নবীগঞ্জ থানার ওসিসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুজনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনাটি ঘটেছে সাম্প্রদায়িক প্রতিহিংসার ফলস্বরূপ ।

আহতরা হলেন- নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ (৪২), বদরুল হোসেন (১৬), সাজনা বেগম (৩০), সতিশ দাশ (৬২), অপু দাশ (৩৫), প্রিয়াংকা দাশ (২২), কুটন দাশ (৩৫), সুপ্রদীপ দাশ (২৫), সৈতেন্দ দাশ (৬৫), ইব্রাহিম মিয়া (৩০), বনজিত দাশ (৫৫), পুরভী দাশ (৫২), বিউটি দাশ (২০), রূপু দাশ (৩৫), গুরুধন দাশ (৬০), আশীষ দাশ (৩০)।

এরমধ্যে গুরুতর আহত অবস্থায় পুরভী দাশ (৫২), বিউটি দাশ (২০) সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। নবীগঞ্জ হাসপাতালে রূপু দাশ (৩৫), গুরুধন দাশ (৬০), আশীষ দাশকে (৩০) ভর্তি করা হয়েছে।

বাংলাদেশ মাইনরিটিি ওয়াচের প্রতিনিধি সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার সাম্প্রদায়িক ঘটনাকে কেন্দ্র করে নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও ইউনিয়নের গুমগুমিয়া গ্রামের পাঞ্জারাই জিকে ওয়াই দাখিল মাদ্রাসার ছাত্ররা স্থানীয় যুবকদের নিয়ে মিছিল করে গুমগুমিয়া গ্রামের দুর্গা মন্দিরে ঢুকতে চাইলে হিন্দু ধর্মাবলম্বী পূজারীবৃন্দ বাধা দেন। এতে তাদের সাথে মাদ্রাসা ছাত্রদের বাকবিতন্ডায় হয়।

এক পর্যায়ে দুর্গাপূজার মণ্ডপের সামনের লাইটিং ও অন্যান্য সামগ্রী ভাঙচুর করে পূজারীদের ওপর হামলা করা হয়। এরপর মিছিলকারীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় মিছিল থেকে ইটপাটকেলও নিক্ষেপ করা হয় পূজামণ্ডপের দিকে। 

খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করলে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. ডালিম আহমদ মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে নবীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর হবিগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ মিলাদ, সিলেটের ডিআইজি মো. মফিজ উদ্দিন, হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এস এম মুরাদ আলী, হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আলমগীর চৌধুরী,

নবীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম, নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন, এএসপি (নবীগঞ্জ সার্কেল) আবুল খায়ের ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয় পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে করেন। এঘটনার পর-পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল গুমগুমিয়া গ্রামে মোতায়েন করা হয়েছে।

নবীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আমিনুল ইসলাম ও এস, আই মোঃ নাইমুদ্দিন বাংলাদেশ মাই্নরিটি ওয়াচ কে বলেন, ‘বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এস, আই নাইমুদ্দিন বলেন মামলা নং ১৫ তারিখ ১৬।১০।২০২১ ধারা ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/১৪৯/৪৪৯/৪৪৮/৩২৩/৩২৪/৩২৫/৩৭৯/৪২৭/
১৮৬/ ৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৩০৭/১১৪ দণ্ডবিধি আসামীরা হল ঃ ১) হিবযুর রাহমান (৪০) ২) জুনায়েদ (৩৫) , ৩) সাহেল মিয়া (২৮), ৪) তোফাইল মিয়া (২৫) , ৫) আবু তাহের (২৫) সহ আরও ১০০ থেকে ২০০ জন হামলাকারী । এ যাবৎ ছয় জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে ।

এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন বলেন বি , ডি ,এম , দাব্লুকে ‘বর্তমান পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে । হবিগঞ্জ জেলার জেলা প্রশাসক ইসরাত জাহান বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি অ্যাডঃ রবীন্দ্র ঘোষকে জানান হবিগঞ্জে ২ টি ঘটনা ছাড়া আর কোন ঘটনা ঘটে নি। কোতওয়ালির ঘটনা নগন্য । ভাংচুরের ঘটনা জানাচ্ছেন নবিগঞ্জের প্রতিনিধি ।

বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচ এহেন সাম্প্রদায়িক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন । অতি সত্বর হামলাকারীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে সকল আসামিদের শাস্তির বাবস্তা করার দাবী জানাচ্ছে। পুজার স্তান অনতিবিলম্বে পুনঃ নির্মাণ করে সেখানে পুজার পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য দাবী জানাচ্ছে। সংখ্যালঘুদের মনের ভয় দূর করার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে ।

Madrasa students attack puja mandapa in Nabiganj of Habiganj district of Sylhet division, 20 injured including OC. (Incident of 14.10.2021)

Students of a local Islamic in Nabiganj upazila of Habiganj on Thursday (October 14) at around 6pm. The worshipers clashed with the madrasa students. 20 people including OC of Nabiganj police station were injured in the clash. The two have been sent to Sylhet in critical condition. This happened as a result of communal revenge.

The injured have been identified as Officer-in-Charge (OC) of Nabiganj Police Station Dalim Ahmed (42), Badrul Hossain (18), Sajna Begum (30), Satish Das (62), Apu Das (35), Priyanka Das (22) and Kutan Das (35). ), Supradeep Das (25), Saitend Das (65), Ibrahim Mia (30), Banjit Das (55), Purvi Das (52), Beauty Das (20), Rupu Das (35), Gurudhan Das (60), Ashish Das (30).

Among them, Puravi Das (52) and Beauty Das (20) have been sent to Sylhet MAG Osmani Medical College Hospital in critical condition. Rupu Das (35), Gurudhan Das (60) and Ashish Das (30) have been admitted to Nabiganj Hospital.

According to a representative of Bangladesh Minority Watch, the students of Panjarai GKY Dakhil Madrasa in Gumgumia village of Kargaon union of Nabiganj upazila tried to enter the Durga temple of Gumgumia village in a procession with the help of Hindu priests.

The Madrasa students got into an argument with them. At one stage, the worshipers were attacked by vandalizing the lighting and other items in front of the Durga Puja mandapa. The protesters then clashed. The procession at this time Brick bats are also thrown towards the puja mandapa.

Nabiganj police arrived at the scene and tried to control the situation, said Nabiganj police OC. Dalim Ahmed was hit in the head. He was later admitted to Nabiganj Hospital. After the incident, Habiganj-1 MP Gazi Mohammad Shahnawaz Milad, Sylhet DIG. Mofiz Uddin, Habiganj Superintendent of Police SM Murad Ali, Habiganj District Awami League General Secretary Advocate Alamgir Chowdhury,

Nabiganj Upazila Parishad Chairman Fazlul Haque Chowdhury Selim, Nabiganj Upazila Nirbahi Officer Sheikh Mohiuddin, ASP (Nabiganj Circle) Abul Khair reached the spot and discussed with both sides. By controlling the situation. Several teams of police and detective police have been deployed in Gumgumia village after the incident.

কোরআন, কোরআন, কোরআন

আর পড়ুন….