ওঁ বা ওম কে, কেন শব্দের জননী বলা হয়? আজ আমি এমন একটি ‘শব্দ’ নিয়ে আলোচনা করবো যা আমরা প্রতিনিয়ত উচ্চারণ করি। কিন্তু মানে জানি না। আমি বাংলায় ব্যাখ্যা করছি বাঙ্গালী বন্ধুদের কথা ভেবে।
গুরুদেব মুচকি হাসলেন। বললেন এই পাথরের মত অনেক জিনিস আছে আমরা মূল্য জানি না। অথচ সেই জিনিসগুলি আমাদের চেনা জানা পরিশরের মধ্যে। এই রকমই একটা জিনিস “ওম”। কি আমরা এর মানে জানি? মূল্য জানি এর? অতি অবশ্যই হিন্দুদের জিজ্ঞাসা করছি। আগে দেখুন।
ঋষি প্রজাপতি সর্বজ্ঞানে গুণান্বিত বলে প্রতিষ্ঠিত। যাঁর কাছে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর আছে। একদিন দেবতা কার্ত্তিক ঋষি প্রজাপতির আসেন। “ওম” শব্দের অর্থ জানতে চান। হতচকিত ঋষিবর। কোন উত্তর ছিল না। ক্রোধান্বিত হন দেব সেনাপতি। বন্দী করে নেন ঋষিবরকে।
শুরু হল চরম অঘটন। স্বর্গ – মর্ত্য – পাতাল রসাতলে জাবার যোগার। ফুল খেলা বন্ধ করে দিল। গান আর গান না পাখী। ফল দেয় না গাছ।
সৃষ্টি বিলুপ্ত হওয়ার জোগাড়। সমস্ত দেব দেবী সংকট মোচনকারী শিবের কাছে প্রার্থনা করলেন। অবশেষে আশুতোষ শিব অবতীর্ণ হলেন ময়দানে। পুত্র কার্ত্তিককে জিজ্ঞাসা করেন ঋষিবরকে কেন বন্দী করেছে। দেব সেনাপতি খুব তাৎপর্যপূর্ণ উত্তর দিলেন। —
“যাঁর কাছে সমস্ত প্রশ্নের উত্তর থাকার কথা তিনিই “ওম” শব্দের মানে জানেন না। এবার পুত্র সরাসরি পিতাকেই জিজ্ঞাসা করেন — “কি আপনি এর মানে জানেন”?
মুচকি হাসলেন সর্ব ভুতেষু । বললেন আমি তোমার কাছে জানতে চাই পুত্র। দেব সেনাপতিও হারবার পাত্র নয়। —- ” আমি বলতে পারি, কিন্তু আপনাকে আমার শিষ্যত্ব নিতে হবে “। হাসলেন দেবাদিদেব। বললেন “মানলাম তোমাকে গুরু”।
‘অ’ – ‘ও’ – ‘ম’।
অ+ও = ও
ও+ম = ওম।
যে কোন ব্যক্তি যে কোন ভাষারই হোক না মুখ খুললেই ‘অ’ বেড়িয়ে আসে। ‘অ’ এর সঙ্গে ‘ও’ জুড়ে ‘ও’। ‘ও’ এর সাথে ‘ম’ জুড়লে “ওম” পাই।
‘অ’ — অভিব্যক্তি,
‘ও’ — স্বপ্নাবস্হার প্রকাশ,
‘ম’ — প্রাপ্তি।
মানূ “ওম” মানে সমস্ত গুণের প্রকাশ। ঈশ্বরের অদ্ভুত রূপ। “ওম” মানে সত্যম – শিবম – সুন্দরম। “ওম” মানে ঈশ্বরের আরখধোনা।
“ওম”
—- ” গণেশায় নমঃ”
—– “নমঃ শিবায়ঃ “
—– ” নমঃ নারায়ন “
—- ” নমঃ বাসুদেবায়”
—- ” দেবী দুর্গায় নমঃ”
—- ” কালিকায় নমঃ”
—- “কার্তিকেয় নমঃ”।
ওম এর গুরুত্ব
ওম তিনটি শব্দে দিয়ে গঠিত যা ত্রিদেব ব্রহ্মা , বিষ্ণু এবং মহেশ প্রতিকি এবং ত্রিলোক ভুরভুবা: স্ব: ভুলোক ভূয়া: লোকা এবং স্বর্গের লোকা।
উপকারিতা
পদ্মাসনে বসে এটি জপ করা মনকে শান্তি এবং একাগ্রতা দেয়, বিজ্ঞানীরা এবং জ্যোতিষীরা বলেছেন যে দাঁত, নাক, জিহ্বার সমস্ত কিছুই ওম এবং একাক্ষরী মন্ত্র পাঠ করতে ব্যবহৃত হয় যা হরমোনীয় ক্ষরণকে হ্রাস করে এটি ঘটে এবং গ্রন্থিযুক্ত ক্ষরণ হ্রাস করার মাধ্যমে, এই শব্দটি অনেক রোগের বিরুদ্ধে রক্ষা করে এবং দেহের সাতটি চক্রকে জাগ্রত করে (কুণ্ডলিনী)। সুত্র
- আমাদের সভ্যতাই দিতে পারে উৎসব ও প্রকৃতি কৃতজ্ঞতার বন্ধন।-দুরর্ম
- করাচী শ্রীরামকৃষ্ণ মিশনে জেহাদী আক্রমণ, ৬০ হাজার দুঃপ্রাপ্য বই পুড়িয়ে দেওয় হয়।
- আমাদের সুপ্রাচীন সভ্যতার গৌরবময় মহান ঐতিহ্য জানতে হবে, সময় এসেছে ভুল সংশােধনের।
- ঈশ্বরের যদি জাত না থাকে, তাহলে হিন্দুদের মধ্যে জাতিভেদ থাকবে কেন ?-দুরর্ম