অলৌকিক মন্দির: যেখানে তেল দিয়ে নয়, জল দিয়ে প্রদীপ জ্বলে। ভারতে এমন অনেক মন্দির রয়েছে, যেগুলি তাদের বিস্ময়কর এবং অলৌকিকতার জন্য বিখ্যাত। ভারতে এমন অনেক মন্দির রয়েছে যার রহস্য আজ অবধি কোনও উন্মোচন করতে পারেনি।
এমনকি বিজ্ঞানীরাও তাদের সর্বচ্ছ চেস্টা করেছেন। আজ আমরা আপনাকে ভারতের এমনই এক মন্দিরের কথা বলতে যাচ্ছি, যার সম্পর্কে শুনলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। তো চলুন জেনে নিই এই আশ্চর্য মন্দির সম্পর্কে…
অলৌকিক মন্দির: বর্ষাকালে মন্দির পানিতে ডুবে যায়
মধ্যপ্রদেশের গাদিয়াঘাট ওয়ালি মাতার নামে বিখ্যাত এই মন্দিরটি বর্ষাকালে জলে তলিয়ে যায়। যার কারণে বর্ষা কালে পূজা করা সম্ভব হয় না। জলে ডুবে থাকা মন্দির দেখে আমাদের চোখ স্তব্ধ। অলৌকিকতায় ভরা এই মন্দিরটি দেখতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এখানে আসেন। কিন্তু বর্ষাকালে মন্দিরে যাওয়া সম্ভব হয় না।
অলৌকিক মন্দির: এটি তেল দিয়ে নয়, জল জ্বলে।
আমরা যে মন্দিরের কথা বলছি সেটি আসলে মধ্যপ্রদেশে অবস্থিত, যার অলৌকিক হল এই মন্দিরে জ্বলন্ত প্রদিপ তেল দিয়ে নয়, জল দিয়ে জ্বলে। এই মন্দিরটি মধ্যপ্রদেশের কালিসিন্ধ নদীর তীরে অবস্থিত আগর মালওয়ার নলখেদা গ্রাম থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে গাদিয়া গ্রামের কাছে ।
যা গাদিয়াঘাট ওয়ালি মাতা জি নামে পরিচিত। এই মন্দিরের পুরোহিতরা জানান যে মন্দিরে প্রদিপ প্রথম থেকেই সর্বদা তেল দিয়ে জালানো হত, কিন্তু কয়েক বছর আগে, মা স্বপ্নে মন্দিরের এক পুরোহিতের কাছে হাজির হন এবং জল দিয়ে প্রদীপ জ্বালাতে বলেন।
এরপর সকালে পুরোহিত কালিসিন্ধ নদী থেকে জল নিয়ে প্রদিপে ভরে ঢেলে দেন। তার পর চলন্ত ম্যাচটি কাটি প্রদীপে রাখা তুলোর সলতের কাছে নিয়ে গেলে আগুনের শিখা জ্বলতে থাকে।
এই দৃশ্য দেখে পুরোহিত নিজেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এবং প্রায় 2 মাস কাউকে এ বিষয়ে কিছু বলেননি। তার পর তিনি ২মাস পর গ্রামবাসীকে বিষয়টি জানালে প্রথমে কেউ তাকে বিশ্বাস করেনি। যখন গ্রাম বাসি তাকে বিশ্বাস করছিল না তখন তিনি নদী থেকে জল এনে প্রদীপে ঢেলে জ্বালিয়ে দিলে তা জ্বলে ওঠে।
এরপর এই অলৌকিক ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে গোটা গ্রামে। কথিত আছে, সেই থেকে আজ পর্যন্ত কালিসিন্ধ নদীর জল থেকেই এই মন্দিরে প্রদীপ জ্বালানো হয়।
একটি প্রচলিত বিশ্বাস যে বাতিতে জল ঢাললে তা সান্দ্র তরলে পরিণত হয় এবং প্রদীপে রাখা শিখা জ্বলতে থাকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষাকালে জল মন্দিরে উঠে যায় তাই ঐ সময় মন্দির বন্ধ থাকে। কারণ এই মন্দিরটি কালী সিন্ধু নদীর জলতে তলিয়ে যায় বর্ষাকালে জলর উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে এখানে পূজা করা সম্ভব হয় না।
তাই, শারদীয়া নবরাত্রির প্রথম দিনের এখানে আবার শিখা জ্বালানো হয়, যা পরবর্তী বছরের বর্ষাকাল পর্যন্ত জ্বলতে থাকে।
আর পড়ুন….