৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ

রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থে কুয়োর-ব্যাঙ চাষ প্রকল্প!-দুরর্ম

রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থে কুয়োর-ব্যাঙ চাষ প্রকল্প সাপের খামার। “ বাংলাদেশে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজাল জানান, সারা দেশের ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

একনেকে অনুমোদন পাওয়া প্রকল্প প্রস্তাব অনুযায়ী মডেল মসজিদের খতিব ও ইমামসহ সবাই জাতীয় স্কেলে বেতনভাতা পাবেন।  সব মসজিদের নকশা একই রকম হবে। তিন ক্যাটাগরিতে মসজিদগুলো নির্মিত হবে। জেলা শহর ও সিটি করপোরেশনে এ ক্যাটাগরির ৬৮টি চারতলাবিশিষ্ট মডেল মসজিদে থাকবে লিফট-এসি। 

বি ক্যাটাগরির মসজিদ হবে ৪৭৬টি। আর সি ক্যাটাগরির মসজিদ হবে ১৬টি, যেগুলো নির্মিত হবে উপকূলীয় এলাকায়”।– সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক

একটা অচল শিক্ষা ব্যবস্থাকে কি করে রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রমোট করা হয় এটি তার নিকৃষ্ট উদাহরণ। যেখানে মাদ্রাসা শিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করে দেশের সবাইকে জেনারেল শিক্ষা ব্যবস্থায় আনার কথা, উল্টো প্রথম শ্রেণীর সরকারি বেতন-ভাতা দিয়ে মধ্যযুগীয় নারীনীতি, সহিংস সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রচিন্তা যে শিক্ষা ব্যবস্থায় পড়ানো হয় তাকেই বেতন-ভাতা দিয়ে জনগণের কাছে লোভনীয় করে তোলা হলো।

৫৬০টি মডেল এই মসজিদ এবং ‘ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ গড়ে তোলা হবে সৌদি আরবের টাকায়। উপকূল মানে পর্যটন এলাকাগুলোতে মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার অর্থই হচ্ছে মানুষের বিনোদনের জায়গাগুলোকে বিপদজনকভাবে ‘ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ দিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ করে রাখা।

‘ইসলামিক সাংস্কৃতি’ গড়ে তুলতে সরকার যেচে সৌদি সরকারের কাছে ভিক্ষা চাওয়া মানে কি হতে পারে? বাঙালী সাংস্কৃতি যা আধুনিক শহুরে ধাচে পহেলা বৈশাখ, রবীন্দ্র জয়ন্তী, নজরুল জয়ন্ত্রী, বাউল উৎসব- এসবকে সংকুচিত করে, কখনো কখনো অনুমোদন না দিয়ে ‘ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র’ গড়ে তোলার একটাই অর্থ- রাষ্ট্রীয়ভাবে শাসক দল চাচ্ছে এদেশে ইসলামী কালচারই গড়ে উঠুক।

“গত বছরের ৩ থেকে ৭ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফরে সৌদি বাদশাহর সঙ্গে আলোচনায় দেশব্যাপী মডেল মসজিদ নির্মাণের বিষয়টি তুলে ধরে সহযোগিতার প্রস্তাব করলে সৌদি আরব তাতে সম্মতি দেয়। সফর শেষে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী এই মডেল মসজিদের নকশা তৈরিসহ সামগ্রিক বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে নির্দেশ দেন”।-সূত্র: দৈনিক ইত্তেফাক 

সাপের খামারের মালিককে সুযোগ পেলে সাপ কিন্তু ছোবল দিতে দুবার ভাববে না…।

মাসুদ রানা- ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়

আরো পড়ুন….