গান্ধী-নেহেরু

গান্ধী-নেহেরুর তৈরী কালসাপের ছোবলে ভুগতে হবে আমাদের।

গান্ধী-নেহেরুর তৈরী কালসাপের ছোবলে ভুগতে হবে আমাদের। জিন্না, মাউন্টব্যাটন এবং করম চাঁদ গান্ধী আর তার আশীর্বাদ ধন্য লোভী নেহেরু “পাকিস্তান” নামক একটি দেশ তৈরী করেছিলো। এই দেশ টি আসলে একটি “মারাত্মক কালসাপ”।

প্রাচীন ভারতের অন্তরাত্মা, সনাতনী বৈদিক সভ্যতার সুতিকাগার আজ “জেহাদী সন্ত্রাস নামক কালসাপ” এর  সুতিকাগার”।  সমুদ্র মন্থন করে যেমন ঊঠেছিলো “অমৃত”, তেমনি ঊঠেছিলো “গরল”।

মানব সভ্যতার ইতিহাসে “জেহাদী তত্ব”- অর্থ্যাত,— অন্যের দেশ দখল , অন্যের সম্পত্তি লুঠ করা, নারী নির্যাতনের মতো একটি “ধর্মের খোলষে অমানবিক মতবাদ” কখনো তৈরী হয়নি।

বিগত প্রায় ১৫০০ বছর ধরে “জেহাদ” যতো মানুষের রক্ত ঝরিয়েছে, যতো নারী নির্যাতন করেছে, যতো পরদ্রব্য লুট করে নিজেরা আরাম আয়াষে থেকেছে, তার দ্বিতীয় কোনো নজির নেই।

হিটলার এর নাৎসী বাহিনী মেরেছিলো ৬ মিলিয়ন (ষাট লক্ষ)। স্ট্যলিন মেরেছিলো ৩০ মিলিয়ন (তিন কোটি) পল পট ১০ মিলিয়ন (এক কোটি)।

ইতিহাস এদের ক্ষমা করেনি। তবে এরা বেশীদিন টিকে থাকেনি। তাই বেশী মানুষ মারতে পারেনি।

‘মদিনা সনদ’ তৈরী হওয়ার পর, মদিনার ইহুদী “বানু কুরাইজা” নামে একটি পুরো সম্প্রদায় পৃথিবীর মাটি থেকে বিলীন হয়ে গেলো।

“জেহাদী বিষ” এর উদ্গাতার নিজের বংশ “ কুরাইশ” দের ও নির্বিচারে হত্যা করা হলো, কারন এরা জেহাদের বিরোধিতা করেছিলো।

সেই শুরু হলো “ ধর্মীয় জেহাদ”। এই কালসাপ সেই ৬২২-২৩ থেকে শুরু করে আজ অবধি তার গরল ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে সারা পৃথিবীতে।

ইরান, ইরাক, আফগানিস্তান, মধ্য প্রাচ্য, মধ্য এশিয়ার সমস্ত অঞ্চল, ভারতবর্ষ, উত্তর আফ্রিকার সমস্ত দেশ, ভুমধ্য সাগরীয় দেশ গুলি, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার কোথায় না এই “কালসাপের বিষ” ঝরছে??? সেই বিষের জ্বালায় মানুষ মরছে, ত্রাহি ত্রাহি রবে ডাক ছাড়ছে।

১৯৪৭ সালে করম চাঁদ গান্ধীর মদতে, ব্রিটিশের ষড়যন্ত্রে, জিন্না আর নেহেরুর লোভে তৈরী হোলো “না-পাকস্তান”।

শুরু থেকেই এই ‘না-পাকস্তান’ ভারতের ওপরে করে চলেছে তার বিষোদ্গারন। কারন কি? কারন সেই পুরানো “জেহাদী তত্ব”। জিন্নার ভাষায় “To complete the unfinished agenda”—– of Islamisation of whole of India. ভারতে বসবাসকারী রা হিন্দু, হিন্দুরা কাফের, ওদের কাছে ‘না-পাক’= অপবিত্র।

এদের হয় ‘ ধর্ম পরিবর্তন করে পবিত্র করো’ নয় শেষ করো, মারো ধরো যাই করো সেটাই বেহেস্তের দরজা পার হবার মতো এক পুন্য কাজ।

এই অমানবিক মতবাদ যে বা যারা বলে এবং করে তাদের “কালসাপ” ছাড়া আর কি বলা যায়?

বর্তমান ‘না-পাকস্তানের’ শাসন, বরাবর পাঠান বা আফগানিস্তানের ‘উপজাতি’দের বংশধরদের হাতে রয়েছে।

বৈদিক সনাতনী দর্শন অনুসারীদের এরা চরম ঘৃনা করে। প্রতিনিয়ত এদের প্রার্থনা স্থলে এই ‘কাফেরদের’ বিরুদ্ধে বিষোদ্গারন চলছে, গালাগালি দিচ্ছে অকথ্য ভাষায়, জেহাদী তত্বের তালিম চলছে এদের “জেহাদী পাঠশালা” গুলিতে।

এই ‘জেহাদী সংগ্রাম’ কে বাস্তবায়িত করার জন্য যেমন অসংখ্য “জেহাদী সৈনিক’ তৈরী হচ্ছে মুড়ি মুড়কির মতো এখানে সেখানে গজিয়ে ওঠা “জেহাদী পাঠশালায়”, তেমনি বানানো হয়েছে অত্যাধুনিক সৈন্য বাহিনী যাদের হাতে আছে “পারমানবিক বোমা”। ভারতীয় কাফেরদের জন্যই এইগুলি তৈরী হয়েছে।

সাপ আসলে ভীতু প্রানী। বিপদ বুঝলেই “ফনা তোলে” আর সুযোগ পেলেই ছোবল মারে। এতোদিন এই কালসাপ ভালোই ছিলো।

লোভী নেহেরুর বংশ ভারত শাসন করেছে এবং সর্বোতোভাবে সাহায্য করেছে। কিন্তু  এবার তো বিপদ। বি বি সি র ভাষায় “হিন্দু ন্যাশালিষ্ট” ( পড়ুন জাতীয়দাবাদী কাফের) দিল্লির ক্ষমতায় আসীন।

পুরো কাশ্মীর হাত ছাড়া হতে চলেছে। বালুচিস্তান খুব শিঘ্রী যাবে। সিন্ধুদেশ চায় স্বাধীনতা, তারা রাস্তায় নেমেছে। আর উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ তো এই পাঠানদের পছন্দই করেনা।

সারা পৃথিবী জেনে গেছে “জেহাদী বুজরুকি”। কেউ ওদের পক্ষে নেই। একা, সম্পুর্ন একা। ভয়ে লেজ গুটিয়ে গেছে। তাই ফোঁস ফোঁস করছে। এবার ছোবল দেবার পালা।

গান্ধী-নেহেরুর তৈরী কালসাপের ছোবলে ভুগতে হবে আমাদের।

লেখক-ডাঃ মৃনাল কান্তি দেবনাথ

আরো পড়ুন….