প্লাস্টিক
জাতীয় বর্জ্য থেকে কৃত্রিম উপায়ে পেট্রোলিয়াম তৈরি করে এখন খবরের
শিরোনামে কেরলের ভি এস সৃজিত। কোদুনগাল্লুর সায়েন্স সেন্টারের প্রাক্তন এই
ডিরেক্টর বৈজ্ঞানিক উপায়ে বর্জ্য পদার্থকে অন্যভাবে ব্যবহার করার
প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বহুবছর ধরে। শেষ পর্যন্ত সফল্য এসেছে। প্লাস্টিক জাতীয়
বর্জ্য থেকে কম খরচে পরিবেশবান্ধব উপায়ে পরিশোধিত পেট্রল এবং
পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য প্রস্তুত করার এক অভিনব
জাতীয় বর্জ্য থেকে কৃত্রিম উপায়ে পেট্রোলিয়াম তৈরি করে এখন খবরের
শিরোনামে কেরলের ভি এস সৃজিত। কোদুনগাল্লুর সায়েন্স সেন্টারের প্রাক্তন এই
ডিরেক্টর বৈজ্ঞানিক উপায়ে বর্জ্য পদার্থকে অন্যভাবে ব্যবহার করার
প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন বহুবছর ধরে। শেষ পর্যন্ত সফল্য এসেছে। প্লাস্টিক জাতীয়
বর্জ্য থেকে কম খরচে পরিবেশবান্ধব উপায়ে পরিশোধিত পেট্রল এবং
পেট্রোলিয়ামজাত দ্রব্য প্রস্তুত করার এক অভিনব
পদ্ধতি আবিষ্কার করে চমকে
দিয়েছেন।
ত্রিচুর জেলার পেরিনজানাম গ্রাম পঞ্চায়েতের সহযোগিতায় তিনি একটি প্রোটোটাইপ পাইরোলাইসিস প্লান্ট বানিয়েছেন।
প্লাস্টিক to পেট্রোলিয়াম:
- প্লান্টে উৎপন্ন গ্যাসের সাহায্যে প্রথমে উচ্চ তাপে প্লাস্টিক ওয়েস্টেকে উত্তপ্ত করতে হবে।
- প্লাস্টিক জাতীয় বর্জে উপস্থিত দীর্ঘ শৃঙ্খল হাইড্রোকার্বনগুলিকে এর পর জল ব্যবহার করে ঘনীভূত করতে হবে।
- প্রাপ্ত তরল থেকে অশুদ্ধি গুলি আলাদা করে অবশিষ্ট তরলকে পরিশোধিত পেট্রোলিয়ামে রূপান্তরিত করতে হবে।
- উপস্থিত ছোট-শৃঙ্খল হাইড্রোকার্বনগুলি গ্যাস হিসেবে অবশিষ্ট পরে থাকবে। এলপিজি বা বায়োগ্যাস জন্য এগুলিকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি আরো দাবি করেছেন প্লাস্টিক থেকে নিষ্কাশিত এই পেট্রোলিয়াম
থেকে পাতন পদ্ধতিতে পেট্রল এবং তার্পিন বা মোমের মতন অন্যান্য উপজাত
দ্রব্যও পাওয়া যাবে। তিনি আরও দাবি করেন, তাঁর তৈরি এই প্লান্টটির
সাহায্যে ১০ কেজি প্লাস্টিক থেকে প্রায় ৯লিটার ৬০০মিলিলিটারের মতো
পেট্রোলিয়াম প্রস্তুত করা সম্ভব।
ইতিমধ্যেই পরীক্ষামূলক ভাবে উৎপন্ন এই পেট্রোলিয়ামের সেম্পেল কোয়ালিটি টেস্টের জন্য পাঠানো হয়েছে পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানিগুলিতে। দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছেও এনওসি-র জন্য আবেদন করা হয়েছে।