বাংলাদেশের প্রথম নায়িকা পূর্ণিমা সেনগুপ্ত থেকে শুরু হয়ে হালের অপু বিশ্বাস কেউ কি এই জাল থেকে মুক্তি পায় নি!
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র জগতের নায়িকাদের অগ্রদূত সুমিতা দেবী ধর্মান্তরিত হয়ে চলচ্চিত্রকার জহির রায়হান কে বিয়ে করেন।পরবর্তীতে জহির রায়হান সুমিতা দেবীর সাথে ছলনা করে নায়িকা সুচন্দাকে বিয়ে করেন।লোভ এবং ক্ষমতার মোহ মানুষকে কোথায় নিতে পারে, তার বাস্তব উদাহরণ আরেক জন্মগত হিন্দু নায়িকা মিনা পাল ওরফে কবরী।
চটগ্রামের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী চিত্ত চৌধুরীর সহায়তায় তার সুন্দরী-অশিক্ষিত স্ত্রী মীনা পাল হয়ে গেল কবরী।এর কিছুদিন পরে যে স্বামী তার জন্যে এতো কিছু করলো, সেই চিত্ত চৌধুরীকে সামাজিক, মানসিক সহ আরো অসংখ্য দিক দিয়ে ধ্বংস করে দিয়ে নারায়ণগঞ্জের ক্ষমতাধর ওসমান পরিবারে বিয়ে করে কবরী হয়ে গেল কবরী সরোয়ার।
আর সর্বশেষে এমপি হবার লোভে ২০০৮ সালে তার দ্বিতীয় স্বামীকে ছেড়ে হয়ে গেল সারাহ বেগম কবরী। মা এক হলেও শুধু স্বামীরা ভিন্ন হবার কারণে কবরীর বাচ্চা কাচ্চারা একাধিক ধর্মের। (মীনা পাল > কবরী চৌধুরী > কবরী সরোয়ার > সারাহ বেগম কবরী >!? ) আর শ্রাবস্তী দত্ত তিন্নিতো ধর্মান্তরিত হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে কোনরকমে বেঁচে আছেন!!
রুপবান খ্যাত সুজাতা ও প্রেমের টানে ধর্মান্তরিত হয়ে নায়ক আজিম কে বিয়ে করেন।এছাড়া অপেক্ষাকৃত কম জনপ্রিয় নায়িকা নূতন,অঞ্জনা ও অভিনেত্রী রানী সরকার ও ধর্মান্তরিত হন।
অঞ্জু ঘোষ ধর্মান্তরিত হয়ে এফ কবির চৌধুরীকে বিয়ে করলেও ছাড়াছাড়ি হলে আবার নিজের জন্মগত ধর্মে ফিরে আসেন। হালের আলোচিত নায়িকা অপু বিশ্বাসের পরিনতি কি হবে তা সময়ই বলে দেবে। আমরা অবাক এবং বিস্মিত হয়ে যাই এ বিষয়গুলো নিয়ে ভাবলে!
তবে এইসবের মাঝেও মাত্র দুইজন ব্যতিক্রম একজন হারানো দিনের নায়িকা শবনব ওরফে ঝর্না বসাক আরেকজন যাত্রা সম্রাট অমলেন্দু বিশ্বাসের কন্যা অরুনা বিশ্বাস।উনারা নিজের জন্মগত ধর্মের উপর বিশ্বাস রেখে এখনো দিনযাপন করছে।
ধর্মত্যাগীরা কখনো সুখী হতে পারেনি, পারবেও না সো সাবধান প্রিয় ভাই-বোনেরা!
(সাথে রাখুন, সাথে থাকুন বন্ধুরা)
তথ্যসূত্র : সংগৃহীত