“কি করে হিন্দু ভারতের স্বাধীনতার সুর্য্য অস্তাচলে গেলো”………..।।।

প্রায় ১৪০০ বছর আগে চৌহান নামে এক ক্ষত্রিয় বংশ ছোট ‘সম্বর’ নগরীর আশ
পাশ অঞ্চলে নিয়ে এক ক্ষুদ্র রাজ্য স্থাপন করে। কনৌজের প্রতিহার বংশের এক
সামন্ত রাজা হিসাবে তারা ওই ছোট রাজ্য শাসন করতো। চৌহান বংশের রাজপুত্র রা
মুসলিম অধিকৃত সিন্ধু দেশের আরবী শাসক দের থেকে কিছু কিছু জায়গা দখল করে
নিজ নিজ শাসিত অঞ্চল তৈরী করে ঐ ছোট রাজ্যের চারিদিকে। এই ভাবে চৌহানদের
প্রভাব প্রতিপত্তি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। চৌহানেরা গজনীর মাহমুদের হাতে খুব
বেশী নিগৃহীত হয়নি। গজনী সাম্রাজ্য ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যাবার পর চৌহানেরা ধীরে
ধীরে হিন্দুদের হৃত দেশ পুনর্দখল করতে শুরু করে। দ্বাদশ শতাব্দি তে চৌহান
রাজ অজয়রাজ চৌহান আরাবল্লী এবং সম্বর পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যবর্তী ‘পুষ্কর’
নামক স্থানে (মহাভারতের পুষ্কর হ্রদ-যেখানে শ্রী কৃষ্ণের যাদব বংশ নিজেদের
মধ্যে মারা মারি করে ধ্বংস হয়েছিলো) এক উচু পাহাড়ের ওপরে এক দুর্গ স্থাপন
করেন। তার নাম হয় ‘অজয় মেরু’ । সেই নাম ক্রমে পরিবর্তিত হয়ে আজকের ‘আজমীর’
নাম হয়। এই আজমীরেই চৌহান দের নতুন রাজধানী স্থাপিত হয়।

অজয়রাজ
চৌহানের অধস্তন পুরুষেরা দিল্লী দখল করে নেয় ‘টোমার’ দের কাছ থেকে। দিল্লী
তখন একটি খুব ছোট্ট নগরী ছিলো। নাম ছিলো “ঈন্দ্রপ্রস্থ” (পান্ডবদের দ্বারা
প্রতিষ্ঠিত) । দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে চৌহান দের রাজা হন ‘পৃথ্বীরাজ-৩”
যাকে আমরা পৃথ্বীরাজ হিসাবে জানি । তিনি দক্ষিন পাঞ্জাব গজনবী দের কাছ থেকে
স্বাধীন করে নেন। তার অন্যান্য জ্ঞাতিরা উত্তর পাঞ্জাব, বর্তমান হিমাচল
প্রদেশ ও গজনবীদের হাত থেকে স্বাধীন করে নেয়। আবার অন্য দিকে ঘোরীরা
গজনবীদের কাছ থেকে আফগানিস্তান এবং কাশ্মীর দখল করে নেয়। দ্বাদশ শতাব্দীর
শেষ ভাগে এসে সেই ‘জিহাদী’ তুর্কি আর স্বাধীনতা কামী হিন্দু চৌহানেরা প্রায়
মুখোমুখি এসে পড়লো। সংঘর্ষ তো হবেই।
মোহাম্মদ ঘোরী পৃথ্বীরাজের
কাছে প্রস্তাব পাঠালো, গুজরাটের চালুক্যদের বিরুদ্ধে যৌথ আগ্রাসন চালাতে।
পৃথ্বীরাজ সেই প্রস্তাব ঘৃনার সংগে প্রত্যাখান করেন। ঘোরী তখন নিজেই ১১৭৮
সালে চালুক্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষনা করে। যদিও চালুক্যেদের সংগে চৌহানদের
সম্পর্ক বিশেষ ভালো ছিলো না, তবুও পৃথ্বীরাজ বর্বর বিদেশীদের বিরুদ্ধে
চালুক্যদের সংগে একযোগে ঘোরীর সংগে যুদ্ধ করেন। ঘোরী নিদারুন ভাবে পরাজিত
হয়ে ফিরে যায়।
হিন্দুস্তান এবং হিন্দুদের জীবন যাত্রা প্রনালী
সম্বন্ধে ঘোরীর জ্ঞান তার পুর্বসুরী ‘জিহাদী’ কাসিম এবংমাহমুদ গজনবীর চেয়েও
অনেক বেশী ছিলো। তার হাতে তখন ফা-রিস্তা এং আলবেরুনীর লেখা হিন্দু দর্শন,
হিন্দু বিজ্ঞান, হিন্দু অর্থনিতী এবং হিন্দু যূদ্ধ কৌশল সব কিছু ছিলো। সে
জানতো হিন্দুরা শান্তি প্রিয় এবং বিশেষ কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন মেনে
চলে। সেই নিয়ম কানুনের বাইরে কোনো কাজ করে না, করবেও না।।
১১৮৬ সাল
থেকে ১১৯০ সাল অবধি সে ‘জিহাদী’ রিজিয়া করলো চৌহান রাজ্যের সীমান্ত এলাকায়।
সেই একই পদ্ধতি। অল্প কিছু সৈন্য নিয়ে ঢুকে পড়ো, মার দাঙ্গা করো, ঘর বাড়ী
জ্বালিয়ে দাও, লুট তরাজ করো, কিছু হিন্দু মহিলাকে ধরে নিয়ে যাও। তারপর ১১৯0
সালে ঘোরী ‘সিরহিন্দ’ দুর্গ দখল করে নিলো। এই দুর্গ দখল করে এবং তার আশ
পাশ অঞ্চলে নিয়ে তার ক্ষমতা কেন্দ্রীভুত করে।।
ঘোরী খুব সন্তর্পনে
ভারতের মুল ভুখন্ডের মধ্যে ঢুকে পড়ছে এবং দিল্লীর দোর গোড়ায় পৌছে গেছে এই
খবর পৃথ্বীরাজের কাছে পৌছে গিয়েছিলো। চালুক্যদের কাছে পরাজিত হয়ে ঘোরী আরো
এগুবে সেটা বুঝতে একটু সময় লাগলেও ‘সিরহিন্দ’এর দখল নেবার পর পৃথ্বীরাজ
বুঝলেন তার অভিসন্ধি। পৃথ্বীরাজ জানতেন, ভারতের মুল ভুখন্ডের স্বাধীনতা
রক্ষার মুল দ্বায়ত্ব তার ওপরে, কারন দিল্লী তার রাজ্যে। তিনি সমস্ত রকম
প্রস্তুতি নিয়ে ‘সিরহিন্দ’ পুর্দখলের জন্য যুদ্ধ যাত্রা করলেন। এদিকে ঘোরী
পৃথ্বীরাজের স্বসৈন্যে আসার খবর পেয়ে তার সৈন্য বাহিনী নিয়ে এসে সম্মুখীন
হলো পৃথ্বীরাজের বিশাল বাহিনীর সামনে। বর্তমান থানেশ্বরের কাছে
‘পানিপথ’/তরাইন (পুর্বতন কুরুক্ষেত্র) নামক স্থানে দুই বাহিনী দাড়ালো সামনা
সামনি। সেটা ১১৯১ সাল।
ঘোরীর বল ছিলো গতিশীল অশ্বরোহী বাহিনী।
চৌহানদের শক্তি ছিলো “হস্তীবাহিনী’ এবং সুদক্ষ তলোয়ার এবং বর্শা যোদ্ধা।
পৃথ্বীরাজের ভাই ‘গোবিন্দরাজ’ সেনাপতি আর সমকালীন যুগের সর্ব শ্রেষ্ট
‘তলোয়ার’ যোদ্ধা এবং ‘বর্শা যোদ্ধা’। চৌহানদের তীরন্দাজ বাহিনীও ছিলো
অপ্রতিদন্ধী। যুদ্ধ শুরু হতেই বোঝা গেলো যুদ্ধের ফল কি হতে যাচ্ছে। দুপুরের
আগেই ঘোরীর বাম দক্ষিন দুই পার্শ্ব ছত্র ভংগ হয়ে গেলো। ঘোরীর সৈণ্যরা
প্রান ভয়ে পালাতে শুরু করলো। গোবিন্দ রাজ এবং পৃথ্বীরাজ তাদের হস্তীবাহিনী
এবং তলোয়ার-বর্শা যুদ্ধে পারদর্শী সৈন্য নিয়ে এবারে সরাসরি ঘোরীর ব্যুহের
মধ্যখানে আক্রমন করলেন। ঘোরী যুদ্ধ বিদ্যায় বিশেষ পারদর্শী ছিলো না।
গোবিন্দরাজ ‘দ্বৈত যুদ্ধে’ তাকে ধরাশায়ী করেদিলেন’, তার বর্শা দিয়ে ঘোরীর
হাতের মাংশ পেশী ফালাফালা করে দিয়ে। ভুলন্ঠিত ঘোরী কাকুতি মিনতি করলো
পৃথ্বীরাজের কাছে, তার প্রান ভিক্ষা চাইলো, করজোড়ে। “আমি আর কোনোদিন
হিন্দুস্তানের দিকে ফিরে তাকাবো না” সেই প্রতিশ্রুতি দিলো। (স্যার যদুনাথ
সরকার) হিন্দুরাজা পৃথ্বীরাজ সেই বোকামি করলেন। দয়া পরবশ হয়ে তার প্রান
ভিক্ষা দিলেন। হাজার হাজার তুর্কি সৈন্যের বধ্য ভুমি থেকে কোনক্রমে নিজের
প্রান বাচিয়ে ঘোরী তুর্কি সৈন্যদের নিয়ে নিজের দেশে চলে গেলো। পৃথ্বীরাজ
‘সিরহিন্দ’ পুনর্দখল নিয়ে চলে যান আজমীরে।
দেশে ফিরে হিন্দুদের
হাতে পরাজিত অপদস্ত ঘোরীর রাতের ঘুম চলে গেলো। সে শুরু করলো আবার
হিন্দুস্তান আক্রমন এবং পৃথ্বীরাজের ওপর প্রতিশোধ নেবার প্রস্তুতি। কনৌজের
রাজা জয়চাঁদ, পৃথ্বীরাজের স্ত্রী সংযুক্তার পিতা, বৃদ্ধ, অশক্ত। সে ছিলো
ঘোর পৃথ্বীরাজ বিরোধী। মুল কারন, পৃথ্বীরাজের (চৌহান বংশ কনৌজের
প্রতিহারদের সামন্ত রাজা ছিলো এক সময়) শৌর্য্য, বীর্য্য এবং দেশপ্রেমিকতার
খ্যাতি, প্রভাব প্রতিপত্তি। রাজপুত ক্ষত্রিয়দের চোখের মনি হয়ে উঠেছিলেন
পৃথ্বীরাজ তার অকুতোভয়ের জন্য। তিনি রাজসুয় যজ্ঞও করেন এবং উত্তর ভারতের
সমস্ত রাজারা তাকে হিন্দুরাজাধিরাজ হিসাবে মেনে নেয়। জয়চাঁদের পক্ষে তার
এককালের সামন্ত রাজাকে এই সম্মানে মেনে নেওয়া ছিলো অসম্ভব। বিনা কারনে
অসুয়া একেই বলে।
ঘোরীর কাছে এই খবর ছিলো। সে গোপনে জয়চাঁদের সংগে
এক চুক্তি করে। “ আমি হিন্দুস্তানের এক বিন্দু জমি চাই না। আমাকে যদি
সাহায্য করো আমার অপমানের প্রতিশোধ নিতে, আমি তোমাকে শুধু দিল্লী বা আজমীর
নয়, সারা পাঞ্জাব সিন্ধু দিয়ে দেবো”। হীন, হিংসুক, লোভী বৃদ্ধ এক কথায়
রাজী। এক হিন্দুকে ধ্বংস করতে আর এক হিন্দু কখনো এই সুযোগ ছাড়ে???? “তুমি
এসো আমি আছি পিছন থেকে ছুরি মারতে”।
ঘোরীর ১২০০০০ হাজার তুর্কী
সৈন্য আর তার প্রায় দ্বিগুন হিন্দু রাজপুত সৈন্য ছোট বড়ো প্রায় ১০০ রাজপুত
রাজা) পৃথ্বীরাজের নেতৃত্বে পুনরায় সেই একই স্থানে ‘পানিপথ/তরাইন
(কুরুক্ষেত্র) সামনা সামনি হলো। সেনাপতি গোবিন্দরাজ। অহংকারী ঘোরী প্রস্তাব
পাঠালো পৃথ্বীরাজের কাছে “ সময় আছে, বাচতে চাইলে ইসলাম কবুল করো”। ঘৃনা
ভরে পৃথ্বীরাজ সেই প্রস্তাব প্রত্যাখান করে এক চিঠি দিলেন । সেই চিঠি
প্রায় একই যা প্রায় ৫০০ বছর আগে শাহীরাজ জয়াপালা লিখেছিলেন আর এক ‘জিহাদী’
সুবুক্তিগীন কে (গজনীর মাহমুদের বাবা) ।
পরদিন শুরু হলো যুদ্ধ। ভয়ংকর
সেই যুদ্ধে বয়ে গেলো ‘অপরিমিত ‘জেহাদী রক্ত’। দিনের শেষে ঘোরী চাতক পাখির
মতো চেয়ে ছিলো কখন জয়চাঁদ এসে তাকে উদ্ধার করবে। সেই সাহায্য এলো না। আবার
হার বুঝে সে এবারে এক সন্ধি প্রস্তাব পাঠালো। অযথা রক্তক্ষয় বাচাতে
পৃথ্বীরাজ সেই প্রস্তাব গ্রহন করলেন। হিন্দু সৈন্যার নিশ্চিন্তে ঘুমাতে
গেলো।
রাত প্রায় ১ টায় জয়চাঁদ হাজার বিশেক সৈণ্য নিয়ে এসে হাজির।
বন্ধুর দুরাবস্থা জেনে সে এক পরামর্শ দিলো। —-“সকালে ৩ টে নাগাদ হিন্দুরা
ঊঠে ঈশ্বরকে স্মরন করে, প্রাতঃরাশ সেরে যুদ্ধ প্রস্তুতি নেয়। সম্মুখ
যুদ্ধে পৃথ্বীরাজকে হারানো অসম্ভব। তাই এখনই ঐ ঘুমন্ত হিন্দু গুলোকে খতম
করো। আমি আছি তোমার সংগে”।
রতনে রতন চেনে। যেমন পরামর্শ তেমনি কাজ।
ঝড়তি পড়তি তুর্কী সৈন্য, আর সেই সংগে ২০০০০ হাজার হিন্দু সৈন্য ঝাপিয়ে
পড়লো ঘুমন্ত হিন্দু স্বাধীনতা রক্ষার সংগ্রামীদের ওপর। কিছু বুঝে ওঠার আগেই
মারা গেলো প্রায় অর্দ্ধেক রাজপুত। বাকীরা কোনো ক্রমে হাতের কাছে যা পেলো
তাই নিয়ে বর্ম ছাড়াই শুরু করলো এক অসম যুদ্ধ। গোবিন্দ রাজ এবং পৃথ্বীরাজ
তাদের সৈণ্যদের পাশা পাশি দাড়ীয়ে যুদ্ধ করলেন। কিন্তু অভুক্ত, পিপাসার্ত
সৈন্যরা কতোক্ষন যুদ্ধ করবে???? বিকেল ৩ টে নাগাদ সব শেষ হয়ে গেলো।
গোবিন্দরাজ তার শেষ রক্ত বিন্দু ঝরিয়ে দিলেন তার মাতৃভুমি বিদেশী বর্বরদের
হাত থেকে স্বাধীন রাখতে এবং কলুষের কালিমা লেপন থেকে বাচাতে। কিন্তু
পারলেন না। পৃথ্বীরাজ তার নিজের শশুরের সামনেই হলেন বন্ধী এবং তার চোখে
জ্বলন্ত লৌহ শলাকা ঢূকিয়ে অন্ধ করে দেওয়া হলো। (স্যার যদুনাথ সরকার) ।
পৃথ্বীরাজের স্বাদ্ধী সহধর্মিনী ‘সংযুক্তা’ আরো অনেক হিন্দু মহিলাদের সংগে
আগুনে আত্মাহুতি দিলেন।
শেষ হাসি হাসলো বর্বর ‘জিহাদী বিদেশী’, আর
এক পৈশাচিক আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে উঠলো এক ঘর ভেদী বিভীষনের মন প্রান। হিন্দু
ভারত হয়ে গেলো হাজার বছরের জন্য বিদেশী বর্বরদের হাতে পদানত। মহান এক বৈদিক
জাতির কি নিদারুন পরিনতি।।
****** সোর্স,— স্যার যুদুনাথ সরকার,
কে এস লাল , The Legacy of Jihad, Fate of the Non Muslim-edited by
Andrew G Bostom, Wikipedia, Gulsion- I-Ibrahim by Farista, ‘পৃথ্বীরাজ
রসো’ –চাঁদ বরদুই (পৃথ্বীরাজের সভাসদ/বন্ধু এবং সভাকবি), পৃথ্বীরাজ বিজয়
***********
*****বিশেষ দ্রষ্টব্য, ভারতে জিহাদী তান্ডব এখানেই শেষ
হয়নি। চলেছিলো দাস বংশ, খলজী বংশ এবং মোঘল দের দ্বারা। এই তান্ডবের
বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে ছিলেন অনেক অকুতো ভয় হিন্দু বীর। মেবারের রানা,
উদরপুরের রানা , শিবাজী মহারাজ। কিন্তু এর সবই হিন্দু ভারত বিদেশীদের পদানত
হবার পর। এর অনেক প্রামান্য ইতিহাস লেখা হয়েছে স্যার যদুনাথ সরকার, কে এস
লালা, শ্রীবাস্তব, আচার্য্য রমেশ চন্দ্র মজুমদার ইত্যাদী নির্ভীক নিরেপক্ষ
মনিষীদের লেখায়। নেহেরু-গান্ধীর পেটোয়া লেখক এবং বামপন্থী রোমিলা থাপার,
জেহাদীদের তল্পিবাহক ইরফান হাবিব আমাদের সতিকারের ইতিহাস থেকে শত যোজন
দূরে রেখেছে। আমার চেষ্টায় আমি সেই অজানা কথা জানানোর চেশটা করেছি মাত্র।
ভুল ত্রুটি থাকতেই পারে,কারন আমি কোনো ঐতিহাসিক নই।
এর পরবর্তিতে
আমি লিখবো, ভারতে জেহাদী তান্ডবের ফলশ্রুতি “হিন্দু দাস ‘ দের কাহিনী।
জিহাদী দের হাতে নির্যাতিত হিন্দুদের কি করে দাস বানিয়ে ভারতের বাইরে নিয়ে
যাওয়া হয়েছে এবং আজ তাদের কি পরিনতি।।