“মোদিজির পরিবার বনাম ভারতের অন্য রাজনীতিকদের পরিবার”
যিনি গুজরাটে টানা ১৪ বছর ধরে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন এবং বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো লোকতান্ত্রিক দেশের প্রধানমন্ত্রী, তার ভাই ৮ ফুট/৪ ফুটের একটা দোকানে খেলনা,ঘুড়ি বিক্রি করে নিজের জীবন অতিবাহিত করেন। কিছুটা অবাস্তব ঘটনার মতো লাগছে না! যে দেশে রাজনেতা ও বড়ো বড়ো পদের অফিসাররা নিজেদের পরিবারের লোকজনদের ও আত্মীয়দের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পরিচিত সেই দেশেই আবার প্রধানমন্ত্রীর ভাই ও আত্মীয়দের তাদের নিজেদের জীবন অতিবাহিত করতে অনেক প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করতে হয়। আপনাদের আজ জানাবো প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির পরিবারের মানুষদের কথা। তাদের পরিবারের একজন মানুষ দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে তারা জীবন কাটায় জানলে আপনিও হতবাক হবেন।
অমৃতভাই মোদী:
ইনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজির দাদা যিনি সারাজীবন ফিটার হিসেবে একটা প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করেছেন এবং কাজ থেকে অবসর নেওয়ার পর বর্তমানে প্রতি মাসে ১০’০০০ টাকা পেনশন তোলেন। উনার পরিবারের একটা ছোট গাড়ি আছে। যদিও ইনি স্কুটার ব্যবহার করেন। ইনার পরিবারের কেউ আজ পর্যন্ত বিমানে পর্যন্ত চড়েনি এমনকি উনার ছেলেও বিমানে আজ অবধি বিমানের ভেতরের পরিবেশ দেখেননি।
প্রহ্লাদভাই মোদী:
ইনি প্রধানমন্ত্রীর ছোট ভাই যিনি একটা গোলদারি দোকান চালান এবং ইনার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। আপনারা জানলে ভাবুক হবেন, ইনি নিজের মেয়ে নিকুঞ্জবেনের চিকিৎসার খরচ পৰ্যন্ত জোগাড় করতে পারেননি যিনি(প্রহ্লাদভাই মোদীর কন্যা) কয়েক মাস আগেই মারা জান।
পঙ্কজভাই মোদী:
নরেন্দ্র মোদীজির সমস্ত ভাইয়েদের মধ্যে ইনার অবস্থা একটু ভালো। ইনি গুজরাটে ইনফরমেশন ডিপার্মেন্ট এ ক্লার্ক পদে পার্মানেন্ট জব করেন। ইনার ৩ শয়নকক্ষ বিশিষ্ট একটা বাড়িও রয়েছে। নরেদ্র মোদীজির মা এই ভাইয়ের সাথে এক বাড়িতেই থাকেন।
আশোকভাই মোদী:
ইনি নরেন্দ্র মোদীজির কাকার ছেলে যিনি আগে ঠেলাগাড়িতে করে বিভিন্ন জায়গায় ছোটদের খেলনা, ঘুড়ি ইত্যাদি বিক্রি করতেন যদিও এখন তিনি কিছু টাকা জমিয়ে ৮ ফুট/৪ ফুটের একটা দোকান ভাড়া নিয়েছেন। যেখানে উনি জিনিসপত্র বেচেঁ মাসে প্রায় ৭০০০ টাকা আয় করেন। অশোকভাই মোদীর স্ত্রী একটা খাবারের দোকানে বাসনপত্র পরিষ্কারের কাজ করেন এবং মাসে ৩০০০ টাকা আয় করেন।
ভরতভাই মোদী:
ইনি অশোকভাই মোদীর ছোট ভাই যিনি একজন পেট্রলপাম্প এর কর্মী ইনি মাসে ৬০০০ টাকা আয় করেন এবং উনার স্ত্রী স্নাক্স বিক্রি করে মাসে ৪০০০ টাকা আয় করেন।
চন্দ্রকান্তভাই মোদী:
ইনিও মোদীজির কাকার ছেলে যিনি স্থানীয় গ্রামের গোশালাতে হেল্পার হিসেবে কাজ করেন। ইনার আয় এতটাই কম যে উনি নিজের বসবাসের জন্য একটা ভালো বাড়িও তৈরি করতে পারেননি।
আরবিন্দভাই মোদী:
মোদীজির এই ভাই অন্য লোকেদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে পুরানো লোহা,টিন,অব্যবহৃত জিনিস সংগ্রহ করেন এবং তা বিক্রি করে জীবন অতিবাহিত করেন। ইনার জীবন যে সত্যিই কঠোর তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ইনি খুব কম মাসেই ১০’০০০ টাকা আয় করতে পারেন।
নরেন্দ্র মোদীর কাকার মেয়ের বিয়ে হয়েগেছে। উনার স্বামী বাসের কন্ডাক্টর। যার মানে এই যে মোদীজির জামাইবাবু একজন বাস কন্ডাক্টর।
একদিকে গান্ধী/নেহেরু পরিবার, মুলায়ম এর পরিবার, লালুর পরিবার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির জন্য পরিচিত হয়ে আছে। অন্যদিকে রয়েছেন সেই দেশের এমন একজন ব্যাক্তি যিনি ১৪ বছর মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন, বতর্মানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী। যিনি নিজের পরিবারকে কোটিপতি করা তো দূর নিজের স্বার্থের জন্য কোনোকিচ্ছু করেন না।
অথচ দেশের কিছু মানুষ সেই নরেন্দ্র মোদীকেই স্বার্থপর বলে অপমান করেন এটা খুবই লজ্জার বিষয়।
(সংগ্রিহীত)