#মহাত্মা_না_পাপাত্মা
আজ থেকে 88 বছর আগে 23 শে মার্চ 1931 এ সন্ধে 7.15 মিনিটে লাহারের সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসি হয় ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং সুখদেব এর !! আজ ভগত সিং, সুখদেব, রাজগুরুকে স্মরণ করার সাথে সাথে বেশকিছু বিষয়কে মনে রাখা প্রয়োজন।
ভগত সিং, সুখদেব, রাজগুরুর ফাঁসি নিয়ে বলতে গিয়ে এক ইংরেজ আধিকারিক বলেছিলেন- তিন জনের ফাঁসি দেওয়ার জন্য আমাদের থেকে তাড়া কংগ্রেস ও মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীর ছিল। BHU এর প্রতিষ্ঠাতা পন্ডিত মদনমোহন মালব্য তিন জনের ফাঁসি আটকানোর জন্য একটা পিটিশন নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু ইংরেজদের শর্ত ছিল যে পিটিশনে কংগ্রেসের সভাপতি ও গান্ধীর স্বাক্ষর থাকতে হবে। কিন্তু ওই সময় কংগ্রেসের সভাপতি নেহেরু ও গান্ধী পিটিশনে স্বাক্ষর করতে অস্বীকার করে দেয়।
এ প্রসঙ্গে গান্ধী নিজে “তরুণ ভারতে” লিখেছে, “আমি হয়তো বিষয়টি নিষ্পত্তি করার একটি প্রক্রিয়া হিসেবে দণ্ড লঘু করার প্রস্তাব উত্থাপন করতে পারতাম। কিন্তু এটি করা সম্ভব হত না। এ ব্যাপারে কার্যসভা আমার সাথে একমত পোষণ করেছে যে সাময়িক শান্তিচুক্তির নজির হিসেবে দণ্ড লঘু করার প্রস্তাব পেশ করা সঠিক হবে না। তাই আমি বিষয়টি কেবল উল্লেখই করতে পারতাম।”
ভাইসরয় এর কাছে গান্ধী প্রার্থনা জানিয়ে বলেছিল, “ছেলেগুলোকে যদি ফাঁসি দিতেই হয়, তবে তা করাচির কংগ্রেস অধিবেশনের পরে না দিয়ে পূর্বেই যেন দেওয়া হয়।”
এমনকি লাহোরের ‘সর্ব ভারতীয় ভগত সিং, রাজগুরু ও সুখদেব স্মৃতিরক্ষা কমিটি’ র পক্ষ থেকে গান্ধীর কাছে এই তিন জাতীয় বীরের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের বিষয়ে গান্ধীর সহযোগিতা কামনা করলে গান্ধী কমিটির সাধারণ সম্পাদককে এ বিষয়ে সহযোগিতা প্রদানের ব্যাপারে অস্বীকৃতি জানায়।
গান্ধী ভগত সিং এবং অন্যান্য সশস্ত্র সংগ্রামীদের ‘বিপথগামী তরুণ’ আখ্যা দিয়েছিল।
এটা খুবই স্পষ্ট এই তিন তরুনের মৃত্যুতে গান্ধী বেশি খুশিই হয়েছিল। কারণ এদের ক্ৰমবৰ্ধমান জনপ্রিয়তা গান্ধীকে এদের ‘প্রধান শত্রু’ বানিয়ে ফেলেছিলো। বলাই বাহুল্য এরা বেঁচে থাকলে গান্ধীর জনপ্রিয়তা এবং তাঁর ‘মহাত্মা খেতাব’ হাওয়ায় মিলিয়ে যেত।
আর এমনই এক পাপাত্মাকে আমাদের দেশে জাতির জনক বলা হয়, যে আমাদের ‘স্বাধীনতা এনে দিয়েছে’ ঢাল-তলোয়ার ব্যবহার না করে।