Combat Communalism-
সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধে কলকাতায় মিছিল, জমায়েত করে কতটা কি হয় জনিনা।হলে বাদুরিয়া হত না, ধূলাগড় হত না। এই সব শৌখিনতা বন্ধ হোক। আর দাঙ্গা হওয়ার পরে সেখানে না দৌড়িয়ে, আশপাশে নজর রাখা জরুরী। আমাদের প্রতিবেশে প্রতিদিন ট্রেনে, বাসে, বাড়ির অন্দরমহলে যেসব কথা হচ্ছে তা দাঙ্গার থেকে কম হিংসক নয়। যে কোন দিন যে কোন মুহূর্তে এখানেও সেসব হতে পারে। ইতিমধ্যে গনেশ-হনুমান; মহরম-ফতেয়া দহজ দহম করে, সশস্ত্র মিছিল করে জতুগৃহ নির্মাণ করা হয়েছে।
আমরা যখন বলি ওটা ধর্ম নয়, ওটা রাজনীতি, রাজনীতিই দাঙ্গা বাঁধিয়েছে, কথাটা সম্পূর্ণ ঠিক নয়।ধর্ম আছে বলেই, তাকে নিয়ে রাজনীতি আছে। অথচ ধর্মের বিকল্প কিছু যাপনের রসদ আমাদের কাছে নেই। যা আছে তা কম নয়, আমরা এতদিন তার প্রয়োগ করিনি। গান্ধী, মার্ক্স করেছি। ব্রাত্য রেখেছি সমাজের মধ্যে থাকা দাঙ্গা প্রতিরোধের অস্ত্র (হ্যাঁ অস্ত্রই বলছি)।
আসুন, লালনে, হাছনে ফিরি। আমাদের গানে, আখ্যানে আছে অনেক অনেক ভালোবাসার রসদ। আছে শ্বাপদের আস্ফালন থামানোর মন্ত্র।
কথা বলি সকল মানুষের সাথে। যে মানুষটা আজ দাঙ্গায় অগ্রমুখ, তাকে শত্রু ভাবলে বড় ভুল হবে। পিছনে পাকা মাথা। সে অস্ত্র মাত্র। তাকেও সামিল করি কালকের দাঙ্গা প্রতিরোধের ‘রাত্রি জাগরণে’।
আমাদের সীমাবদ্ধতা অনেক। জানি। কিন্তু যে সীমা আমরা নিজেরাই রচনা করেছি, তার কি হবে। প্রতিবেশে যারা থাকেন তাঁদের ধর্ম, সংস্কৃতি কতটা জানি? কিচ্ছু জানিনা। জানিনা এক জন মানুষ বহুবিধ পরিচিতির সমাহার। তাকে এক ভাবে দেগে দেওয়া বড় ভুল, বড় অন্যায়।
আদর্শের অহংকার অনেক হল। আসুন কথা বলি………।