।। সাহিত্যিক রানী নিরুপমা দেবী।।
কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর ও মহারানী সুনীতি দেবীর তৃতীয় পুত্র রাজকুমার ভিক্টর নিত্যেন্দ্র নারায়ণের সঙ্গে বিয়ের সূত্রে রানী নিরুপমা দেবীর সাথে রাজনগর কোচবিহারের পরিচয় ঘটে । ১৮৯৫ খ্রি: ২৫ শে মে উত্তরপ্রদেশের হোসেঙ্গাবাদে ব্যারিস্টার মতিলাল গুপ্তের কন্যা রূপে তাঁর জন্ম । রানী নিরুপমা দেবী ও রাজকুমার ভিক্টর নিত্যেন্দ্র নারায়ণের দুই পুত্র হলেন কুমার নিধি ও কুমার গৌতম নারায়ণ , এই দু-দুটো সন্তানকে রেখে ১৯২৫ সনে রানী নিরুপমা দেবীর সাথে রাজকুমার ভিক্টর নিত্যেন্দ্র নারায়ণের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে এবং নিরুপমা দেবী কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের আশ্রয়ে শান্তিনিকেতনে থেকে নাট্যকার শিশিরকুমার সেনকে বিবাহ করেন।কবি, সমালোচক এবং সম্পাদক হিসেবে তিনি তৎকালীন বঙ্গসমাজে মহিলা কবি হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভ করেন । ‘ধুপ’ ও ‘গোধূলি’নামক দুটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করেন । ১৯৮১ সনে ‘শেষের কবিতা’ নামে একটি নির্বাচিত কবিতা সংকলন এবং ১৯৯৪ সনে “এক্ষন” পত্রিকায় ‘আমার জীবন’ নামে একটি আত্মকথা ছাপা হয় । কোচবিহারের মহারানী বৃন্দেস্বরী দেবীর “বেহারোদন্ত” সম্পদনা করেন । সাহিত্যিক রানী নিরুপমা দেবী নদীয়া জেলার জলঙ্গি নদীর তীরে সাহেবগঞ্জে ১৯৪৮সালে পরলোক গমন করেন।