স্বামী বিবেকানন্দের কিছু উপদেশ ও বাণী উল্লেখ করলাম যা তিনি হিন্দু সমাজকে দিয়ে গেছেন।
* আমি নিজেকে হিন্দু বলিয়া পরিচয় দিতে গর্ব অনুভব করিয়া থাকি – বিবেকানন্দ রচনাবলী, ৫ম খণ্ড, পৃঃ ২৮৪।
* হিন্দুসংখ্যা হ্রাসের প্রতিকার না হলে হিন্দু দিন দিন কমিয়া আর হিন্দু থাকিবে না – স্বামী বিবেকানন্দ, বিবেকানন্দ রচনাবলী ৫ম খণ্ড, পৃঃ ৩৪০।
* এক ঘা খেয়ে দশ ঘা তেড়ে মারতে হবে, তবে মানুষ। – বিবেকানন্দ পত্রাবলী, পৃঃ ৬৭৪।
* প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আটলান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত বিরাট এলাকায় দীর্ঘ পাঁচশ বছর ধরে পৃথিবীতে রক্তের বন্যা বয়ে গেছে। এই হচ্ছে মহম্মদের মতবাদ। বিবেকানন্দ, বিবেকানন্দ রচনা সংগ্রহ (ইংরেজী), মায়াবতী মেমোরিয়াল সংস্করণ, ১৯৭২, ৪র্থ খণ্ড, পৃঃ ১২৬।
* মহাবীরের পূজা চালাতে হবে। শক্তিপূজা চালাতে হবে। – বিবেকানন্দ, উদ্বোধন, ৬ বর্ষ, ১০ সংখ্যা, ১৩৩১ বং।
* হিন্দু ধর্ম থেকে একজন অন্য ধর্মে চলে যাওয়ার অর্থ একজন কমে যাওয়াই নয়, একজন শত্রু বৃদ্ধি হওয়া। – Vivekananda, Complete Works, Vol 5, Page 185।
* প্রয়োজন ‘মিলিটান্ট হিন্দুইজম’। – ভগিনী নিবেদিতা, লোকমাতা, ২য় খণ্ড, পৃঃ ২৬২।
…প্রশ্ন আসতে পারে তার এই উপদেশগুলি কি প্রাসঙ্গিক ??? পড়ুন নিচের বক্তব্যগুলি…
• রাজাবাজারে হাত-পা কাটা হিন্দু মেয়েদের চুল দিয়ে বেঁধে উলঙ্গ করে সব ঝুলিয়ে রেখেছিল মুসলিমরা। – প্রাক্তন পঃবঃ পুলিশের ডি জি, গোলক বিহারী মজুমদার, আই পি এস, ‘ছেচল্লিশের আতঙ্কের দিনগুলি’ (১৯৪৬এর কলকাতা গণহত্যা)।
• নোয়াখালিতে গেলাম ১৯৪৬ খৃঃ এ স্বেচ্ছাসেবকের কাজে, সেখানে অনেক হিন্দু মহিলাদের মাটিতে চিৎ করে শুইয়ে মুসলিম লীগের গুণ্ডারা পায়ের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সিঁথির সিঁদুর মুছে দিয়ে হাতের শাঁখা ভেঙ্গে তাদের স্বামী ও পুত্র-কন্যাদের হত্যা করে ওই হিন্দু মহিলাদের জোর করে ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত করে লীগ গুণ্ডারা বিয়ে করত। – রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতা, ধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৫।
• ভোরের সঙ্গে সঙ্গে হাওড়া পোল পার হয়ে হাওড়া থেকে দলে দলে আস্তে শুরু করল মারাত্মক অস্ত্র সজ্জিত অবাঙ্গালী মুসলমান গুণ্ডা এবং স্থানীয় মুসলমান গুণ্ডা মিশে গেলে চৌরঙ্গী-চিৎপুরে অপেক্ষমাণ সৈনিকদের সঙ্গে শুরু হল প্রলয়কাণ্ড, আগুনে জ্বলতে লাগল হিন্দুর স্থাবর অস্থাবর সবকিছু। – ‘দি লাস্ট ডেস অব বৃটিশ রাজ’, লিওনার্ড মোসলে।
• দাঙ্গায় পাকিস্তানে ৫০ হাজার হিন্দু-শিখ মহিলার গর্ভপাত করা হয় ও ৭৫ হাজার শিশুকে গোপনে হত্যা করা হয়। – উর্বশী বুটালিয়া, দ্যা আদার সাইদ অব সাইলেন্ট ভয়েস ফ্রম দ্যা পার্টিশন অব ইন্ডিয়া।
• নোয়াখালি হিন্দু নিধনের পরে সরকার এডওয়ার্ড স্কিপার সিম্পশন নামক প্রাক্তন বিচারপতি দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে এক এলাকার ত্রিশ হাজারের বেশী এবং অপর এক এলাকায় চল্লিশ হাজারের বেশি হিন্দু রমণীকে ধর্ষণ করা হয়। অর্থাৎ নোয়াখালি দাঙ্গায় হিন্দু এলাকাগুলির কোন নারীই মুসলিমদের হাতে ধর্ষণ হওয়া থেকে ছাড় পায় নি।
• কংগ্রেস সভাপতি আচার্য্য কৃপালনির স্ত্রী সুচেতা কৃপালনি নোয়াখালিতে নারী উদ্ধার করতে যায়। দাঙ্গার খলনায়ক গোলাম সরোয়ার ফতোয়া দিল, যে সুচেতাকে ধর্ষণ করতে পারবে তাকে বহু টাকা দেওয়া হবে এবং গাজী উপাধিতে ভূষিত করা হবে। সুচেতা সবসময় পটাসিয়াম সাইনাইড ক্যাপসুল গলায় ঝুলিয়ে রাখত। – রবীন্দ্রনাথ দত্ত, ‘দ্বিখণ্ডিত মাতা, ধর্ষিতা ভগিনী’, পৃঃ ৬।
• পলাশীর যুদ্ধে যত লোক নিহত হয়েছে, গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এ তার থেকে বেশি লোক নিহত হয়। – গভর্নর জেনারাল লর্ড ওয়েভেল, তাঁর রোজনামচায়, ০৩/১১/১৯৪৬।
• ১৫ মার্চ, ২০০৫ বৃটিশ পার্লামেন্টের বৈদেশিক বিষয়ক সিলেক্ট কমিটি তার রিপোর্টে জানাচ্ছে যে বাংলাদেশে ধর্ষিতা রমণীদের মধ্যে ৯৮.৭% হিন্দু যদিও সেদেশের শতকরা ১০এরও কম মানুষ আজ হিন্দু ধর্মাবলম্বী যা প্রছন্নভাবে প্রমাণ দেয় যে সেখানে হিন্দুদের অবস্থা হিটলারের নাজী জার্মানির থেকেও খারাপ। শুধু ২০০১ সালেই ২ কোটির মধ্যে ৪০ লক্ষ হিন্দু আক্রান্ত, ১৪৩০ এর উপর হিন্দু মহিলা গণধর্ষিতা, ৩৮০০০ পরিবার বাস্ত্যুচূত, ১৫৫ মন্দির ধ্বংস ও ৪৫৮১ হিন্দু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ভস্মীভূত করা হয়।
• বাংলাদেশে প্রতিবছর গড়ে ১৬ হাজার হিন্দু মহিলা অপহৃত হন এবং বাধ্য হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করছে। বাংলাদেশের সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও চিত্র পরিচালক এবং উইক ব্লিজ পত্রিকার সম্পাদক সালাউদ্দিন শোয়েব চৌধুরীর সাক্ষাৎকার, আমার দেশ পত্রিকা, ১৯/০৩/২০১১, ঢাকা। ২০১৬ সালে সংখ্যাটা ২৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।
By : W. Das