পাকিস্তানে অবস্থিত মহেঞ্জোদারোর সভ্যতার ধ্বংসাবশেষ ইসলামী টেরোরিস্টদের হাতে নিশ্চিহৃ হবার আশংকা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভয়ে তারা আপাতত খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ অব্দের এই সভ্যতাকে মাটির নিচে ঢেকে রাখাকেই নিরাপদ সুরক্ষা মনে করছেন। তাদের আশংকা সিরিয়ার প্রাচীন নগর পালমিরারকে আইএস যেভাবে গুড়িয়ে দিয়েছে ‘জেহেলি যুগের’ চিহৃ মুছে দিতে, আফগানিস্তানে বামিয়ানে তালেবানরা রকেটলাঞ্চার মেরে যেভাবে প্রাচীন স্থাপত্য নিদর্শন বুদ্ধের মূর্তিগুলো ধ্বংস করেছিল ঠিক সেভাবে মহেঞ্জোদারোরকে ধ্বংস করা হতে পারে…।
মিশরীয়দের নিজেদের পূর্ব পুরুষদের সভ্যতা আর ইতিহাসের সন্ধান দিতে গিয়ে আঁততায়ীর আঘাতে চিরতরে পঙ্গু হয়ে গিয়েছিলেন মিশরের প্রথম নোভেল পুরস্কার পাওয়া লেখক নাগিব মাহফুজ। পাকিস্তানীরা যেমন মুসলিম হবার কারণে মহেঞ্জোদারোর সভ্যতাকে অস্বীকার করে, মিশরের মুসলিমরা নীল নদ সভ্যতার উত্তরসুরী ভাবতে একই কারণে দ্বিধান্বিত…। বাঙ্গালী মুসলমান যেমন ‘বাংলার মাটি বাংলার জল’ ফেলে “মাদিনা মাদিনা” বলে ডাক ছেড়ে কাঁদে- এসবই ইসলামের জাতিগত উপনিবেশিকতার বিষফল।
বাংলাদেশ হয়েছে ‘শাহজালালের পূণ্যভূমি’! ‘বারো আউলিয়ার দেশ’! আউল বাউল লালনের দেশ আর কেউ বলে না। বাংলাদেশের টাকার মধ্যে মসজিদের ছবি থাকে। থাকে প্রাচীন স্থাপনাকে তুলে ধরতে। তবে মন্দিরকে বাদ দিতে হবে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের টাকার মধ্যে কোন মন্দিরের ছবিকে মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। যে কারণে ব্রাহ্মণবাড়ীয়াকে স্থানীয়রা ‘বি-বাড়ীয়া’ বলে ডাকে। সরকারি ক্যালেন্ডারে কান্তিজিউর মন্দিরের ছবি ছাপা হওয়াতে তীব্র অনুভূতিতে আঘাত লাগার দরুণ পুরো ক্যালেন্ডার প্রত্যাহার করে নেয়ার ঘটনা আসলে সিরিয়াতে আইএস, আফগানিস্থানে তালেবান এবং পাকিস্তানে মহেঞ্জোদারোরকে নিয়ে এলার্জির একটা ভদ্রস্থ চেহারা মাত্র…। কি জানি,বগুড়ার সুপ্রাচীন বৌদ্ধবিহারগুলোকে কবে সরকারিভাবে শফী হুজুরকে লিজ দিয়ে দেয় হবে…।