ভর্তুকিমূলক শাসনব্যবস্থায় কোনোদিন সবাইকে সন্তুষ্ট করা যায় না বরং দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়ে! জাতি কোনোদিন স্বাবলম্বী হতে পারে না ! দুর্বলকে শুধু নিজের পায়ে দাঁড়ানোর রাস্তাটা তৈরী করে দিতে হবে ! ভর্তুকি ব্যবস্থাও একধরণের তোষণের রাজনীতি ! দেশ স্বাধীন হবার পর এই ভর্তুকি 10 বছরের জন্যে ধার্য করা হয়েছিল কিন্তু আজও সেই ব্যবস্থা চলছে ! ফোকটে কিছু পেতে পাবলিক এক্সপার্ট ! সরকারের কাছ থেকে 5 টাকা ভর্তুকি পেতে 5 ঘণ্টা লাইনে দাঁড়াতে তার কোনো আপত্তি নেই ! নিজের স্ফূর্তি করার জন্যে গাদা গাদা টাকা খরচ করতে পারে কিন্তু সরকারের ভর্তুকি বন্ধ করা চলবে না !
এই ভাবে দেশের মধ্যে এক শ্রেণীর কামচোর সুবিধাবাদী গোষ্ঠী তৈরী হয়েছে ! দেশের কাছ থেকে নিতে এক পায়ে খাড়া কিন্তু দেশকে মল মূত্র ঘর্ম ছাড়াআর কিছু দেবে না ! ভর্তুকি ব্যবস্থায় এমনই সুযোগসন্ধানী জাতি দিয়ে কি কখনো মজবুত রাষ্ট্র গড়ে উঠতে পারে ?
জাতপাতের নামে সংরক্ষণ ও তার জন্যে ভর্তুকি সে ধনাঢ্য ব্যক্তি হলেও , ধর্মের নামে সংরক্ষণ ও তার জন্যে ভর্তুকি সে জেহাদি তহবিলে গেলেও ! এখনও এগুলোতে লাগাম টানা হবে না ? সংরক্ষণ ব্যবস্থা বন্ধ না হলে ভর্তুকি ব্যবস্থাও বন্ধ হবে না আর জাতি ল্যাংরা খোঁড়াই হয়ে থাকবে ! কেবলমাত্র অর্থনৈতিকভাবে দুস্থ মানুষকে তাকে স্বাবলম্বী করার লক্ষ্যে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত তার আর্থিক সাহায্য দরকার !
যতরকমের সরকারি জনপ্রতিনিধি আছে আগে তাদের সব ভর্তুকি তুলে দিতে হবে তাহলে রাজনীতিটাও একটু পরিচ্ছন্ন হয় !