মুসলিম যুবককে ভালবেসে হিন্দু মেয়ের ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তর! একি ভালবাসা না মোহ? মা ও বাবার অকৃত্রিম ভালবাসার সাথে বিশ্বাসঘাতকতার পরিণাম যে কত ভয়াবহ এ শুধু ভুক্তভোগীরাই জানেন।
অতি সম্প্রতি নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা যায় যে লক্ষ্মীপুর জেলার চক্রবর্তী ব্রাহ্মন পরিবারের এককন্যা যে কি না সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে শিক্ষকতা করছেন – তিনি প্রেম ও মোহাবিষ্ট হয়ে ঘর পালিয়ে মুসলিম যুবক বিয়ে করে এবং লক্ষ্মীপুর শহরে এককক্ষের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে নতুন সংসার শুরু করেছিলেন। কিন্তু নতুন সংসার শুরু করার মাস খানেক পর প্রেমিক বর মুসলিম যুবকটি উদাও। হিন্দু ব্রাহ্মন পরিবারের মেয়েটি এখন ভীষন একা, কারণ মেয়েটি যাদের অকৃত্রিম ভালবাসা ত্যাগ করে এসেছেন সেই হিন্দু ব্রাহ্মন পিতা ও তার পরিবার মেয়েটিকে গ্রহন করতে আসবে না। অন্যদিকে মুসলিম যুবকটির পরিবারও মেয়েটিকে তুলে নেবে না। কারণ এটি ব্রাহ্মণপরিবারের সুন্দরী মেয়েটি তাদের জন্য ভবিষ্যতে সমস্যা (বোঝা) হয়ে দাঁড়াতে পারে।
অতি সঙ্গতঃ কারণে লক্ষ্মীপুরের এঘটনা মেয়েটির ও তার পিতার পরিবারের নাম তুলে ধরতে সাহস করছি না। পিতা-মাতার অমতে/অজান্তে, তাদের অকৃত্রিম ভালবাসা অশ্বীকার করে তাদের মনে কষ্ট দিয়ে – মোহাবিষ্ট হয়ে ভিন্ন ধর্মের কারো সাথে প্রেম, দৈহিক সম্পর্ক ও প্রণয়ের পরিনাম কি হতে পারে তা এর হাজার হাজার উদাহরন আছে। এক্ষণে একই ধরনের একটি ঘটনার সংগৃহীত সূত্র থেকে হুবহু তুলে ধরছি। জনাব মহসিন আলম, এজন সৎ পুলিশ কর্মকর্তা, তিনি তাঁর ফেসবুক ওয়ালে ঘটনা ও পরিনতি সমতে তার লেখায় পোষ্টে সেটি তুলি ধরেনে। আমি পোষ্টটি হুবহু তুলে ধরছি – (সূত্র https://www.facebook.com/mohammad.mohsin.1257/posts/1590099577687777)
******************************************************************
“সম্ভ্রান্ত স্বচ্ছল হিন্দু পরিবারের মেয়ে ছিল রত্না । একমাত্র এই মেয়ের প্রতি আদর ভালবাসার কোন কমতি রাখেননি বাবা-মা। ঘাটতি রাখেননি কোন চাহিদাই। মেয়ের আবদার পূরণ করতে গিয়েই স্কুলে কোচিংয়ের পাশাপাশি বাসাতেও শিক্ষক রেখেছিলেন তারা। আর এই সিদ্ধান্তনটাই পাল্টে দেয় রত্নার জীবনের রেখা। পাঠ্য পড়ানোর ফাঁকে ফাঁকে রত্নাকে ‘প্রেমের’ পাঠের জটিল সমীকরণটাও মিলিয়ে দেয় গৃহশিক্ষক সাইফুল। পাঠ্য বাদ দিয়ে ‘প্রেমের’ পাঠেই মজে যায় রত্না। প্রেমের চূড়ান্ত পরিণতি দিতে প্রথমে পরিবার, এরপর এলাকা এবং ধর্মও ছেড়ে দেয় রত্না। ভাবছেন কাঠখোট্টা ওসির কী বোর্ডের বাটনগুলো থেকে প্রেম কাহিনী বের হচ্ছে কেন? আপনাদের জানানোর কয়েক মিনিট আগেই আসলে জানছি এ কাহিনীটা। রত্না এখন আমার হাজতে। ১৫০ গ্রাম গাঁজাসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বায়েজিদ বোস্তামি এলাকা থেকে। পলাতক যে প্রেমকাহিনী পড়লেন সেটাও এখনকার নয়, ৩৫ বছর আগের! জি, ৩৫ বছর আগে রাঙ্গুনিয়া থেকে গৃহশিক্ষকের সাথে পালিয়ে বায়েজিদ এলাকায় স্থানীয় হয় রত্না। চার মেয়ে ও দুই ছেলের এই জননী এখন ১৪ মামলার আসামী। সাদা-কালো যুগের তার রঙ্গিন প্রেমের করুণ পরিণতিটা জানলাম তার মুখ থেকেই।
পালিয়ে আসার পর ভিন্ন এক সাইফুলের সাথে পরিচয় হয় রত্নার। গৃহশিক্ষক সেই সাইফুল আর স্বামী এই সাইফুলের মধ্যে অনেক তফাৎ। কয়েক মাসের মধ্যেই বুঝতে পারল তার স্বামী মাদকসেবী। রত্নার চেয়ে এই মাদকের প্রতিই তার বেশী ভালবাসা। রত্নার জন্য সে মাদক ছাড়তে পারে না। কিন্তু মাদকের জন্য রত্নার গায়ে ঠিকই হাত তুলতে পারে। বায়েজিদে ১০১ টি ঘরের মালিক সাইফুল ছিল কার্যত বেকার। আয়ের কোন উৎস ছিল না। মাদকের টাকা যোগাড়ে প্রথমে ঘরের আসবাবপত্র, এক পর্যায়ে ঘর বিক্রি শুরু করে সে। এভাবে এক পর্যায়ে তার থাকার ঘরটি ছাড়া সবগুলো ঘরই বিক্রি হয়ে যায়। কিন্তু এরপরও তার নেশার প্রতি অদম্য টানটা থেকে যায়। এই নেশার জন্যই কয়েকবার আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় সাইফুল। ‘ভালবাসার’ মানুষকে বাঁচাতে শেষ পর্যন্ত এই মাদকের জগতেই নেমে পড়ে রত্না। প্রথমে চোলাই মদ। এরপর একে একে গাঁজা ও ইয়াবাও বিক্রি শুরু করে সে। তবুও শেষ রক্ষা করতে পারেনি স্বামী সাইফুলের। ২০১০ সালে বিষপানে আত্মহত্যা করে সে।
নতুন জীবনের সন্ধানে নতুন করে আবারও সংসার শুরু করে রত্না। এবার স্বামী ফজলে করিম টিপু। কিন্তু এ যেন উত্তপ্ত কড়াই থেকে জলন্ত উনুনে ঝাঁপ। সাইফুলের চেয়েও ভয়ংকর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করল টিপু। এখানেও তাই সে আগের পথেই নামতে হয় রত্নাকে। এই নয় যে, রত্না কখনো ভাল হওয়ার চেষ্টা করেনি। কিছু কিছু টাকা জমিয়ে এলাকায় ছোট একটি দোকান দিয়েছে সে। ছোট ছেলে কাউছারকে নিয়ে এই দোকানেই কাজ করে সে। আর সুযোগ মতো চোলাই মদ ও গাঁজা সরবরাহ করে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে গিয়েই ধরা পড়েছে ১৪ বার। মামলাও হয়েছে ১৪ টি। মামলার খরচ যোগাতে যতবারই এই পথে নেমেছে ততবারই মাকড়সার জালের মতো মামলা আষ্ঠেপৃষ্টে লেগেছে। জীবনের এই পর্যায়ে এসে অনুশোচনায় ভুগছে সে। সে মনে করে, বাবা-মার ভালবাসার সাথে যে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তারই পরিণাম এই অভিশপ্ত জীবন। জেল থেকে ফিরে আবারও সেই ৩৫ বছরের আগের নিষ্পাপ জীবনটাতে ফিরতে চায় রত্না। একবারের জন্য হলেও ফিরতে চায় তার বাবা মা’র কাছে। ক্ষমা করুক কিংবা না করুক বাবা-মায়ের পা ধরে একবার কাঁদতে চায় সে”।
******************************************************************
মন্তব্যঃ
হিন্দু মেয়ে কর্তৃক মুসলিম যুবব বিবাহের প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখা যায় যে মুসলিম ছেলেটি হিন্দু মেয়েটিকে শিকারের উদ্দেশ্যে শুরুতেই অত্যন্ত সচেতন ভাবেই প্রথমে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। সরল বিশ্বাসে বোকা মেয়েগুলো সেই মিথ্যা বন্ধুত্বের ফাঁদে পা দিয়ে ধরা পড়ে এবং অন্ধ আবেগের বশীভূত হয়ে পরে প্রেম মোহে আবদ্ধ হয়। বলাবাহুল্য উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে ছেলে আর মেয়ে কামনাহীন বন্ধুত্বে সম্পর্ক কখনোই গড়ে উঠতে পারে না। বরং বন্ধুত্বের নামে যা হয় তা হলো কামনা তাড়িত হয়ে কথিত প্রেমের অভিনয় যা দেহের স্বাদ ও নিখাদ গন্ধ আস্বাধনের তাড়না প্রচন্ড চেষ্টা।
কাজটার শুরুতে মুসলিম যুবকরা নিজেকে কিছুটা ভাল মানুষের আবরণে নিজেকে আড়ালে রাখেন, যা স্হিরকৃত শিকার একদম বুঝতে পারে না। প্রাকৃতিকভাবে মেয়েরা প্রথমদিকে সহজ সরল মনের হয়ে থাকেএবং স্বভাবজাতভাবে ওরা নিজেকে অন্য দশজন মানুষের মতই মনে করতে শুরু করেন। অন্যদিকে শিকারী ছেলেটি নিজে মানুষ হলে মেয়েলোকগুলোকে শুধু উপভোগের সামগ্রী ও সুন্দরী নারী মৃর্তি রুপেই কল্পনা করে। কিছুদিন পর হিন্দু মেয়েগুলোর চোখে শিকারী ছেলেটার মেয়েটিকে নিয়ে কাম তাড়না চোখে পড়ার পর ছেলেটি মেয়েটিকে দূর্বল করার উদ্দেশ্যে বলে “আমি ভালবাসি”, “তোমাকে না পেলে আমি মরে যাবো” ইত্যাদি ইত্যাদি মিথ্যা বাক্য বানে মেয়েটি দূর্বল থেকে আরো দূর্বল করে দেয়। মিষ্টি কথণ আর প্রেমে পড়ে আত্ম-হননের হুমকি দেয়া এধরনের ছেলেদের একধরনের ছলনা ব্যতীত আর কিছু নয়। সত্যিকারের সিঁদেল চোর যেমন চুরি করার পূর্বে ঘরের মালিককে জানিয়ে চুরি করে না, ডাকাত যেমন ডাকাতি করতে গৃহ কর্তাকে অগ্রিম নোটিশ দিয়ে করে না, ঠিক তেমনি সত্যকারের মানসিকভাবে প্রস্তুত আত্মহননকারী ব্যক্তি আত্মহননের পূর্বে কাউকে বুঝতে দেয় না।
যে যে ধর্মেরই অনুসারীই হোক না কেন – প্রতিটি মানব সন্তান জন্ম মাত্রই তিনি তাঁর মা ও বাবার কাছে ঋনী। ৩৯ সপ্তাহের প্রতিটি মূহুর্ত কী অসহ্য যন্ত্রণা ধারণ করে যে মা তাকে গর্ভে ধারণ করেছেন, জম্নের পর আতুরঘর থেকে দাঁড়িয়ে হাঁটাচলা অবধি কত রাত্র যে মা ঘুমুতে পারেনি, এটা সেদিনই অনুভব করে যেদিন ঐ মেয়েটি একদিন নিজেই সন্তান ধারণ করে ও মা হয়।
বাবা কী অসম্ভব পরিশ্রম করে ও কত স্বপ্ন বুনেন সন্তানকে নিয়ে, বট বৃক্ষের মতো আর্থিক ও সামাজিক নিরাপত্তার ছায়া তৈরী করে সন্তানের ভবিষ্যত রচনার জাল বুনন করেন – মা ও বাবার সেসব অজস্র ঋণ হিন্দু মেয়েটিগুলি এত নিমর্মভাবে পরিশোধ করে – এটা কখনো কাম্য হতে পারে না। যে সন্তানের আগমনে বাবা-মা উভয়ে অনেক কষ্ট স্বীকার করেও তাঁদের ঈশ্বরকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, সন্তান জম্নের পর যে বাবা-মা উভয়ে ঈশ্বরের কাছে তাদের নিজেদের জন্য প্রার্থনা করেনা, যা করেছেন তাদের সন্তানের জন্য, সেই লালিত সন্তান ভিন্ন ধর্মাবলম্বী ছেলেদের হাত ধরে পালায় এবং মৃত্যুর পুর্বেই ওরা তাদের মা ও বাবাকে নরক যন্ত্রনা উপহার দেয় –সে সব মেয়েগুলি সুখী হতে পারবে কি করে?
প্রতিটি মানুষ জন্ম মাত্র মাত্র বাবা-মা কাছে ঋনী থাকে বহুভাবে। যে বংশ বা যে সমাজে সে জন্মগ্রহন করেছে – ধারাবাহিকভাবে সে বংশ ও সমাজের কাছে ঋণী থাকে। বোকা হিন্দু মেয়েগুলোর উদ্দেশ্যে বলা যায় “ঋণ” বোঝ কিংবা না বোঝ অন্ততঃ বাবা ও জন্মদাত্রী মায়ের প্রতি অন্ততঃ অকৃতজ্ঞ হওয়া কখনো উচিত নয় । জীবনটা একান্তভাবে প্রতিটি মানুষের। তাই সঠিক সিদ্ধান্তের উপর প্রতিটি মানুষের পরবর্তী জীবন যেমন নির্ভর করে ঠিক তেমনি সন্তানের মর্তের ঈশ্বর (বাবা) ও ঈশ্বরী (মা)র মান মর্যাদা, আশা আঙ্খকা নির্ভর করে – যাদের চেয়ে আপন কেউ নেই। তাদের চেয়ে বেশী ভাল কেহ চাইতে পারে না।…(চিত্রগুপ্ত ৩০ জুলাই ২০১৭ইং)
পোষ্টটি সংগ্রহিত এবং বাস্তব ঘটনা