ভারতবর্ষের সমস্ত বুদ্ধিজীবি,ধর্মনিরপেক্ষ ব্যাক্তি,পত্রকার, শিল্পী, অভিনেতা, মানবতাবাদীদের আজ কয়েকটি প্রশ্ন করব বুকের পাটা থাকলে উত্তর দিয়ে দেখাক….
ভারতবর্ষ একটি ধর্মনিরপেক্ষ গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র, সংবিধান অনুযায়ী ভারতবর্ষের প্রতিটি নাগরিক স্বাধীনভাবে তার মত প্রকাশ করতেই পারে ।
কারোর বাকস্বাধীনতা হরন করার কথা সংবিধান অনুযায়ী অপরাধ ।
সঞ্জয়লীলা বনশালীর বাকস্বাধীনতা আছে তাই তিনি পদ্মাবতী ফিল্ম তৈরি করে নিজের মত প্রকাশ করেছে অথচ হিন্দু সংগঠনগুলি কেন এই ফিল্মের বিরোধীতা করছে?
এর আগেও মকবুল ফিদা হোসেন বাকস্বাধীনতা প্রকাশ করার জন্য হিন্দু দেবী সরস্বতীর নগ্ন চিত্র এঁকে পুরস্কার পেয়েছিল ।
মকবুল ফিদা হোসেন হোক আর সঞ্জয়লীলা বনশালী সবক্ষেত্রেই দেশের ধর্মনিরপেক্ষ,মানবতাবাদী,চিত্রকার, বুদ্ধিজীবিদের সমর্থন পেয়েছে তারা, কারন এই দেশে শিল্পীর বাকস্বাধীনতাতে হস্তক্ষেপ করা আইনত অপরাধ ।
আচ্ছা, আমিও একজন শিল্পী, যদি আমি মহম্মদের নগ্ন ছবি আঁকি, ইসলামের ইতিহাস বিকৃতি করে যদি কোনো ফিল্ম তৈরি করি তখন যদি মুসলিম সংগঠনগুলি আমার বিরোধীতা করে তখন আপনাদের মত বুদ্ধিজীবি,ধর্মনিরপেক্ষ, মানবতাবাদী, চিত্রকার, শিল্পী, পত্রকারদের সমর্থন পাবো তো?
আপনারা তখন আমার বাকস্বাধীনতার কথা বলবেন তো?
নাকি তখন আপনারা আমাকে দাঙ্গাবাজ বলে মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকবেন?
জানি কোনো বুদ্ধিজীবিদের সাহস নেই আমার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারন জেহাদীর চাপাতির কোপকে সবাই ভয় করে ।
যদি পদ্মাবতী রিলিজ হয় তাহলে আমরাও আয়েশাকে নিয়ে ফিল্ম তৈরি করব তখন যদি আমাদের বিরোধীতা করেন তাহলে বুঝব আপনারা আরবের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন…
হিন্দুদের ইতিহাস বিকৃতি করে যে ফিল্ম তৈরী হচ্ছে সেই পদ্মাবতী পরিচালক সঞ্জয়লীলা বনশালীকে যদি আপনারা সমর্থন করতে পারেন তাহলে ইসলামের ইতিহাস বিকৃত করে আয়েশা ফিল্ম তৈরি করলে আপনারা আমাকে কেন সমর্থন করবেন না?
সঞ্জয়লীলা বনশালীর যদি বাকস্বাধীনতা থাকে ইতিহাস বিকৃতি করার তাহলে আমারও বাকস্বাধীনতা আছে ইতিহাস বিকৃতি করার ।