যেদিন ইরাকের সাদ্দাম হোসেনের উপর খড়গ নামানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল আমেরিকা, সেদিন শুনেছিলাম, এবারে আমেরিকা শেষ। সাদ্দাম আমেরিকাকে চড় থাপ্পড় মেরে দাঁত ফেলে দেবে। তারপর যেদিন আফগানি লাদেনের গুহায় ওৎ পাতলো ওবামা, সেদিনও শুনলাম, এবারে গুহা থেকে বেরিয়া আসবে বাঘ, আর ওবামার চোয়াল থেকে খসাবে মাংস।
এভাবে হম্বিতম্বি আর হালুম গর্জনে গেলো বহুদিন। এখন শুনছি ইরান নাকি ট্রাম্পের মাতলামি সারানোর জন্য ঝাড়ফুক শুরু করছে। এবং নিশ্চিত এবার নাকি ট্রাম্পের মাথার সব জঞ্জাল সারিয়েই ফেলবে ইরান। এগুলো যারা বলে তাদের ইয়া বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রীও আছে। দু চারটা দৈনিক পত্রিকার সম্পাদকেরাও আছেন এই লাইনে।
এক আজব সমাজে বাস করছি আমরা। এদের বিশ্ব রাজনীতি, প্রযুক্তি আর বিশ্বের অর্থ এবং সামরিক ক্ষমতা সম্পর্কে কোন ধারনাই নেই। বোধ বুদ্ধি আর বিবেচনা বলতেও কিছু আছে কি না সন্দেহ। পত্রিকার সম্পাদক হয়েও এরা কূপমন্ডুক হয়েই আছে। কিভাবে বিশ্ব চলে, কিভাবে অর্থ আর প্রযুক্তি বিশ্বকে শাসন করে এরা জানেই না। এরা মনে করে সব অদৃশ্য উনিই করে দেবেন। এই উনার উপর ভরসা করেই সব হম্বিতম্বি আর ঘাউরামি গর্জন।
কিন্তু প্রতিবারই তাদের সেই গর্জনের বেলুন ফুঁসে যাচ্ছে, কিন্তু হুশ হচ্ছে না।
বিনা পয়সাঁয় উপদেশ না দেয়াই উচিৎ। তাও বলি। এইসব ফালতু আর বলদা গোজরানি থামান। উনার ভরসায় না থেকে প্রযুক্তি আর অর্থনীতির বাজারে নেমে পরুন। অদৃশ্য কারো ভরসায় যতদিন যাবে, ততই পিছিয়ে পরবেন। আর যারা প্রযুক্তি আর অর্থনীতি নিয়ে পরে আছে, তাদের হাতে সকাল বিকাল চড় থাপ্পড়ই খাবেন, কাঁদেবেন ফাঁও।