এই প্রাচীন ভারতীয় পণ্ডিতের আবিষ্কারের কথা জানলে গর্বে আপনার বুক ফুলে উঠবে
=================================================
গত বছর মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা তাদের গবেষণার মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহে জলের অস্তিত্বের মোটামুটি নির্ভরযোগ্য প্রমাণ পেয়েছে। কিন্তু আপনার প্রতিক্রিয়া কী হবে যদি আপনাকে বলা হয় যে, আজ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর আগেই এক ভারতীয় জ্যোতির্বিজ্ঞানী মঙ্গলগ্রহে জলের অস্তিত্বের কথা বলে গিয়েছিলেন?
বরাহমিহির ছিলেন প্রাচীন ভারতের গণিতবিদ ও জ্যোতির্বিজ্ঞানী। বর্তমান মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীতে ৫০৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। গণিতশাস্ত্রে তাঁর অজস্র অবদানের মধ্যে একটি হল ত্রিকোণমিতির ধারণা দেওয়া। কিন্তু সাম্প্রতিক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, তিনি তাঁর লেখায় মঙ্গলে জলের অস্তিত্বের কথাও বলেছিলেন।
বরাহমিহিরের লেখা জ্যোতির্বিজ্ঞান সংক্রান্ত অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল ‘পঞ্চসিদ্ধান্তিকা’। পঞ্চাঙ্গে বিভক্ত এই গ্রন্থের একটি অংশের নাম ‘সূর্যসিদ্ধান্ত’। এই গ্রন্থে বিভিন্ন গ্রহের আনুমানিক পরিধি পরিমাপ করেছিলেন বরাহমিহির। সূ্র্যগ্রহণ ও চন্দ্রগ্রহণের ব্যাখ্যাও দিয়েছিলেন। মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে বরাহমিহিরের গবেষণা ছিল বিশেষ গুরুত্বপূ্র্ণ। মঙ্গলের পরিধি গণনার ক্ষেত্রে মাত্র ১১ শতাংশ ত্রুটি ছিল বরাহমিহিরের। পাশাপাশি তিনি বলেছিলেন, মঙ্গল গ্রহে জল এবং লোহার অস্তিত্ব রয়েছে।
সাম্প্রতিক কালে নাসার প্রেরিত মঙ্গলযান কিউরিওসিটি মঙ্গল থেকে যে তথ্য সংগ্রহ করে তা থেকে জানা যায়, বরাহমিহিরের দু’টি সিদ্ধান্তই ছিল নির্ভুল। জানা যায়, মঙ্গলে সত্যিই এক সময় জল ছিল, আর লোহা দিয়ে তৈরি একটি উল্কাপিন্ড মঙ্গলের মাটিতে আবিষ্কার করে কিউরিওসিটি।
কিন্তু আধুনিক বিজ্ঞানের এই আবিষ্কারের কথা দেড় হাজার বছর আগেই কীভাবে জানতে পেরেছিলেন বরাহমিহির! সময়ের চেয়ে কতটা এগিয়ে ছিলেন তিনি! এই বিস্ময় বুকে নিয়েই এই প্রাচীন ভারতীয় পণ্ডিতকে কুর্নিশ জানাচ্ছে আধুনিক বিজ্ঞানজগৎ।
#হিন্দু_মনীষী
কার্টেসীঃ sourab das