কথা প্রায় বলাই নেই
মাত্র কয়েকটি ছত্র ছাড়া,
যিনি ভারতের ইতিহাসে একেবারে
ব্রাত্য হয়ে রয়েছেন আজো
অবধি, যার স্মৃতি রক্ষায়
কিছু করা দুরের কথা
তার দেহাবশেষ আজো পড়ে আছে
এক বিদেশী শহরের এক
কোনে, আর নিয়মিত ভাবে
সেই দেহাবশেষের ওপরে জুতো খুলে
রাখা, ঢিল ছোড়া বিদেশী
বিধর্মীদের একটি ‘পবিত্র কাজ’
বলে এক প্রথা চালু
হয়ে আছে। যার সমাধিতে
এক তোড়া ফুল দিতেও
সেই দেশে সরকারী সফরে
যাওয়া ভারতীয় প্রধান মন্ত্রী
অপমানিত বোধ করেন, আর
যে বিদেশী সেই মহামানবের
সমস্ত রাজ্য অমানবিক চাতুরী
করে জয় করে তার
চোখে জলন্ত লৌহ শলাকা
ঢুকিয়ে অন্ধ করে দিলো,
যার স্বাদ্ধী স্ত্রীকে ভোগ না করতে
পারার জন্য তার
সমস্ত
রাজধানী পুড়িয়ে জ্বালিয়ে ছারখার
করে দিলো, সেই হতভাগ্য
মহানায়ক আর কেউ নন,
তিনি দিল্লী আজমীরের রাজা
পরম বিক্রমশালী পৃথ্বীরাজ চৌহান।
আমরা জানি না, পৃথ্বীরাজের
এক ভাই এবং সেনাপতি,
গোবিন্দরাজ যিনি পরম বিক্রমে
যুদ্ধ করে একবার বিদেশী
দস্যু ‘মুহাম্মদ ঘোরীকে পর্য্যুদস্ত করেছিলেন
এবং শেষ যুদ্ধে কি
ভাবে তিনি এবং তার
সৈন্য বাহিনী অভুক্ত পিপাসার্ত
অবস্থায় যুদ্ধ করতে করতে
দেশের স্বাধীনতা রক্ষার জন্য অসভ্যদের
কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। আমরা
জানি না, মধ্য যুগের
আর এক বিভীষন, এক
হিন্দু রাজা কি ভাবে
এই মহানায়কের শৌর্য্য বীর্য্য এবং প্রভাব প্রতিপত্তিতে
অসুয়া পরবশ হয়ে এবং
তার রাজ্য যুদ্ধ না
করে বিদেশীর দ্বারা দখল করিয়ে
নিজ কব্জায় নিয়ে নেবার
জন্য সেই পুর্ব পরাজিত
অসভ্য বর্বর ভীন দেশী
ভীন ধর্মী এক শয়তানকে
সাহায্য করেছিলো। সে ছিলো ওই
মহানায়কের শশুরমশাই কনৌজের রাজা জয়চাঁদ।
আমাদের এও জানতে দেওয়া
হয় না, যেখানে পৃথ্বীরাজের
দিল্লীর রাজধানী ছিলো , ছিলো এক
সুবিশাল শিব মন্দির, সেই
‘পিথোরাগড়’ প্রাসাদ এবং শিব মন্দির
ধ্বংস করে, ধুলায় গুড়িয়ে
দিয়ে, সেই প্রাসাদের এবং
মন্দিরের ভগ্ন পাথর খন্ড
দিয়ে তৈরী হয় এক
সুউচ্চ মিনার, যার নাম
“কুতুব মিনার”। সেই
মন্দিরের ভগ্নাবশেষ দেখতে গিয়ে, বর্তমান
প্রজন্মের যুবক যুবতীরা সেলফি
তোলার আতিশয্যে সেই ভগ্ন পাথর
খন্ডের ওপর পা দিয়ে
সেলফি তোলে, কিন্তু একবার
তাকিয়ে দেখে না সেই
পাথর খন্ডে খোদাই করা
আছে হিন্দুদের দেব দেবীদের মুর্তি।
এই হিন্দুরা আবার তাদের সভ্যতার
গর্ব করে, নানা হম্বিতম্বি
করে। হাসির দমকে আমার
প্রান ওষ্টাগত হয়।
বর্বর ঘোরী তার উপজাতি
অধ্যুষিত, সাধের দেশ ঘুর
রাজ্যে ফিরে যাবার আগে,
তার ক্রীতদাস কুতুবুদ্দিন আইবেক কে সেই
প্রাসাদ মন্দির ধ্বংসের আদেশ
দেয়। পৃথ্বীরাজকে অন্ধ করে দেবার
আগে ঘোরী তার বন্ধীকে
বাধ্য করেছিলো তার প্রাসাদ এবং
মন্দির ধ্বংসের দৃশ্য দেখতে। যতোদিন
গুড়ো করতে লেগেছিলো ততোদিন
তাকে নিয়মিত ওই কুতুব
এনক্লেবে নিয়ে সারা দিন
বসিয়ে রাখা হতো। সভ্যতা,
সংষ্কৃতির এবং শান্তির পুজারীদের
কি অপুর্ব উদাহরন!!!!!
আমরা এও জানি না,
অন্ধ পৃথ্বীরাজ, অসহায়, পরাশ্রিত এবং
বিদেশীর দরবারে এক হাসি
উপহাসের খোরাক হয়ে গ্লানির
জীবন কাটিয়েও তার এক একান্ত
ভক্ত, বন্ধু সভাকবির চাতুর্য্যে
এবং সহযোগিতায় কি ভাবে সেই
অসভ্য মুহাম্মদ ঘোরীকে হত্যা করেছিলেন।
আমাদের এই সব জানতে
দেওয়া হয় না। তার
কারন, ইতিহাসে সততই দেখা যায়,
অশুভ শক্তিকে মহান করার জন্য
গান গাওয়া হয়েছে, আর
শুভ শক্তিকে হয় বদনাম করা
হয়েছে না হলে ইতিহাসের
পাতা থেকে মুছে দেওয়া
হয়েছে। ইতিহাস চিরকাল বিজয়ীরা
লেখে। তাই, ভারতের ইতিহাস
বিজয়ী দলের জয়গাথা। হিটলার
জিতে গেলে আজ হিটলারের
নাম স্বর্নাক্ষরে লিখে রাখার ব্যবস্থা
হতো। বিজিত হিন্দুদের কাহিনী
অসত্য, কল্প কষ্টিত, গাঁজাখোর
সন্ন্যাষীদের বানানো রুপকথা।
বিজয়ী পক্ষের ভাড়া করা
ঐতিহাসিক দিয়েই ভারতের সব
ইতিহাস লিখিত হয়েছে, হচ্ছে।
সত্য কথা লিখলে তার
মুখ বন্ধ করার নান
কৌশল— গলার নলী কেটে
দেওয়া থেকে শুরু করে
জেলের ভাত খাওয়ানো বর্তমান
দস্তর। আর কিছু অর্থ
লোভী গৃধ্নু লেখক,যারা
ওদের দালালি করবে তারাই
সরকারী তহবিল থেকে উজাড়
করা অর্থের খনি নিয়ে
মৌজ করবে। যারা সত্য
লিখবেন তাদের লেখা প্রকাশের
বাইরে রয়ে যাবে, বা
বিক্রি হবে না।
সেই জন্যই দ্বিখন্ডিত ভারতের
ইতিহাসে আজ বিভীষনদের মহান,মহাত্মা করে দেশের জন্য
আত্মবলিদানের নায়কদের অজানার অতলে ডুবিয়ে
দেওয়া হয়। অনেক শহীদের
শেষ পরিনতিটুকু জানার অধিকার ও
ভারতের হিন্দুদের আজ আর নেই।
শহীদ ভকত সিং কে
তাই যিনি বলেন “সন্ত্রাসী”
তিনি হন জাতির জনক।
একটি মাত্র মানুষ যিনি
শুধু দেশের জন্য তার
সর্বস্ব ত্যাগ করেছিলেন তাকে,
অসহযোগিতার চুড়ান্ত করে দেশ ত্যাগ
করতে বাধ্য করা হয়।
তার শেষ জীবন যাতে
কেউ জানতে না পারে
তার জন্য সরকারী পদে
পদাসীন মহান মানুষেরা সরকারী
ফাইল এর পাতা ছিড়ে
সেই ফাইল “সরকারী দপ্তর”
এর লৌহ কপাটের অন্তরালে
রেখে দেন। আজ ৭২
বছরেও নানা বাজে অজুহাত
দিয়ে সেই বন্ধ দেওয়াল
আর খোলা হয় না।
না।কোনো হিন্দুত্ব বাদী নেতাও একবার
সেটা ভেবে দেখেন না।
সাধারন হিন্দুরা, আমার মতো কিছু
অর্বাচীন কি করে জানবো
সেই সত্য ইতিহাস????? তবুও
আছে। এখানে ওখানে পড়ে
আছে অনেক গুপ্ত ইতিহাস।
অবিশ্বাস্য হলেও সেই ইতিহাস
জানার চেষ্টা করা উচিত।