ঠাকুরের
পত্নী। যশোহর জেলার অন্তর্গত দক্ষিণডিহি’র এক ব্রাহ্মণ পরিবারে ১২৮০
বঙ্গাব্দের
ফাল্গুন
মাসে (মার্চ
১৮৭৪
খ্রিষ্টাব্দ) ইনি জন্মগ্রহণ করেন। এঁর পিতার নাম ছিল বেণীমাধব রায় চৌধুরী। মায়ের
নাম ছিল দাক্ষায়ণী দেবী। ১২৮৭
বঙ্গাব্দের
(১৮৮০ খ্রিষ্টাব্দ) ইনি গ্রাম্য পাঠশালায় প্রথম বর্গ পর্যন্ত পড়াশুনা করেছিলেন।
১২৯০
বঙ্গাব্দে
২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর
১৮৮৩ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে
রবীন্দ্রনাথের
সাথে তাঁর বিবাহ হয়। এই সময়
রবীন্দ্রনাথের
বয়স ছিল ২২ ও মৃণালিনী দেবীর বয়স ছিল ১০ বৎসর। পিতৃগৃহে এঁর নাম ছিল
ভবতারিণী। ঠাকুরবাড়ি
আসার
পর রবীন্দ্রনাথ তাঁর নামকরণ করেন মৃণালিনী।
১২৯০ বঙ্গাব্দের
১৯
ফাল্গুন
(১ মার্চ ১৮৮৪ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে মহর্ষির আদেশে ইনি ইংরেজি শিক্ষার জন্য
লোরেটা
হাউসে ভর্তি হন। এক্ষেত্রে তাঁর জন্য
লরেটো হাউস স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছিল।
বঙ্গাব্দের
বৈশাখ-চৈত্র মাসে (১৮৮৫-৮৬ খ্রিষ্টাব্দ)
রবীন্দ্রনাথের
আগ্রহে
পণ্ডিত হেমেন্দ্র
বিদ্যারত্নের নিকট সংস্কৃত শিক্ষা গ্রহণ করেন।
১২৯৩
বঙ্গাব্দের
৯ কার্তিক তারিখে (২৫ অক্টোবর ১৮৮৬ খ্রিষ্টাব্দ) প্রথম সন্তান বেলা’র (মাধুরীলতা)
জন্ম হয়। এই বৎসরেই তিনি স্বর্ণকুমারী দেবীর ‘সখিসমিতি’ ও ‘শিল্পমেলা’র কর্ত্রীসভার
‘সখী’ রূপে নির্বাচিতা।
১২৯৪
বঙ্গাব্দে
(১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দ) ইনি স্বামী-কন্যার সাথে গাজীপুর যান।
১২৯৫
বঙ্গাব্দের
১৩ অগ্রহায়ণ (২৭ নভেম্বর
১৮৮৮ খ্রিষ্টাব্দ) তারিখে দ্বিতীয় সন্তান রথীন্দ্রনাথের
জন্ম হয়।
১২৯৬
বঙ্গাব্দে
(১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দ)
রবীন্দ্রনাথের
‘রাজা ও রানী’ নাটকে নারায়ণীর ভূমিকায় অভিনয় করে ইনি খ্যাতি লাভ করেছিলেন।
এই বৎসরের
অগ্রহায়ণ মাসে (১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দ) ইনি স্বামী-পুত্রকন্যা সহ শিলাইদহে এসে বসবাস করেন।
১২৯৭
বঙ্গাব্দের
১১ মাঘ (২৩ জানুয়ারি ১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দ) তৃতীয় সন্তান রানী’র (রেণুকা) জন্ম হয়।
১২৯৮
বঙ্গাব্দের
গ্রীষ্মকালে (১৮৯১ খ্রিষ্টাব্দ) শান্তিনিকেতন
আসেন।
এই সময় ‘শান্তিনিকেতন’ বাড়ির (আদি বাড়ি) দোতলায় সংসার পাতেন।
১১২৯৮
জ্যৈষ্ঠ। ১৮৯১ মে-জুন॥ শান্তিনিকেতন থেকে কলিকাতায় যান।
১২৯৯ জ্যৈষ্ঠ-আষাঢ়। ১৮৯২ মে-জুন॥ দ্বিতীয়বার শান্তিনিকেতন আসেন।
১২৯৯ অগ্রহায়ণ ৩। ১৮৯২ নবেম্বর ১৭॥ শিশুসন্তানদের ও কুমারী ইন্দিরাকে সঙ্গে নিয়ে
সোলাপুরে জ্ঞানদানন্দিনীর নিকট যান।
১২৯৯ পৌষ ২৯। ১৮৯৩ জানুয়ারি ১২॥ চতুর্থ সন্তান মীরা দেবীর জন্ম হয়।
১৩০১ অগ্রহায়ণ ২৮। ১৮৯৪ ডিসেম্বর ১৩॥ পঞ্চম ও সর্বশেষ সন্তান শমীরিন্দ্রনাথের জন্ম
হয়।
১৩০৪ কার্তিক-পৌষ। ১৮৯৭-৯৮॥ তৃতীয় বার শন্তিনিকেতনে আসেন।
১৩০৬ ভাদ্র ১৩০৭ চৈত্র। ১৮৯৯-১৯০১॥ শিলাইদহে যান।
১৩০৮ বৈশাখ। ১৯০১ এপ্রিল-মে॥ চতুর্থ বার শান্তিনিকেতনে আসেন।
১৩০৮ আষাঢ় ১। ১৯০১ জুন॥ বিহারীলালের পুত্র শরৎচন্দ্র চক্রবর্তীর সহিত প্রথমা কন্যা
বেলা বা মাধুরীলতার বিবাহ হয়। বিবাহের পূর্বে ২৮ জ্যৈষ্ঠ তারিখে বর ব্রাহ্মধর্মে
দীক্ষা গ্রহণ করেন। মহর্ষি বরকে দশ হাজার পাঁচ টাকা যৌতুক দিয়ে আশীর্বাদ করেন।
১৩০৮ শ্রাবণ ২৪। ১৯০১ আগস্ট ৯॥ ডাঃ সত্যেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের সহিত দ্বিতীয়া কন্যা
রানী বা রেণুকার এগারো বৎসর ছয় মাস বয়সে বিবাহ হয়। মহর্ষি বরকে যৌতুকস্বরূপ চারটি
মোহর দিয়ে আশীর্বাদ করেন।
১৩০৮ আশ্বিন-কার্তিক। ১৯০১ আগস্ট-সেপ্টেম্বর॥ পঞ্চমবার শান্তিনিকেতনে বসবাস শুরু
করেন।
১৩০৮ আশ্বিন-কার্তিক। ১৯০১ ॥ ষষ্ঠবার শান্তিনিকেতনে আসেন। [পৌষ মাসের সাত তারিখে
(ডিসেম্বর ২২) শান্তিনিকেতনে ব্রহ্মচর্যাশ্রম স্থাপিত হয়। ঐ সময়ে মৃণালিনী দেবী
শান্তিনিকেতনে উপস্থিত ছিলেন কি না জানা যায় না। তবে স্বামীর প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়ের
কাজে তিনি ছিলেন কবির সহিত একাত্ম। রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন যে তাঁর এই বিদ্যালয়ের জন্য
সহধর্মিণী মৃণালিনী দেবী নিজের অলংকারাদি অক্লেশে দান করেন।]
১৩০৮ চৈত্র ১৯০২ মার্চ-এপ্রিল ॥ সপ্তম ও সর্বশেষ বার শান্তিনিকেতনে বাস।
ব্রহ্মচর্যাশ্রমের ছাত্রদের তত্ত্বাবধানের ব্যাপারে বিশেষ আগ্রহ প্রকাশ করেন।
১৩০৯ আষাঢ়। ১৯০২ জুন-জুলাই॥ শান্তিনিকেতনে রোগাক্রান্ত হন।
(?) ১৩০৯ ভাদ্র ২৭। ১৯০২ সেপ্টেম্বর ১২॥ চিকিৎসার জন্য কলিকাতায় তাঁকে স্থানান্তরিত
করা হয়।
১৩০৯ অগ্রহায়ণ ৭। ১৯০২ নবেম্বর ২৩॥ জোড়াসাঁকো মহর্ষিভবনে তিনি মৃত্যবরণ করেন।
মৃণালিনী । বিশ্বভারতী পৌষ ১৩৯৭।