আরব দেশ থেকে ইসলামিরা এলো, মধ্য এশিয়া থেকে তুর্কি দাসেরা এলো। ভারত দখল করে দিকে দিকে পুরানো নাম সব পালটে নতুন ইসলামিক নাম দিলো। ইন্দ্রপ্রস্থ হলো শাহজাহানাবাদ, ফিরোজশা কোটলা কতো কি। পৃথ্বীরাজ চৌহানের ‘রায় পিথোরা’ হয়ে গেলো কুতুব মিনার। ব্রিটিশ আমলে কলকাতা ,পরে দিল্লীর রাস্তা ঘাট সব ইংরেজী নাম পেলো। কিন্তু আর্য্যরা একবারের জন্যে, একটি জায়গার নামও ককেশিয়ান বা রাশিয়ান (ভোলগা নদীর অববাহিকা অঞ্চল) নাম করলো না কেনো। ঐ জায়গা থেকে যদি আর্য্যরা এসে সিন্ধু সভ্যতা গুড়িয়ে দিয়ে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করে থাকে তাহলে বৈদিক সাহিত্যে সেই পুরানো নামই রেখে দিলো ????
বিজয়ীরা বিজীত দের দেওয়া নাম পরিবর্তন করে না বা তাদের কোনো নিজস্ব নিদর্শন প্রতিষ্ঠা করে না এমন হয় নাকি??? এই আমাদের কলকাতার সব জায়গা সাদা নীল হয়ে যাচ্ছে সেটাও তো বিজয়ী দলের ছাপ চাপিয়ে দেওয়া, তাই নয় কি ???
তাহলে কি এটাই ধরে নিতে হয় যে আর্য্যরা নিজেদের আদি বাস ভুমির ওপরে, তাদের নিজস্ব ভাষা, সংষ্কৃতি সব কিছুর ওপরে এক বিজাতীয় ঘৃনা নিয়ে পামীর পেরিয়ে এসেছিলো এবং আসবার পর পরই সেই পামীরের নাম দিয়ে দিলো “সুমেরু পর্বত” ? যে সিন্ধু সভ্যতায় ‘শিব’ মুর্তি পেলেন পুরাতাত্বিকেরা,- সেই শিব কে নিয়েও আর্য্যরা এতো মাতামাতি করে চললো সেই পুরাযুগ থেকে আজ অবধি ?
অর্থাৎ,…. এই পরোক্ষ প্রমাণ-ই কি বাবাসাহেব ভীমরাও আম্বেদকর প্রবর্তিত “আর্যরা যে সত্যসত্যই ভারতবর্ষে বহিরাগত নয়,” – এই যুগান্তকারী তত্ত্ব’কেই সমর্থন করে না…??
– আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
সৌজন্যেঃ Dr. Mrinal Kanti Debnath