রাজা জনক ভারতের সকল জ্ঞানী ঋষিদের উদ্দেশ্যে এক বিরাট শাস্ত্রীয় তর্ক যুদ্ধের আয়োজন করলেন , আর তার বিরাট পুরষ্কার ও ঘোষণা করলেন … ১০০০ গাভী আর তাঁদের দুই সিং পিছু দুই কিলো সোনা ।
বহু ঋষি, সন্ত ,পণ্ডিত ও জ্ঞানী গুণী জন আসলেন দশ দিক হতে … সপ্তাহ লম্বা তর্কের পর , ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য জয়লাভ করলেন । আর রাজা তাঁর কথা মত ঐ ১০০০ গাভী ও সোনা তাঁকে দিতে চাইলেন , কিন্তু যাজ্ঞবল্ক্য বললেন মহারাজ … আমি বহু শাস্ত্র অধ্যয়ন করেছি , কিন্তু এই কয়দিনে তর্ক করতে করতে , আমার চেতনা সেই পরম সত্য র আনন্দ ঘন স্পর্শ লাভ করেছে। আমি তাঁর সাধনায় বাকি জীবন প্রণিপাত করব , আমি আর গৃহে ফিরবো না। তবে আপনি যদি অনুমতি দেন এই গাভী গুলি আমার দুই স্ত্রীর মধ্যে ভাগ করে দেই , যাতে আমার অনুপস্থিতি তে তাঁদের খওয়া পড়ায় কষ্ট না হয়। রাজা বললেন … ঋষি বর , আপনার গাভী আপনি যাকে খুশি দান করতে পারেন।
ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য তাঁর এক স্ত্রী কাত্যায়নী কে ডেকে বললেন , তোমার প্রেম , ভালোবাসা আর আমার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা আমায় প্রতি মুহূর্তে ছুঁয়ে গেছে আমি তোমায় এই ৫০০ গাভী আর তার গায়ের সব সোনা দিয়ে যাচ্ছি , তোমার জীবনে কোনও কিছুর অভাব হবে না , তোমার মঙ্গল হউক। কাত্যায়নী ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য কে পরম শ্রদ্ধা ভরে নমস্কার করে গাভী নিয়ে চলে গেলেন।
এবার ঋষি যাজ্ঞবল্ক্য তাঁর আরেক স্ত্রী মৈত্রেই এর কাছে গেলেন আর তাঁকে ও বাকি ৫০০ গাভী আর তার গায়ের সব সোনা দিয়ে যাবার কথা বললেন … কিন্তু মৈত্রেই বললেন ঋষি বর আমার চাইনা এই সব গাভী বা স্বর্ণ , আমায় আপনি অমরত্ব প্রদান করুন। … চলবে