কলকাতা আলকায়দার টার্গেট হলো কেন ? কেন এই রাজ্য জেহাদিদের কাছে মরুদ্যান ? কেন পশ্চিমবঙ্গ জঙ্গিদের কাছে সেফ করিডোর ?
খাগড়াগড় কাণ্ডের সময় দেখা গেছে রাজ্য সরকার কিভাবে জঙ্গী কার্যকলাপ চাপা দিতে চেয়েছে ? কালিয়াচক , দেগঙ্গা , ধুলাগড় , বসিরহাট প্রত্যেক ঘটনার সময় দেখেছি কিভাবে রাজ্য সরকার মৌলবাদীদের আড়াল করে ! সীমান্ত এলাকার মাদ্রাসাগুলো জঙ্গী তৈরির নিরাপদ কারখানা !
পুলিশপ্রশাসনের কাছে নির্দেশ আছে যে মুসলিম মৌলবাদকে কখনো শক্তহাতে মোকাবিলা করা যাবে না ! যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্য সভায় গর্বের সঙ্গে বলেন ,” আমি মুসলিম তোষণ করি একশোবার করবো ” ! মুখ্যমন্ত্রীর এই গর্বিত ভাষণে কারা খুশি হবে ? রাজ্যের পুলিশ মহলও তাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছ থেকে কি বার্তা পেলো ?
রাজ্যে মুসলিম তোষণের কম্পিটিশন চলছে ! তাই আফরাজুলের মৃত্যুতে সবাই কেঁদে কেঁদে বন্যা করে দিলো কিন্তু হেমন্ত রায়ের মৃত্যুতে কারও চোখের পাতাও ভেজে নি ! সমস্ত মুসলিম অধ্যুসিত অঞ্চলে মৌলবাদীরা ওঁৎ পেতে বসে আছে ! রাজ্য গোয়েন্দা বিভাগ চোখ বন্ধ করে রাখে ! রাজ্যের চারিদিকে জঙ্গিদের আরাকাঠি অর্থাৎ ইনফরমার লুকিয়ে আছে ! জঙ্গী সন্ত্রাসবাদীরা এই ইনফরমারদের সাহায্যেই বিভিন্ন স্থানে রেইকি করে থাকে ! ভোটের লোভে মমতা ও তার পার্ষদরা রাজ্যটাকে বারুদের স্তুপ তৈরী করেছে !
শুধু তাই নয় ! এ রাজ্যে অধিকাংশ মানুষ সেকুলার নামক এক মরণ ব্যাধিতে আক্রান্ত ! তারা মুসলমানদের ভাসুর ঠাকুর মনে করে তাই তাদের নাম উচ্চারণ করতে লজ্জা লাগে ! শুধু হিন্দুর চোদ্দ পুরুষ উদ্ধার করতেই এনারা তৃপ্তি পান !
এহেনো নন্দন কাননে জঙ্গিদের তো পোয়া বারো ! জঙ্গী হামলা হলে সেকুলার বাবাজীরাও রেহাই পাবে না ! তাদের শরীরের রক্তও ঝরবে !
একদিকে তোষণবাদী সরকার আর অন্যদিকে সেকুলার সমাজের নিস্পৃহতা ……..পরিণতি যা হবার সেদিকেই মহাকাল এগিয়ে চলেছে !