ইতিহাসের পাতায় মানুষেরা বেঁচে থাকে আর কুলাঙ্গারেরা জীবিত অবস্থায়ই পঁচে যায়।

সকল সুশীল,মানবতাবাদীদের প্রতি
নির্যাতিতের আর্তনাদ,

আমাকে আপনারা চিনবেন না(হয়তো মানুষও ভাবেন না),আমি একজন নির্যাতিত।

হা আমি কেবলই একজন নির্যাতিত।কিন্তু আমার এই নির্যাতিত পরিচয়ে ধর্মীয় রঙ লাগিয়েছেন আপনারাই।

আজ আখলাক,জুনাইদরা আক্রান্ত হলে সমগ্র দেশ বিক্ষোভে ফেটে পড়ে,সুশীলেরা পদক ফেরত দিন।হাজারো, লাখো মানুষ এগিয়ে আসে।দাবি জানায় ন্যায়বিচারের।

কিন্তু আমরা?? আমরা নির্যাতিত হলে তো কেউ এগিয়ে আসে না??

সেই কাশ্মীর থেকে শুরু করে ক্যানিং,দেগঙ্গা,ধূলাগড় থেকে আজকের বশিরহাট,বাদুরিয়া।
আমরা নির্যাতিত হলাম,হারালাম সর্বস্ব, উচ্ছেদ হলাম ভিটেমাটি থেকে এমনকি কাশ্মীরি পন্ডিতেরা তো আজো রিফুজি ক্যাম্পে মানবতের জীবনযাপন করছে!!

কই কেউ তো আমাদের জন্য একটু আওয়াজটুকুও করলো না??
ন্যায়বিচারের দাবি তুলল না?
পদক ফেরত দিলো না?
সাহায্যের জন্য এগিয়ে এলো না সুশীল মানবতাবাদীরা!!

কেন??

আমরা হিন্দু বলে?? আমরা সংখ্যাগুরুর দেশে নির্যাতিত বলে??
আমরা কি মানুষ নই??
আমাদের কি ভিটেমাটিতে প্রাণ নিয়ে বাঁচার অধিকার নেই??

আমাদের নেই কেন চলে এই নোংরা রাজনীতি!! কেউ তো আমাদের জন্যে ন্যায়বিচারের দাবি করে না,সাহায্যের জন্য তো এগিয়ে আসেই না উল্টো একদল আরেক দলকে দায়ী করে দায় সারে!!
কেন চলে আমাদের সাহায্যের বদলে দোষারোপের রাজনীতি??

আরেক একটাই অমানুষ যে নির্যাতিতের জন্য ন্যায়বিচারের আওয়াজ তো তুলেই না উল্টো নির্যাতন হয়ই নি বলে নির্যাতিতের আর্তনাদকে স্তব্ধ করে দিতে চায়!!!
মানুষ চোখে অন্ধ হয় জানতাম,কিন্তু মস্তিষ্কেও এরা অন্ধ হয়।নির্যাতিতের আর্তনাদ মিডিয়ায়য় এলেও এই অমানুষগুলো এগুলোকে ভূয়া বলে প্রচার চালায়।
হায়রে নির্লজ্জ!!একবারের জন্যে তো তোরা মানুষ হ!!

সুশীলেরা নিজেদের মানবতাবাদী বলে পরিচয় দেন।
জানতে চাই আপনাদের মানবতার কোটা কি একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য সংরক্ষিত??
একচোখা মানবতা নিয়ে নিজেকে মানবতাবাদী বলতে লজ্জা করে না??
ছিঃ!!!! ছিঃ!!!!!

ঘৃণা হয় সেই সকল মানুষগুলোর প্রতি,মানবতার ব্যবসায়ীগুলোর প্রতি।

ওহে মানবতাবাদী শুনে রাখো,আমরাও মানুষ।আমাদের ধর্মের পরিচয়ে দেখবার আগে আমাদের মানুষ হিসেব দেখো।
আর মনে রেখো,
সময় বদলায়, সময় বদলা নেয়।

ইতিহাসের পাতায় মানুষেরা বেঁচে থাকে আর কুলাঙ্গারেরা জীবিত অবস্থায়ই পঁচে যায়।

লেখাঃ একজন নির্যাতিত  মানুষ