সাতশো বছর ভারতবর্ষ ‘মুসলিম শাসনে’ ছিলো। ভারতের মহারাষ্ট্রে পাঠ্যবই থেকে সেই ‘মুসলিম শাসনের’ ইতিহাস বাদ দেয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। যতদিন মুঘল পাঠনদের শাসনকে ‘মুসলিম শাসন’ বলে এই উপমহাদেশের মুসলমানরা গর্ব করবে ততদিন ভারতে মুসলিমরা বহিরাগত হিসেবেই পরিচিত হবে। এটা তাদের প্রাপ্য।
‘ভারতীয় মুসলিম’ বলতে কোন জাতি সত্ত্বা নেই, থাকতে পারে না। ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের উৎস আফগান, তুর্কি, আরব জাতিদের এদেশে অনুপ্রবেশ এবং এখানেই তাদের বংশধরদের থেকে যাওয়া। দ্বিতীয় উৎসটি ধর্মান্তরিত হওয়া স্থানীয় হিন্দু বৌদ্ধ ধর্মালম্বী।
‘সাতশ বছর মুসলিম শাসন ছিল ভারতে’ এটা বলে আপনি গর্বিত হলে সঙ্গে এটাও আপনাকে নিতে হবে- মুসলমানরা বহিরাগত হানাদার ছিলো। তারা বাইরে থেকে এসেছিল।
আর যদি আপনি ভারতে ইংরেজ, পুর্তগীজ, ফরাসীদের মত মুঘল, পাঠান, শেখ ইত্যাদি আফগান, তুর্কি আরব থেকে আগত বংশীয় শাসন হিসেবে দেখেন তাহলে ইতিহাসের এই রাজ বংশরা বহিরাগত হলেও ভারতীয় মুসলিম সম্প্রদায় (যারা নানা জাতিতে বিভিক্ত) ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আর্য অনার্য যেমন লীন হয়ে গেছে এ মাটিতে তেমনই…।