শ্রী টিটুই রায় বা শ্রী টিটু রায় ওরফে মো: টিটু নিঃসন্দেহে অনেক বড় অপরাধ করেছে। আমি তাঁর এবং তাঁর সঙ্গে জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায়। কিন্তু সেই অপরাধের শাস্তি কেন অন্য দশ পরিবারের উপর দেওয়া হল!(?) আর শাস্তি প্রদানের তারা কে!!!
৫৭ ধারাতে মামলা হতে পারত! তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারত, বোঝাতে পারত! এই অপরাধের বিচার করার জন্য দেশে আইন-আদালত ছিল!
সেদিন শুক্রবারে, মসজিদের মাইকে ডাক দিয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিরীহ হিন্দুদের বাড়িঘরে আগুন দিলেন— সেখানে কী একজনও বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ ছিলেন না! কয়েক হাজার মুসলমান নামাজী, যারা সদ্য সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করে মানুষের বাড়িঘরে আগুনদিতে পারেন, গরু ছাগল পর্যন্ত লুট করতে পারেন, এই “তারা” আসলে কারা!(?) তারা এই শিক্ষা কোথায় পাচ্ছে, তা ভেবে দেখা দরকার। পুলিশের গুলিতে প্রাণ হারানো ১/২ জন (যেটা খুবই বেদনাদায়ক) হামলাকারীর জন্য যাঁদের অন্তর কাঁদছে, তাঁদেরকেও বলতে চায় আপনি মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত, দ্রুত চিকিৎসা করান, নইলে জঙ্গিতে পরিণত হবেন।
যারা ফেসবুকের এক সামান্য পোস্টের জবাব ফেসবুকে প্রদান করতে পারে না, তাঁদের যোগ্যতা আর জ্ঞান নিয়ে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। যাঁদের কাছে মানুষের চেয়ে ফেসবুকের পোস্ট বড়, তাঁদের বয়কট করা উচিত।
আপনার বিশ্বাস এত দুর্বল! আমার বিষয়ে কেউ একটি মতামত উপস্থাপন করতেই পারে, তারমানে কী আমি আসলেই তাই! না, “আম”কে কেউ “কাঁঠাল” বললেই সেটা “কাঁঠাল” হয়ে যায় না। এই সাধারণ বিশ্বাস এবং শিক্ষাটুকু আপনার থাকতে হবে। নইলে আপনার আর শেয়াল কুকুরের মধ্যে পার্থক্য থাকলো কই! “সবার উপরে মানুষ সত্য”, এই কথার উপর যদি বিশ্বাস না থাকে, তবে আপনার শিক্ষায় হিংসা আছে। সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করুন, পরিপূর্ণ মানুষ হয়ে উঠুন। জয় হোক মানুষের।