করেছেন | অনেকেই জানেন না যে, এ বিষয়ে বেদে
স্পষ্টভাবে আলোচনা করা হয়েছে |
সবিতা যন্ত্রৈঃ
“পৃথিবী মরভণাদস্কম্ভনে সবিতা দ্যামদৃংহৎ
অশ্বমিবাধুক্ষদ্ধু নিমন্তরিক্ষমতূর্তে বদ্ধং সবিতা সমুদ্রম ঋগ্বেদ,”
১০/১৪৯/১
অনুবাদ: “সূর্য রজ্জুবৎ আকর্ষণ দ্বারা পৃথিবীকে বাঁধিয়া রাখিয়াছে, নিরাধার
আকাশে দ্যুলোকের অন্যান্য গ্রহকেও ইহা সুদৃঢ় রাখিয়াছে, অচ্ছেদ্য আকর্ষণ
রর্জ্জুতে আবদ্ধ, গর্জনশীল গ্রহসমূহ নিরাধার আকাশে অশ্বের ন্যায় পরিভ্রমণ
করিতেছে |”
দেখুন, আকাশ যে ‘নিরাধার’ এবং ‘রজ্জুবৎ আকর্ষণ’ অর্থাৎ মহাকর্ষ শক্তির
দ্বারাই যে সেই নিরাধার আকাশে সূর্য ও গ্রহসমূহ নিজ অক্ষরেখায় সুদৃঢ় রয়েছে
-এখানে সেকথা বলা হয়েছে বিশ্বের প্রভাবশালী অনেক ধর্মগ্রন্থে আকাশকে
স্পষ্টভাবে ‘পৃথিবীর ছাদ’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে অথচ এই সব ধর্মমতের
জন্মেরও হাজার বছর পূর্বে বেদে আর্য ঋষিগণ আকাশকে ‘নিরাধার’ অর্থাৎ
পৃথিবীকে ও গ্রহসমূহকে শূন্যে ভাসমান বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন |
আরও লক্ষণীয়, মহাকর্ষ শক্তিতে আবদ্ধ গ্রহসমূহ যে নিরাধারে অর্থাৎ মহাশূন্যে
স্থির নয়, বরং পরিভ্রমণ করছে নিজ কক্ষপথে -এই তত্ত্বও আবিষ্কার করেছিলেন
বৈদিক ঋষিগণ , এমনকি সূর্য নিজেও যে তার নিজস্ব কক্ষপথে চলছে সেই
অত্যাশ্চর্য গূঢ় বিজ্ঞানও আলোচিত হয়েছে নিম্নের মন্ত্রে : –
“আকৃষ্ণেন রজসা বর্তমানো নিবেশয়ন্নমৃতং মর্তঞ্চ
হিরণ্ময়েন সবিতা রথেনা দেবো যাতি ভুবনানি পশ্যন্ ঋগ্বেদ,” ১/৩৫/২
অনুবাদ: – “সূর্য আকর্ষণযুক্ত পৃথিব্যাদি লোক-লোকান্তরকে সঙ্গে রাখিয়া
নশ্বর-অবিনশ্বর উভয় পদার্থকে নিজ নিজ কার্যে নিযুক্ত রাখিয়া এবং
মাধ্যাকর্ষণ রূপে রথে চড়িয়া যেন সারা লোকান্তর দেখিতে দেখিতে গমন করিতেছে
|”
খুব অবাক হতে হয়, পৃথিবী যেমন চাঁদকে সঙ্গে নিয়ে সূর্যের চারপাশে প্রদক্ষিণ
করছে, তদ্রুপ সূর্যও যে তার গ্রহ-উপগ্রহসমূহকে সঙ্গে নিয়ে নিজের কক্ষপথে
গমন করছে -এই গভীর জ্ঞানও পবিত্র বেদে আলোচিত হয়েছে |
মহাবিজ্ঞানী ভাস্করাচার্য (১১৫০ খ্রি: তাঁর ‘সিদ্ধান্ত শিরোমণি’ নামক
জ্যোতিঃশাস্ত্রের গোলাধ্যায়ে উল্লেখ করেছেন –
“আকৃষ্টি শক্তিশ্চ মহী তয়া যৎ স্বস্থং স্বাভিমুখী করোতি
আকৃষ্যতে তৎ পততীব ভাতি সমে সমন্তাৎ কুবিয়ং প্রতীতিঃ”
অর্থাৎ “সর্ব পদার্থের মধ্যে এক আকর্ষণ শক্তি বিদ্যমান রহিয়াছে, যে শক্তি
দ্বারা পৃথিবী আকাশস্থ পদার্থকে নিজের দিকে লইয়া আসে যাহাকে ইহা আকর্ষণ করে
তাহা পতিত হইল বলিয়া মনে হয়”
অর্থাৎ প্রাচীন ঋগ্বেদ শাস্ত্রের পাশাপাশি ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করলেও বিজ্ঞানী ভাস্করাচার্য (১১১৪-১১৮৫) বিজ্ঞানী আইজ্যাক নিউটনের
(১৬৪২-১৭২৭) জন্মেরও কমপক্ষে পাঁচশত বছর পূর্বে মহাকর্ষ শক্তি আবিষ্কার করে
তাঁর গ্রন্থ ‘সিদ্ধান্ত শিরোমণি’তে আলোচনা করে গিয়েছেন |
ভাস্করাচার্য জীবনী
- “সত্যার্থ প্রকাশ” দয়ানন্দ সরস্বতী প্রণীত অমর গ্রন্…
- ন্যায়দর্শন মহর্ষি গৌতম (গোতম বা অক্ষপাদ) এর প্রবর…
- বেদভিত্তিক ছয়টি ভারতীয় দর্শন ষড়দর্শন…………..
- গঙ্গেশোপাধ্যায় নব্যন্যায়ের প্রবর্তক……………
- বিপ্লবী গুপ্ত, দীনেশচন্দ্র……………………..
- বাংলার লোকসাহিত্য………………………………
- প্রজ্ঞার কাছে শ্রদ্ধায় অবনত সারা বিশ্ব……………
- ব্যক্তিত্বের বিকাশ……………………………..
- সুখ উপলব্ধর বিষয়, তাই কি ভাবে সুখি হবেন তা সকলে জা…
- কখন ভারত বর্ষে হারায় আফগানিস্তান ………………..
- আর কুকুর নয়, বিস্ফোরক খুঁজবে ক্ষুদ্রাণু,এ কৃতিত্ব …
- ২০১৮-র প্রজাতন্ত্র দিবসে চাঁদের বুকে ভারতের জাতীয় …
- স্তন ক্যানসারের বাসা খুঁজে পেতে সস্তার দিশা বাঙালি…
- স্মৃতি আর ফিরে আসবে না বহু দিন পর! পথ দেখালেন বাঙা…
- দুই বাঙালির বাজিমাত,কোষের কারসাজিতে………………
- বৌদ্ধ ধর্ম প্রচার করতে রোবট বানিয়ে ফেলল চিন……….
- এক বাঙালি ‘পরী’র হাতেই! ‘ফ্যাশনে’র মাছ!………….
- মরা গাঙে বান ডাকালেন ভারতীয় গবেষক, মঙ্গলে নদীর ফসি…
- বাংলায় বিজ্ঞানচর্চা ও সত্যেন্দ্রনাথ বসু …………
- ডাঃ কালী প্রদীপ চৌধুরীর না জানা ইতিহাস, বর্তমানে স…
- পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ বেদবিদ ,ধর্মজ্ঞ ,মহাত্মা , জ্য…
- ইতিহাসের এক ভষ্কর অধ্যায় তৈমুর লং…….