শৈশব
তিনি নদীয়া জেলার জমশেরপুরে জন্মেছিলেন। তাঁর পৈতৃক নিবাস বলাগড় গ্রাম, হুগলী। তিনি তাঁর প্রথম ডিগ্রি কলকাতার ডাফ কলেজ (এখন স্কটিশ চার্চ কলেজ) থেকে নিয়েছিলেন।[১][২][৩]
কর্মজীবন
তিনি
সারদাচরন মিত্রের প্রাইভেট সেক্রেটারিরূপে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে কলকাতা
কর্পোরেশনে নাটোর মহারাজের প্রাইভেট সেক্রেটারি ও জমিদারির
সুপারিনটেন্ডেন্ট পদে এবং কর কোম্পানি[৪] ও এফ.এন গুপ্ত কোম্পানীর ব্যবস্থাপক হিসেবে কাজ করেন।
সাহিত্য জীবন
তিনি বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত মানসী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন। ১৯২১ এবং ১৯২২ সালে তিনি যমুনা পত্রিকার যুগ্ন সম্পাদক হিসেবে কাজ করেন। ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পূর্বাচল পত্রিকার মালিক এবং সম্পাদক ছিলেন। তার রচনায় তার সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব লক্ষ্য করে যায়। তাকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করে হয়।[১] বাগচি ১৯৪৮ সালের ১লা ফেব্রুয়ারী মৃত্যুবরন করেন।[৫]
পল্লী-প্রীতি যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কবিমানসের একটি প্রধান বৈশিষ্ট্য। “পথের পাঁচালী”র বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়
ও কবি জীবনানন্দ দাশের মত তাঁর কাব্যবস্তু নিসর্গ-সৌন্দর্যে চিত্ররূপময়।
গ্রাম বাঙলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনে তিনি প্রয়াসী হয়েছেন। গ্রাম
জীবনের অতি সাধারণ বিষয় ও সুখ-দুঃখ তিনি সহজ সরল ভাষায় সহৃদয়তার সংগে
তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন।
সাহিত্যকর্ম
সংকলিত কবিতা
তাঁর কাব্যগ্রন্থসমূহের মধ্যে আছেঃ
- লেখা (১৯০৬),
- রেখা (১৯১০),
- অপরাজিতা (১৯১৫),
- বন্ধুর দান (১৯১৮),
- জাগরণী (১৯২২),
- নীহারিকা (১৯২৭)
- মহাভারতী (১৯৩৬)[৬]
- কাব্যমালঞ্চ
- নাগকেশর,
- পাঞ্চজন্য,
- পথের সাথী প্রভৃতি।[৪]
কবিতা
- কাজলাদিদি
- শ্রিকল
- অন্ধ বধু