হুদাই আশায় বেঁধেছিলাম খেলাঘর…
নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তর ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে যে ক্রুসেড ঘোষণা করেছিল, মানব এবং পশু খাদ্য ব্যবহৃত ক্ষতিকর রাসায়নিক আমদানিকারক, অস্বাস্থ্যকর হোটেল রেস্তোরাঁগুলোকে সঠিক পথে আনার যে অসম্ভব কাজটাকে গুছিয়ে এনেছিল,
সেই দপ্তরের মাননীয় উপ-পরিচালক ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব কবীর মিলন স্যার সম্ভবত আর থাকছেন না সেই নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরে।
যে মানুষটার অক্লান্ত পরিশ্রম, সততা, দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কারনে স্বল্প জনবল আর সামান্য রিসোর্স নিয়ে এই মহাযজ্ঞটি চলমান ছিল, সেটির ভবিষ্যৎ নিয়ে আর ভাবতে পারছি না।
বার বার চেষ্টা করছিল দুর্বৃত্তরা তাকে সরিয়ে দেয়ার। জানি না, এই বদলির আদেশ তাদের প্রচেষ্টার ফল কি না। তবে আমি চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী অন্য সব কিছুর মত এই বিষয়টাতেও যেন হস্তক্ষেপ করেন। সৎ এবং যোগ্য কর্মকর্তাদের বদলি আদেশ তিনি ইতিপূর্বেও রদ করেছিলেন। মাহবুব কবীর মিলন স্যারের এই বদলির আদেশটাও যেন রদ করা হয়।
যে মানুষটা স্বপ্ন দেখতেন, অঙ্গীকার করেছিলেন আগামী প্রজন্মকে এন্টিবায়োটিক, রাসায়নিক ও ভেজালমুক্তভাবে উৎপাদিত খাদ্যের নিরাপদ একটি দেশ উপহার দেয়ার, সেই প্রক্রিয়ায় যেন তাকে বহাল রাখা হয়, এটা আমার অনুরোধ।
কাছের মানুষদেরকে আহ্বান করছি, সবাই মিলে যদি আমরা একটু আওয়াজ তুলি, হয়ত উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের টনক নড়তেও পারে।