বাংলাদেশের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা শাবানা এখন আর অভিনয় করেন না, এখন তিনি বোরখা পরেন। ইসলামের গভীর জলে শরীর মন সব ডুবিয়ে দিয়েছেন এবং মুসলমানের দেশ ত্যাগ করে ইহুদি নাসারাদের দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় একযুগ আগে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য চলে গেছেন। তবে দেশে ফিরে ক’দিন আগে দেশের মানুষের জন্য একটি মসজিদ আর কোরান শিক্ষার ইস্কুল বানিয়ে দিয়েছেন। তিনি নিশ্চিতই বেহেস্তে যেতে চান। এতকাল অভিনয় করে, পরপুরুষকে আলিঙ্গণ করে, তাদের সঙ্গে কোমর দুলিয়ে নেচে যে ‘পাপ’ কামিয়েছেন, তা মোচন করতে নামাজ রোজা তো করছেনই, হজে যাচ্ছেন, মসজিদ মাদ্রাসা বানাচ্ছেন।
টাকা থাকলে আমাদের দেশের বেহেস্তলোভী মূর্খগুলো ঠিক এই কাজই করে। মহল্লায় মহল্লায় এখন শত শত অপ্রয়োজনীয় মসজিদ। এই মসজিদগুলোর খুতবা শুনে শুনে ছেলেরা বিপথে যাচ্ছে, জিহাদি হচ্ছে, যুক্তিবাদিদের, মানববাদিদের, অমুসলিমদের, নারীদের ঘৃণা করা শিখছে। মাদ্রাসায় আকছার ধর্ষণও হচ্ছে। বাংলাদেশের মসজিদ মাদ্রাসাগুলোয় কী শেখানো হয়, কী বোঝানো হয় — তা লক্ষ রাখার জন্য কোনও সরকারি ব্যবস্থা নেই। একটা রুগ্ন, পঙ্গু, অসুস্থ, দুর্বল, বিকৃত,লোভী,স্বার্থপর প্রজন্ম তৈরি করার জন্য মসজিদ মাদ্রাসার ভূমিকা অপরিসীম।
যুক্তরাষ্ট্রে বাসই শুধু করেন শাবানা, ভালো কিছু শেখেননি ওখানে। যুক্তরাষ্ট্রের বড় বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলো ধনীদের দানের টাকায় চলে। বাংলাদেশে কোরান শিক্ষার ইস্কুলের অভাব নেই, অভাব বিজ্ঞান শিক্ষার ইস্কুলের। অভাব ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র, নারীর সমানাধিকার, মানবাধিকার ইত্যাদি সৎ গুণ শেখার ইস্কুলের। দেশের ভালো চাইলে দেশের ছেলেদের নারীবিদ্বেষী মোল্লা আর জিহাদি জঙ্গী না বানিয়ে মানুষ বানানোর চেষ্টা করুন।
তসলিমা