তার অগ্রজ। রূপ-সনাতন প্রমুখ ছিলেন স্বাধীন সুলতানি শাসনামলের বিশিষ্ট
রাজকর্মচারী। তারা রাজ সেবায় সে যুগের সুবিধা ভোগী সমাজের অন্তরগত।
উল্লেখ্য, রূপ গোস্বামীর পিতার দেয়া নাম সন্তোষ। চৈতন্যের দেয়া নাম রূপ গোস্বামী।
পারিবারিক
ঐতিহ্য অনুসারে স্থানীয় সংস্কৃত টোলে অধ্যয়ন করেন। আপন মেধা ও বুদ্ধি বলে
স্বাধীন সুলতানের শাসন কার্যের সহযোগী কর্মচারী হওয়ার সুযোগ পান তিনি।
পরবর্তী কালে রূপ সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে ’দবির খাস’
পদবিধারী কর্মচারী ছিলেন। তবে বৈষ্ণব গবেষকেরা তাকে সুলতানের প্রধান আমাত্য
বলে পরিচয় দিয়ে থাকেন। যাহোক, নদীয়ার শ্রী শ্রী চৈতন্যের আবির্ভাব ও তার
বৈষ্ণব ধর্ম প্রচারে রূপ ও তার দাদা সনাতন গোস্বামী ভক্তি ধর্মে নিবেদিত হন। জানা যায়, ১৫১৩ সালে রামকেলি গ্রামে রূপ গোস্বামী শ্রী শ্রী চৈতন্য দেবের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। এখানেই রূপ গোস্বামী চৈতন্যের শিষ্যত্য গ্রহণ করেন।
বৃন্দাবনে অবস্থান কালে রূপ গোস্বামী বৈষ্ণব তত্ত্ব ও ধর্ম নিয়ে সময় অতিবাহিত করেন। ইতোমধ্যে তার নাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। রূপ চৈতন্য দেবের ৬ সহচরের অন্যতম।
রূপ গোস্বামী
৪৩ বছর বয়সে চৈতন্যের আদেশে বৈষ্ণব গ্রন্থ রচনায় মনোনিবেশ করেন। তার রচিত
গ্রন্থ গুলো হলো, ১. হংসদূত ২. উদ্ধব সন্দেশ ৩. দানবেশী কৌমুদি ৪. ভক্তি
রসামৃত সিদ্ধ ৫. উজ্জ্বল নীলমনি ৬. লঘুগনোদ্দশ দীপিকা ৭. গঙ্গাষ্টক ৮.
বিদগ্ধ মধাব প্রভৃতি। আজও সারা বাংলা ও ভারতে রূপ রূপ গোস্বামী এক সুপরিচিত
বৈষ্ণধ কবি। অভনগর উপজেলার প্রেমভাগ গ্রামে রূপ-সনাতন-জীব গোস্বামীর
স্মৃতি বিজড়িত ভিটি, দীঘি ও মন্দির বর্তমান।
তথ্য সূত্র :
বাংলা সাহিত্য যশোরের অবদান
লেখক :
মোঃ শাহাদত আলী আনসারী।
সংগ্রহ :
কবি মহসিন হোসাইন