সুরা- রোহিঙ্গা
( নাফ নদীর তীরে অবতীর্ণ, কাঁঠাল পাতায় নাজিলকৃত)
আয়াত সংখ্যা- ৯
(১) শপথ দস্যু বনহুরের এবং ইরাবতী নদীর। আমি সৃষ্টি করেছি তাদেরকে (রোহিঙ্গা) মুসলমানরূপে। (২) হে নবী
(আপনি) তাদেরকে বলে দিন, আমি বিন্যস্ত করেছি তাদের জন্য সুশোভিত ফুল-ফলের বাগান ও সুপার ডিলাক্স কন্ডোমিনিয়াম হাউজ (অবশ্যই বেহেস্তে), যারা অস্ত্র নিয়ে মিয়ানমারের পুলিশ ও সেনা ছাউনিতে হামলা করে। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ এবং ক্ষমতাবান। (৩) আপনি আরো বলে দিন, আরাকান রাজ্য তাদের (বিশ্বাসীদের) জন্য একটি পরীক্ষা কেন্দ্র। এই পরীক্ষা কেন্দ্র ত্যাগ করে বঙ্গদেশে অনুপ্রবেশকারীরা অবিশ্বাসীরূপে গণ্য হবে। অবিশ্বাসীদের জন্য রয়েছে কঠিন যন্ত্রণা ও অনন্ত শাস্তি। নিশ্চয়ই আল্লাহ পরম দয়ালু ও ক্ষমাশীল। (৫) যে সকল বিশ্বাসীগণ নাফ নদী পাড় হওয়ার লোভ সংবরণ করে জিহাদ করে শাহাদাৎ বরণ করবে আমি তাদের জন্য প্রবাহিত করেছি ভেড়ার দুধের নদী।
(৬) হে নবী (আপনি) বঙ্গদেশের অতি মানবতাবাদী তাতীদের বলে দিন, আমি আল্লাহর ইশারা ব্যতীত কোন কিছুই সংঘটিত হয় না। আমিই বিচারদিনের মালিক। (৭) আমার ইশারাকে অমান্য করে বঙ্গদেশে পলায়নকারী এবং পলায়নকারীকে আশ্রয়দাতা উভয়েই মুনাফেক। (৮) তাদেরকে জানিয়ে দিন, যারা আশ্রয় দেয়ার উসিলায় রোহিঙ্গা নারীদেরকে বিয়ে করে, কিন্তু রোহিঙ্গা পুরুষদের কাছে নিজেদের কন্যা, ভগিনীকে বিয়ে দেয় না তাদের জন্য লানত। শাস্তি স্বরূপ তাদের ইমানদণ্ড ৫০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট তাপে উত্তপ্ত করে হাতুড়ি দিয়ে পেটানো হবে। যেমন করে তাতানো লোহা পিটিয়ে প্রস্তুত করা হয় লাঙ্গলের ফলা। নিশ্চয়ই আল্লাহ ন্যায় বিচারক।
৯ নম্বর আয়াত ছাগলে খেয়ে ফেলেছে।