শ্যালিকা জিগাইলো,
– দুলাভাই, সইত্য কইরা কও, ইসলামে গানবাজনা হারাম কি হারাম না।
– হারাম আবার হারামও না।
– যে কোন একটা কও, এক মুখে দুই কথা অন্তত আমার সাথে না।
– দোষ আসলে আমার না। কথা হইলো, বড় হুজুর এক মুখে খালি দুই কথাই না, মাঝে মাঝে দুই-তিন কথাও বইলা ফেলছিলেন। সেইটা ভিন্ন ইতিহাস। তোমারে দুইটার উদাহরণ দেই,
‘একবার বড় হুজুর এক বিবাহের অনুষ্ঠানে গেলেন। সেইখানে দুই অল্পবয়সী মেয়ে আরবের ঐতিহ্যবাহী বাজনা দফ বাজাইয়া বিবাহের গান গাইতেছিল। তখন বড় হুজুররে দেইখা কেউ কেউ সেই মেয়েদের গান থামাইতে বল্লে বড় হুজুর সেই মেয়েদের দিকে মুচকি হাসিয়া তাহাদের গানবাজনা চালাইয়া যাইতে বল্লেন। এই হইল প্রথম কথা।
এইবার বড় হুজুরের দ্বিতীয় কথা বলি। এক সাহাবী গানবাজনা বিষয়ে ফয়সালা চাইলে তিনি সেই সাহাবীরে জানায়া দিলেন,
আমার উম্মতের মইধ্যে এমন কিছু লোক সৃষ্টি হইবে, যাহারা ব্যভিচার, রেশম, মদ ও বাইদ্যযন্ত্রকে হালাল সাব্যস্ত করিবে।
প্যাচগিখানা বড় হুজুরের এক মুখে ঐ দুই কথা নিয়াই লাগছে। একদল উপরেরটা মানে, আরেকদল নিচেরটা মানে। যারা নিচেরটা মানে তারা আবার উপরেরটা হালকা করার জন্যে একটা বুদ্ধি বাহির করলো, যেহেতু মেয়ে দুইটার বয়স অল্প বলা হইয়াছে সেহেতু অল্পবয়সীদের গানবাজনায় দোষ নাই। কিন্তু বুইড়াগো গানবাজনা করার অধিকার কে দিলো। এইটা নির্ঘাত হারাম।
– তো এই বিষয়ে কোরান কি বলে?
– আল্লাহ পাক বোধহয় গানবাজনা নিয়া এতো মাথা ঘামায়নাই। তাই কোরানে গানবাজনা নিয়া কোন আয়াতও নাজিল হয় নাই। তয় কোরানেরও ফাঁক আছে।
– কেমন ফাঁক।
– কোরানের বহু জায়গায় বড় হুজুরের আদেশ নির্দেশ প্রকৃত অর্থে আল্লাহর আদেশ নির্দেশ হিসেবেই মান্য করতে বলছে। এর ভিন্ন হলে সে মুসলমান থেইকা খারিজ হইয়া যাবে।
– এখন তাহলে আমরা তার কোন হাদিসটা মানবো? এর কি কোন সমাধান নাই?
– অবশ্যই আছে। এই ক্ষেত্রে দুই পক্ষকে যুদ্ধ ঘোষণা করতে হবে। মারামারি পিটাপিটি করে যে দল জিতবে সেই মতবাদটাই টিকে যাবে। হয় দ্বিতীয় হাদিস হয়ে যাবে জাল হাদিস, নয়তো গানবাজনা বিরোধীদের ব্যাখ্যাই ঠিক থাকবে। তালগাছটা আমার জানো তো? মুসলমান মরে তালগাছ নিয়া। এইটা ইতিহাস। এখন তুমি আমার সামনে থেইকা ভাগো, মিয়া খলিফার নতুন ভিডিও নামাইছি। সেইটা দেখবো। বিরক্ত করিও না।
😁😁😁😁😁😁😁😁