কালীপদ বসু (কে,পি
বসু) (১৮৬৫-১৯১৪)
বসু) (১৮৬৫-১৯১৪)
বাংলার বিখ্যাত গণিতবিদ অধ্যাপক কালীপদ
বসু (কে,পি বসু) ১৮৬৫ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার
হরিশংকরপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মহিমা চরণ বসু। কে,পি বসুর শিক্ষা জীবনের সূচনা হয় নিজ
গ্রামের পাঠশালায় মেধাবী শিক্ষক নছিমউদ্দিন মন্ডলের কাছে। কে,পি বসুর গণিতমনস্কতা সৃষ্টিতে তাঁর
ভূমিকা অপরিসীম। তিনি ১৮৯২ সালের দিকে ঢাকা কলেজে গণিত
শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এবং আমৃত্যু ঐ কলেজের অধ্যাপক হিসেবে
কর্মরত ছিলেন। কে,পি বসু স্বগ্রামের মেঘমালা ঘোষকে বিয়ে
করেন। ব্যক্তিগত জীবনে এ মহান গণিতবিদ অত্যন্ত
সদালাপী, অমায়িক ও অনাড়ম্বর ছিলেন।
বসু (কে,পি বসু) ১৮৬৫ সালে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার
হরিশংকরপুর গ্রামে জম্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মহিমা চরণ বসু। কে,পি বসুর শিক্ষা জীবনের সূচনা হয় নিজ
গ্রামের পাঠশালায় মেধাবী শিক্ষক নছিমউদ্দিন মন্ডলের কাছে। কে,পি বসুর গণিতমনস্কতা সৃষ্টিতে তাঁর
ভূমিকা অপরিসীম। তিনি ১৮৯২ সালের দিকে ঢাকা কলেজে গণিত
শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন। এবং আমৃত্যু ঐ কলেজের অধ্যাপক হিসেবে
কর্মরত ছিলেন। কে,পি বসু স্বগ্রামের মেঘমালা ঘোষকে বিয়ে
করেন। ব্যক্তিগত জীবনে এ মহান গণিতবিদ অত্যন্ত
সদালাপী, অমায়িক ও অনাড়ম্বর ছিলেন।
শিক্ষকতা জীবনে তিনি পাঠদানের মধ্যেই
নিজের কর্মকান্ডকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ১৮৮২ সালে হান্টার কমিশনের সুপারিশকৃত
ইউরোপীয় সংস্করণ আধুনিক এলজাবরা‘ বইটির অধ্যয়ন ও অনুশীলনের পথকে সুগম, প্রাঞ্জল ও সহজ করে তোলেন। অসংখ্য নতুন অংক উদ্ভাবন করে এ শাস্ত্রের
কলেবর বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধন করেছেন।অধ্যাপনার সাথে সাথে তিনি এ্যালজাবরা ও
জ্যামিতি শাস্ত্রের উপর গবেষণা চালিয়ে যান। তাঁর ঐকান্তিক সাধনায় এলজাবরা মেড ইজি‘ মডার্ণ জিওমেট্রি‘ ইন্টারমিডিয়েট সলিড জিওমেট্রি‘ প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণীত হয়। প্রকাশনা শিল্পের প্রতিও তার মনোযোগ
আকৃষ্ট হয়। তিনি কলকাতায় কে,পি বসু পাবলিশিং কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন।
নিজের কর্মকান্ডকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ১৮৮২ সালে হান্টার কমিশনের সুপারিশকৃত
ইউরোপীয় সংস্করণ আধুনিক এলজাবরা‘ বইটির অধ্যয়ন ও অনুশীলনের পথকে সুগম, প্রাঞ্জল ও সহজ করে তোলেন। অসংখ্য নতুন অংক উদ্ভাবন করে এ শাস্ত্রের
কলেবর বৃদ্ধি ও উৎকর্ষ সাধন করেছেন।অধ্যাপনার সাথে সাথে তিনি এ্যালজাবরা ও
জ্যামিতি শাস্ত্রের উপর গবেষণা চালিয়ে যান। তাঁর ঐকান্তিক সাধনায় এলজাবরা মেড ইজি‘ মডার্ণ জিওমেট্রি‘ ইন্টারমিডিয়েট সলিড জিওমেট্রি‘ প্রভৃতি গ্রন্থ প্রণীত হয়। প্রকাশনা শিল্পের প্রতিও তার মনোযোগ
আকৃষ্ট হয়। তিনি কলকাতায় কে,পি বসু পাবলিশিং কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন।
মেধা, অধ্যবসায় ও পরিশ্রমের বলে তিনি প্রতিষ্ঠা
অর্জন ও প্রভূত অর্থের মালিক হয়েছিলেন। ১৯০৭ সালে তিনি স্ব-গ্রামে প্রাসাদোপম এক
ভবন নির্মাণ করেন। তিনি ১৯১৪ সালে পার্নিসাস ম্যালেরিয়া
জ্বরে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃতদেহ ঝিনাইদহ এসে পৌঁছালে
ঝিনাইদহের সকল অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। শোকাভিভূত হাজার হাজর মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য
নবগঙ্গা নদীর তীরে উপস্থিতত হয়। ঝিনাইদহ শহরে তার নামে একটি সড়কের নামকরণ
করা হয়েছে।
অর্জন ও প্রভূত অর্থের মালিক হয়েছিলেন। ১৯০৭ সালে তিনি স্ব-গ্রামে প্রাসাদোপম এক
ভবন নির্মাণ করেন। তিনি ১৯১৪ সালে পার্নিসাস ম্যালেরিয়া
জ্বরে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। তাঁর মৃতদেহ ঝিনাইদহ এসে পৌঁছালে
ঝিনাইদহের সকল অফিস আদালত বন্ধ হয়ে যায়। শোকাভিভূত হাজার হাজর মানুষ তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য
নবগঙ্গা নদীর তীরে উপস্থিতত হয়। ঝিনাইদহ শহরে তার নামে একটি সড়কের নামকরণ
করা হয়েছে।