উত্তরবঙ্গের জেলা দিনাজপুর এর বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের জামায়াত নেতার পুত্র কর্তৃক ছাগলকে বলাৎকারের ঘটনা ঘটেছে। এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনা নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।
ঘটনাটির পর থেকেই স্থানীয় ইউপি সদস্য ঘটনাটিকে আড়াল করা এবং আপোসের চেষ্টা করা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনা শনিবার দুপুরের। বীরগঞ্জ উপজেলার পলাশবাড়ি ইউনিয়নের মিলনবাজার এলাকার ভুলশি মিস্ত্রির স্ত্রী পারুলের ছাগলটি বলাৎকারের শিকার হয়। বলাৎকারের ঘটনাটি ঘটায় ভুলশি মিস্ত্রির প্রতিবেশী স্থানীয় জামায়াত নেতা মোফাজ্জল হোসেনের ছেলে শামীম ইসলাম।
শামীম পলাশবাড়ি দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র।
প্রতিবেদক সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে ভুলশি মিস্ত্রির স্ত্রী পারুল বলেন, ‘শনিবার দুপুরে বাড়ির পাশে ঘাস খাওয়ার জন্য বাচ্চাসহ আমার ছাগলটি বেঁধে আসি। দুপুর প্রায় দেড়টার দিকে ছাগলের চিৎকার শুনে ওখানে ছুটে গেলে আমাকে দেখে শামীম ছাগলটি ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ছাগলের যৌনাঙ্গ দিয়ে রক্ত পড়তে দেখা যায়।’
পারুল বলেন, ‘আমি তাৎক্ষণিক শামীমের মাকে গিয়ে ঘটনাটি দেখালে তিনি আমার কথা গ্রাহ্য না করে উল্টো ছাগলের চিকিৎসা করাতে বলেন। পরে আমার স্বামীকে সংবাদ দিলে তিনি এসে ছাগলটিকে নিয়ে গিয়ে স্থানীয় পশু চিকিৎসক রনিকে দেখিয়ে চিকিৎসা করান।’
প্রতিবেদক চিকিৎসক রনির সাথে যোগাযোগ করেন। মোবাইল ফোনে চিকিৎসক রনি জানান, ‘আমি অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও ছাগলের অবস্থা দেখে বলাৎকারের আলামত পাই। তারপর তাৎক্ষণিক রক্ত বন্ধের জন্য চিকিৎসা দেই এবং কিছু ব্যথানাশক ওষুধ লিখে দিই।’
পরে প্রতিবেদক জামায়াত নেতা মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে গেলে শামীমের মা জানান, ‘ভুলশি মিস্ত্রীর স্ত্রী পারুল আমার ছেলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছে।’
শামীম এখন কোথায়- প্রতিবেদক জানতে চাইলে মোফাজ্জলের স্ত্রী বলেন, ‘দুপুর থেকে ছেলেকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাতে পলাশবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জুয়েলুর রহমানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে, তিনি জানান, ‘বিকেলে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে অবস্থানকালীন আমি ঘটনাটি শুনেছি। জামায়াত নেতা মোফাজ্জলের ছেলের এই ন্যাক্কারজনক কাজের কারনে এলাকার বদনাম হয়েছে। আমি ভুলশি মিস্ত্রীকে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছি।’
এ ঘটনায় পলাশবাড়ি ইউপি সদস্য ও ডাঙ্গারহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ক্ষীর মোহন রায় আপোসের চেষ্টা করেছেন। তিনি গভীর রাতে জামায়াত নেতা মোফাজ্জল হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ভুলশি মিস্ত্রীকে নিয়ে এসে ৫ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে মীমাংসার চেষ্টা করেন। সর্বশেষ ঘটনা জানা গেছে, ভুলশি মিস্ত্রী আপোসে রাজি নন। Rezaul Manik