ভারতীয় মুসলিম নারী সংগঠনের নারীরা মোদির ছবিতে প্রতীকী মিষ্টিমুখ করিয়েছেন। তার ছবি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। কারণ ভারতে তিন তালাক বিল পাশ হয়েছে বিজেপি তথা নরেন্দ মোদির দৃঢ় অবস্থানের কারণে।
মুসলিম নারীদের পণ্য কেনাবেচার মত করে মুসলিম পুরুষ মুখ দিয়ে কেবল তিনবার তালাক বললেই সম্পর্ক ছেদ হয়ে যেতো। তখন শূন্য কোটা পূরণ করতে আবার তিনবার কবুল বলেই একটি নারীকে তার সেবাদাসী হিসেবে গ্রহণ করতে পারত। এটিই ইসলামের বিধান।
মুসলিম নারীসহ নারীবাদীদের এই শরীয়া আইনের বিরুদ্ধে লড়াই আজকের নয়। তবে ইসলামের এই শরীয়া বা কুরানিক আইনের পক্ষে স্বাভাবিকভাবেই পুরুষরা বরাবরই ছিলো। কারণ এই আইনের তারা বেনিফিসিয়ারি। মুসলিম সমাজ এখনো খুব গোড়া। বিশেষত অমুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশে মুসলিম সমাজ আরো গোড়া হয়। এইসব দেশে ধর্মীয় লোকজনই মুসলিম কমিউনিটির নেতা হন। ভারতে যেমন দিল্লি জামে মসজিদের ইমামের ফতোয়াতে মুসলিম কমিউনিটি চলে। এরকম করে সমগ্র ভারতে মসজিদ মাদ্রাসার মৌলবীরাই মুসলিমদের নেতা। এইসব নেতারা চরম আকারের সাম্প্রদায়িক ও নারী বিদ্বেষী। ১৪০০ বছর আগের চিন্তা ও বিশ্বাস ও কায়েমী পুরুষতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সামাজিক ব্যাধিতে তারা নিয়োজিত। ভারতের তথাকথিত সেক্যুলার ধর্মনিরপেক্ষবাদী ও বামপন্থিরা এই ব্যাধিদের স্বার্থ রক্ষা করেই রাজনীতি করে এসেছে। মুসলিম নারীরা নিষ্পেষিত হোক বা তিলে তিলে মরতে থাকুক তাতে তাদের কিছু আসে যায় না। কংগ্রেস কিংবা তৃণমূল এই বিলের পক্ষে দাঁড়ায়নি। বামপন্থিরা এই বিলের পক্ষে তাদের সমর্থন দেয়নি। ভারতে তিন তালাক, মুসলিম পুরুষদের একত্রে একাধিক স্ত্রী রাখার শরীয়তি আইনের পক্ষেই এরা লড়াই করবে। মুসলিমদের অন্ধকারাচ্ছনে রেখে, তাদের ধর্মীয় আইনে আটকে রেখে ভোটব্যাংক ধরে রাখার রাজনীতি কার্যত বাতিল হয়েছে। আসছে দিনে কানাডার ট্রুডোর রাজনীতি বাতিল হবে। ইংলেন্ডের উদারবাদীদের মুসলিম তোষণ রাজনীতি বাতিল হবে কেননা গোড়া মুসলিম সমাজে নিপীড়িত ও ততধিক সংখ্যালঘু নারী সমাজ তাদের প্রত্যাখান করবে। এই মুহূর্তে ইংলেন্ডে এমন কোন নেতা আসুক যার ভয়ে টাকনুর উপর প্যান্ট পরা মুমিন ভীত হয়ে পড়ে- আমি নিশ্চিত তাকে স্বাগত জানাবে মুসলিম নারীদের সেই অংশ যারা লড়াই করছে পারিবারিক ধর্মীয় নিপীড়নের বিরুদ্ধে। ডোলান্ড ট্রাম্পের ভয়ে ভীত মুমিনদের ঘরের খবর জানলে দেখা যাবে সাইলেন্স সেসব নারীরা যারা ইসলামের বর্বরতার বিরুদ্ধে নিরবে তাদের বিরোধীতা জারি করে রেখেছে- তারা সবাই ট্রাম্পের মত কাউকে চাইছে যে তাদের স্বামীদের টাইট করতে পারবে। তারা চাইছে আমেরিকাতে বোরখা নিষিদ্ধ হোক। তারা চাইছে পারিবারিক মাফিয়াগিরি বন্ধ হোক। এসব তো ট্রুডো কিংবা নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে হবে না। এই চাওয়া তৈরি করে দিয়েছে লিবারালরা। তারাই সেক্যুলারিজমকে ‘ইসলাম তোষণে’ পর্যবসিত করেছে। বিতর্কিত করেছে ধর্মনিরপেক্ষতাকে। সেই সুযোগ নিচ্ছে ডানপন্থিরা…।