আমরা কমবেশি সবাই জানি। অন্তত “ভারত চাণক্য নীতিতে চলে” বা “ভারতের
পররাষ্ট্রনীতি চাণক্যকে অনুসরণ করে”- এই কথা আমাদের রাজনীতিবিদদের মুখে
অনেকবার শুনেছি। তার নাম নিয়ে অনেক লেখা পড়েছি আমাদের পত্র পত্রিকার
কলামিস্টদের কলামে। তাই এই বিষয়ে আমি খুব বেশী আলোচনায় যাব না। শুধু ওনার
পরিচয় তুলে ধরার জন্য যতটুকু দরকার ততটুকুই বলবো।
চাণক্য ছিলেন একাধারে আমাদের এই উপমহাদেশের একজন নামকরা অর্থনীতি,
রাজনীতি, সমাজনীতি ও কূটনীতির শিক্ষক। অপরদিকে তিনি ছিলেন মৌর্য রাজের
প্রধানমন্ত্রীও। আজ থেকে প্রায় তেইশ শত বছর আগে উনি তার শিক্ষাদান ও
কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছেন এই ভূমিতে। নিজে প্রধানমন্ত্রী হয়েও বসবাস করতেন
শ্মশানে; দেশীয় রাজদের বিদেশীদের হাত থেকে নিজ
ভূমি উদ্ধারে উৎসাহ দিতেন,
নিজে সামনে থেকে লড়তেন।
আবার উনি ছদ্মনামেও পরিচিত ছিলেন; ওনাকে কৌটিল্য বা বিষ্ণুগুপ্ত নামে
ডাকা হয়। আজ আমরা যারা ব্লগে, ফেসবুকে ছদ্মনামে লিখি, উনি তাদেরও গুরু –
এটা ধরে নেওয়াই যায়। কি বলেন? যা উনি শুরু করেছিলেন সেই ২৩ শত বছর আগে আজ
তা আমরা করছি। নিশ্চয় আজকের মত তখনও তার কল্লা খুঁজে বেড়ানো ও তা যথাস্থানে
নামানোর মানুষের অভাব ছিল না?
আমার এই লেখার মূল উদ্দেশ্য ওনাকে প্রোমোট করা না; আমি আসলে তুলে ধরতে
চাই তার সেইসব চিরন্তন কথা গুলোকে যা আজ ২৩ শত বছর পরও সমান প্রাসঙ্গিক ও
সত্য।
চাণক্য নীতি দর্পণ সারাংশ:
১) যে রাজা শত্রুর গতিবিধি সম্পর্কে ধারণা করতে পারে না এবং শুধু অভিযোগ
করে যে তার পিঠে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে, তাকে সিংহাসনচ্যুত করা উচিত।
২) সকল উদ্যোগ নির্ভর করে অর্থের ওপর। সেজন্যে সবচেয়ে অধিক মনোযোগ দেয়া
উচিত খাজাঞ্চিখানার দিকে। তহবিল তসরুপ বা অর্থ আত্মসাতের চল্লিশটি পদ্ধতি
আছে। জিহ্বা’র ডগায় বিষ রেখে যেমন মধুর আস্বাদন করা সম্ভব নয়, তেমনি কোন
রাজ কর্মচারীর পক্ষে রাজার রাজস্বের সামান্য পরিমাণ না খেয়ে ফেলার ঘটনা
অসম্ভব ব্যাপার। জলের নিচে মাছের গতিবিধি যেমন জল পান করে বা পান না করেও
বোঝা সম্ভব নয়, অনুরূপ রাজ কর্মচারীর তহবিল তসরুপও দেখা অসম্ভব। আকাশের
অতি উঁচুতেও পাখির উড্ডয়ন দেখা সম্ভব, কিন্তু রাজ কর্মচারীর গোপন
কার্যকলাপ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া সমভাবে অসম্ভব।”
৩) বিষ থেকে সুধা, নোংরা স্থান থেকে সোনা, নিচ কারো থেকে জ্ঞান এবং নিচু পরিবার থেকে শুভলক্ষণা স্ত্রী – এসব গ্রহণ করা সঙ্গত।
৪) মনের বাসনাকে দূরীভূত করা উচিত নয়। এই বাসনাগুলোকে গানের গুঞ্জনের মতো কাজে লাগানো উচিত।
৫) যারা পরিশ্রমী, তাদের জন্যে কোনকিছুই জয় করা অসাধ্য কিছু নয়। শিক্ষিত
কোন ব্যক্তির জন্যে কোন দেশই বিদেশ নয়। মিষ্টভাষীদের কোন শত্রু নেই।
৬) বিরাট পশুপালের মাঝেও শাবক তার মাকে খুঁজে পায়। অনুরূপ যে কাজ করে অর্থ সবসময় তাকেই অনুসরণ করে।
৭) মন খাঁটি হলে পবিত্র স্থানে গমন অর্থহীন।
কী বুঝলেন? সেই তেইশ শত বছর আগের উপদেশ এগুলো! একটাও আজ ভুল প্রমাণিত হয়েছে? নাকি আরও বেশী প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে আমাদের জীবনে?
এবার আসা যাক তার রচিত বিভিন্ন শ্লোক বা উপদেশ প্রসঙ্গে-
চাণক্য শ্লোক:
১) অতি পরিচয়ে দোষ আর ঢাকা থাকে না।
২) অধমেরা ধন চায়, মধ্যমেরা ধন ও মান চায়। উত্তমেরা শুধু মান চায়। মানই মহতের ধন।
৩) অনেকে চারটি বেদ এবং ধর্মশাস্ত্র অধ্যয়ন করলেও আত্মাকে জানে না, হাতা যেমন রন্ধন-রস জানে না।
৪) অন্তঃসার শূন্যদের উপদেশ দিয়ে কিছু ফল হয় না, মলয়-পর্বতের সংসর্গে বাঁশ চন্দনে পরিণত হয় না।
৫) অবহেলায় কর্মনাশ হয়, যথেচ্ছ ভোজনে কুলনাশ হয়, যাচ্ঞায় সম্মান-নাশ হয়, দারিদ্র্যে বুদ্ধিনাশ হয়।
৬) অভ্যাসহীন বিদ্যা, অজীর্ণে ভোজন, দরিদ্রের সভায় কালক্ষেপ এবং বৃদ্ধের তরুণী ভার্যা বিষতুল্য।
৭) অহংকারের মত শত্রু নেই।
৮) আকাশে উড়ন্ত পাখির গতিও জানা যায়, কিন্তু প্রচ্ছন্নপ্রকৃতি-কর্মীর গতিবিধি জানা সম্ভব নয়।
৯) আদর দেওয়ার অনেক দোষ, শাসন করার অনেক গুণ, তাই পুত্র ও শিষ্যকে শাসন করাই দরকার, আদর দেওয়া নয়।
১০) আপদের নিশ্চিত পথ হল ইন্দ্রিয়গুলির অসংযম, তাদের জয় করা হল সম্পদের পথ, যার যেটি ঈপ্সিত সে সেই পথেই যায়।
১১) আড়ালে কাজের বিঘ্ন ঘটায়, কিন্তু সামনে ভাল কথা বলে, যার উপরে মধু কিন্তু অন্তরে বিষ, তাকে পরিত্যাগ করা উচিত।
১২) ইন্দ্রিয়ের যে অধীন তার চতুরঙ্গ সেনা থাকলেও সে বিনষ্ট হয়।
১৩) উপায়জ্ঞ মানুষের কাছে দুঃসাধ্য কাজও সহজসাধ্য।
১৪) উৎসবে, বিপদে, দুর্ভিক্ষে, শত্রুর সঙ্গে সংগ্রামকালে, রাজদ্বারে এবং শ্মশানে যে সঙ্গে থাকে, সে-ই প্রকৃত বন্ধু।
১৫) ঋণ, অগ্নি ও ব্যাধির শেষ রাখতে নেই, কারণ তারা আবার বেড়ে যেতে পারে।
১৬) একটি দোষ বহু গুণকেও গ্রাস করে।
১৭) একটি কুবৃক্ষের কোটরের আগুন থেকে যেমন সমস্ত বন ভস্মীভূত হয়, তেমনি একটি কুপুত্রের দ্বারাও বংশ দগ্ধ হয়।
১৮) একটিমাত্র পুষ্পিত সুগন্ধ বৃক্ষে যেমন সমস্ত বন সুবাসিত হয়, তেমনি একটি সুপুত্রের দ্বারা সমস্ত কুল ধন্য হয়।
১৯) একশত মূর্খ পুত্রের চেয়ে একটি গুণী পুত্র বরং ভাল। একটি চন্দ্রই অন্ধকার দূর করে, সকল তারা মিলেও তা পারে না।
২০) কর্কশ কথা অগ্নিদাহের চেয়েও ভয়ঙ্কর।
২১) খেয়ে যার হজম হয়, ব্যাধি তার দূরে রয়।
২২) গুণবানকে আশ্রয় দিলে নির্গুণও গুণী হয়।
২৩) গুণহীন মানুষ যদি উচ্চ বংশেও জন্মায় তাতে কিছু আসে যায় না। নীচকুলে
জন্মেও যদি কেউ শাস্ত্রজ্ঞ হয়, তবে দেবতারাও তাঁকে সম্মান করেন।
২৪) গুরু শিষ্যকে যদি একটি অক্ষরও শিক্ষা দেন, তবে পৃথিবীতে এমন কোনও জিনিস নেই, যা দিয়ে সেই শিষ্য গুরুর ঋণ শোধ করতে পারে।
২৫) গৃহে যার মা নেই, স্ত্রী যার দুর্মুখ তার বনে যাওয়াই ভাল, কারণ তার কাছে বন আর গৃহে কোনও তফাৎ নেই।
২৬) চন্দন তরুকে ছেদন করলেও সে সুগন্ধ ত্যাগ করে না, যন্ত্রে ইক্ষু নিপিষ্ট
হলেও মধুরতা ত্যাগ করে না, যে সদ্বংশজাত অবস্থা বিপর্যয়েও সে চরিত্রগুণ
ত্যাগ করে না।
২৭) তিনটি বিষয়ে সন্তোষ বিধেয়: নিজের পত্নীতে, ভোজনে এবং ধনে। কিন্তু অধ্যয়ন, জপ, আর দান এই তিন বিষয়ে যেন কোনও সন্তোষ না থাকে।
২৮) দারিদ্র্য, রোগ, দুঃখ, বন্ধন এবং বিপদ- সব কিছুই মানুষের নিজেরই অপরাধরূপ বৃক্ষের ফল।
২৯) দুর্জনের সংসর্গ ত্যাগ করে সজ্জনের সঙ্গ করবে। অহোরাত্র পুণ্য করবে, সর্বদা নশ্বরতার কথা মনে রাখবে।
৩০) দুর্বলের বল রাজা, শিশুর বল কান্না, মূর্খের বল নীরবতা, চোরের মিথ্যাই বল।
৩১) দুষ্টা স্ত্রী, প্রবঞ্চক বন্ধু, দুর্মুখ ভৃত্য এবং সর্প-গৃহে বাস মৃত্যুর দ্বার, এ-বিষয়ে সংশয় নেই।
৩২) ধর্মের চেয়ে ব্যবহারই বড়।
৩৩) নানাভাবে শিক্ষা পেলেও দুর্জন সাধু হয় না, নিমগাছ যেমন আমূল জলসিক্ত করে কিংবা দুধে ভিজিয়ে রাখলেও কখনও মধুর হয় না।
৩৪) পরস্ত্রীকে যে মায়ের মত দেখে, অন্যের জিনিসকে যে মূল্যহীন মনে করে এবং সকল জীবকে যে নিজের মত মনে করে, সে-ই যথার্থ জ্ঞানী।
৩৫) পাপীরা বিক্ষোভের ভয় করে না।
৩৬) পাঁচ বছর বয়স অবধি পুত্রদের লালন করবে, দশ বছর অবধি তাদের চালনা করবে, ষোল বছরে পড়লে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মত আচরণ করবে।
৩৭) পুত্র যদি হয় গুণবান, পিতামাতার কাছে তা স্বর্গ সমান।
৩৮) পুত্রকে যারা পড়ান না, সেই পিতামাতা তার শত্রু। হাঁসদের মধ্যে বক যেমন শোভা পায় না, সভার মধ্যে সেই মূর্খও তেমনি শোভা পায় না।
৩৯) বইয়ে থাকা বিদ্যা, পরের হাতে থাকা ধন একইরকম। প্রয়োজন কালে তা বিদ্যাই নয়, ধনই নয়।
৪০) বিদ্বান সকল গুণের আধার, অজ্ঞ সকল দোষের আকর। তাই হাজার মূর্খের চেয়ে একজন বিদ্বান অনেক কাম্য।
৪১) বিদ্যাবত্তা ও রাজপদ এ-দুটি কখনও সমান হয় না। রাজা কেবল নিজদেশেই সমাদৃত, বিদ্বান সর্বত্র সমাদৃত।
৪২) বিদ্যা ব্যতীত জীবন ব্যর্থ, কুকুরের লেজ যেমন ব্যর্থ, তা দিয়ে সে গুহ্য-অঙ্গও গোপন করতে পারে না, মশাও তাড়াতে পারে না।
৪৩) বিদ্যাভূষিত হলেও দুর্জনকে ত্যাগ করবে, মণিভূষিত হলেও সাপ কি ভয়ঙ্কর নয়?
৪৪) বিদ্যার চেয়ে বন্ধু নাই, ব্যাধির চেয়ে শত্রু নাই। সন্তানের চেয়ে স্নেহপাত্র নাই, দৈবের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বল নাই।
৪৫) বিনয়ই সকলের ভূষণ।
৪৬) বিষ থেকেও অমৃত আহরণ করা চলে, মলাদি থেকেও স্বর্ণ আহরণ করা যায়,
নীচজাতি থেকেও বিদ্যা আহরণ করা যায়, নীচকুল থেকেও স্ত্রীরত্ন গ্রহণ করা
যায়।
৪৭) ভোগবাসনায় বুদ্ধি আচ্ছন্ন হয়।
৪৮) মিত ভোজনেই স্বাস্থ্যলাভ হয়।
৪৯) যশবানের বিনাশ নেই।
৫০) যারা রূপযৌবনসম্পন্ন এবং উচ্চকুলজাত হয়েও বিদ্যাহীন, তাঁরা সুবাসহীন পলাশ ফুলের মত বেমানান।
৫১) যে অলস, অলব্ধ-লাভ তার হয় না।
৫২) যে গাভী দুধ দেয় না, গর্ভ ধারণও করে না, সে গাভী দিয়ে কী হবে! যে বিদ্বান ও ভক্তিমান নয়, সে পুত্র দিয়ে কী হবে!
৫৩) রাতের ভূষণ চাঁদ, নারীর ভূষণ পতি, পৃথিবীর ভূষণ রাজা, কিন্তু বিদ্যা সবার ভূষণ।
৫৪) শাস্ত্র অনন্ত, বিদ্যাও প্রচুর। সময় অল্প অথচ বিঘ্ন অনেক। তাই যা
সারভূত তারই চর্চা করা উচিত। হাঁস যেমন জল-মিশ্রিত দুধ থেকে শুধু দুধটুকুই
তুলে নেয়, তেমনি।
৫৫) সত্যনিষ্ঠ লোকের অপ্রাপ্য কিছুই নাই।
৫৬) সত্যবাক্য দুর্লভ, হিতকারী-পুত্র দুর্লভ, সমমনস্কা-পত্নী দুর্লভ, প্রিয়স্বজনও তেমনি দুর্লভ।
৫৭) সাপ নিষ্ঠুর খলও নিষ্ঠুর, কিন্তু সাপের চেয়ে খল বেশি নিষ্ঠুর। সাপকে
মন্ত্র বা ওষধি দিয়ে বশ করা যায়, কিন্তু খলকে কে বশ করতে পারে?
৫৮) সুবেশভূষিত মূর্খকে দূর থেকেই দেখতে ভাল, যতক্ষণ সে কথা না বলে ততক্ষণই তার শোভা, কথা বললেই মূর্খতা প্রকাশ পায়।
৫৯) হাতি থেকে একহাজার হাত দূরে, ঘোড়া থেকে একশ হাত দূরে, শৃঙ্গধারী
প্রাণী থেকে দশহাত দূরে থাকবে। অনুরূপ দুর্জনের কাছ থেকেও যথাসম্ভব দূরে
থাকবে।
সক্রেটিস বিশ্বাস করতেন যে, “দেহের সৌন্দর্যের চাইতে চিন্তার সৌন্দর্য
অধিকতর মোহময় ও এর প্রভাব যাদুতুল্য।” অন্যদিকে চাণক্য ছিলেন দক্ষ
পরিকল্পনাবিদ। সিদ্ধান্তে তিনি ছিলেন অটল এবং অর্থহীন আবেগের কোন মূল্য ছিল
না তার কাছে। নিজস্ব পরিকল্পনা উদ্ভাবন ও তা বাস্তবায়নে তিনি ছিলেন কঠোর।
কি বুঝলেন?
স্বীকারোক্তি: এই লেখার অনেক অংশ (শ্লোক ও বানী) আমি
বাংলা ইউকিপিডিয়া থেকে কপি পেস্ট দিলাম যা আমি কখনো করি না। কিন্তু ভেবে
দেখলাম, আমি দেখে লিখলেও একই কথা লিখতে হবে; তাই এটা করলাম। কেউ আরও
বিস্তারিত জানতে চাইলে নিচের লিঙ্কে যেতে পারেন। ধন্যবাদ!
সূত্র: বাংলা ইউকিপিডিয়া।
- অনেক পণ্ডিতের মতে ভারতবর্ষই গণিতশাস্ত্রের উৎপত্তিস…
- ‘0’ মানেই ‘শূন্য’ নয়। ফিরে দেখা আমাদের অবদান।
- চন্দ্রশেখর সীমা,আবিষ্কার : ১৯৩০ খ্রীষ্টাব্দ…বিজ্…
- বিদ্যাদেবী কথা ও ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চারুকলা’র অস…
- উপমহাদেশের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের কথা! (পর্ব-১)…
- উপমহাদেশের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের কথা! (পর্ব-২)…
- উপমহাদেশের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের কথা! (পর্ব-৩)…
- উপমহাদেশের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের কথা! (পর্ব-৪)…
- উপমহাদেশের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের কথা! (পর্ব-৫)…
- উপমহাদেশের বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের কথা! (পর্ব-৬)…
- ভাষাতাত্ত্বিক, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সুনীতি কুমার