ক্লাসরুমে শিক্ষক স্টুডেন্টসদের প্রশ্ন করলোঃ
বীর্য কোথা থেকে নির্গত হয়?
বীর্য কোথা থেকে নির্গত হয়?
মুসলিম স্টুডেন্টঃ মেরুদন্ড ও বুকের হাড়ের মধ্য থেকে বীর্য নির্গত হয় ইহা কুরআন দ্বারা প্রমানিত।
“তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে দ্রুতবেগে নির্গত পানি থেকে।
যা বের হয় মেরুদন্ড ও বুকের হাঁড়ের মধ্য থেকে।”
— সুরা আত তারিক ৮৬:৬, ৮৬:৭
“তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে দ্রুতবেগে নির্গত পানি থেকে।
যা বের হয় মেরুদন্ড ও বুকের হাঁড়ের মধ্য থেকে।”
— সুরা আত তারিক ৮৬:৬, ৮৬:৭
নাস্তিক স্টুডেন্টঃ বীর্য অন্ডকোষ থেকে নির্গত হয় ইহা বিজ্ঞান দ্বারা প্রমাণিত।
মডারেট মুসলিম স্টুডেন্টঃ বীর্য কী পানি দিয়ে তৈরি হয় না কি রক্ত কণা? বীর্য তৈরি হয় রক্ত থেকে কারণ হলো তরল যোজক কলা অর্থাৎ কোষ৷ আর কোষ থেকেই কোষের বিস্তার৷ হৃদপিন্ড থেকে প্রবাহিত নালিকাগুলোর অধিকাংশই কিন্তু পাঁজরের হাড় হয়ে মেরুদন্ডের ভিতর দিয়ে দেহের নিম্নাংশে আসে৷ আর সেখান থেকেই অন্ডকোষ রক্ত, পুষ্টি ইত্যাদি নিয়ে বীর্য তৈরি করে অতপর জীবন্ত বীর্য তরলে ভেসে থাকে মিলনের পর তা প্রবল বেগে বের হয়৷ আপনার ঐ সময় অঙ্গের কম্পন দেখলেই বুঝবেন৷
নাস্তিক স্টুডেন্টঃ এখানে যে বীর্যটা বের হচ্ছে সেই বীর্যটাকেই পানি হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। তাই বীর্য পানি দিয়ে তৈরি হয় নাকি রক্ত কণা দিয়ে তৈরি হয় এটা নিয়ে মাথা না ঘামালেও চলবে। কোন জায়গা থেকে রক্ত প্রবাহিত হয়ে কোথায় গিয়ে কিভাবে প্রসেসিং হয়ে বীর্য তৈরি হয় এখানে সে প্রশ্ন করা হয়নি।প্রশ্ন করা হয়েছে বীর্য কোথা হতে নির্গত হয়। রক্তকণা অবশ্যই বীর্য না, আর বীর্য অবশ্যই মেরুদন্ড ও বুকের হাড় থেকে নির্গত হয় না।
মুসলিম স্টুডেন্টঃ এই কাফের নাস্তিক কি বলতে চায়?
মডারেট মুসলিম স্টুডেন্টঃ এই নাস্তিক বলতে চায় কুরআনের কথা ভুল,, আমাদের আল্লাহ ও মহানবী ভুল কথা বলেছে।
নাস্তিক স্টুডেন্টঃ বিজ্ঞান দ্বারা যেটা পরীক্ষিত, প্রমাণিত আমি সেটাই বলেছি।
মুসলিম স্টুডেন্টঃ কি, তোর এত বড় সাহস?
আমার আল্লাহ নবীর নামে মিথ্যা অপবাদ?
আমার আল্লাহ নবীর কোরআনকে ভুল বলে আমার ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়েছিস তুই নাস্তিক! আজকে তোর রেহাই নাই। এই, আমার চাপাটি কই ?
তোকে কোপানো ফরজ হয়ে গেছে,,, আল্লাহু আকবর।
আমার আল্লাহ নবীর নামে মিথ্যা অপবাদ?
আমার আল্লাহ নবীর কোরআনকে ভুল বলে আমার ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিয়েছিস তুই নাস্তিক! আজকে তোর রেহাই নাই। এই, আমার চাপাটি কই ?
তোকে কোপানো ফরজ হয়ে গেছে,,, আল্লাহু আকবর।
শিক্ষকঃ কি ব্যাপার তাঁকে তোমরা থামাও, সেতো মানুষ হত্যা করে ফেলবে।
মডারেট মুসলিম স্টুডেন্টঃ মানুষ তার জীবনের চাইতেও বেশী ভালোবাসে আল্লাহ ও তার নবীকে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কিছু বললে ত সে কোপাতে চাইবেই।
শিক্ষকঃ তাই বলে ভুল কিছু থাকলেও বলা যাবে না?
মডারেট মুসলিম স্টুডেন্টঃ আমি কিন্তু মানুষ কোপানোকে সমর্থন করি না।
নাস্তিক স্টুডেন্টঃ এটাই মুসলিম এবং মডারেট মুসলিমের প্রকৃষ্ট বৈশিষ্ট্য। মুসলিমরা কিছু না জেনে না বুঝেই কোপাতে যাবে, আর মডারেট মুসলিমরা জেনেশুনেও ত্যানা পেঁচিয়ে সেটাকে সঠিক প্রমাণ করতে চাইবে। কোপানোর সময় বলবে ধর্মানুভূতিতে আঘাত দিলেত মানুষ কোপাতে চাইবেই, আবার বলবে আমি কিন্তু কোপাকুপি সমর্থন করি না।
সংগৃহীত