#মালাউন মানে অভিশপ্ত
যাকে তার শান্তির ধর্ম প্রচারের জন্য সাতাশবার যুদ্ধে জড়াতে হয়, অসংখ্য মানুষকে হত্যা করতে হয় তাকে কি আপনি সৌভাগ্যবান মানুষ বলবেন না দুর্ভাগা?
যাকে তার জীবিকা নির্বাহের জন্য লুটপাট করতে হয়, গনিমতের মালের ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে হয় তাকে কি আপনি সৌভাগ্যবান বলবেন?
নিজের পুত্রবধূকে, ছয় বছরের শিশুকে কিংবা স্বামীকে খুন করে বিধবাকে বিয়ের নামে যে ব্যক্তি ধর্ষণ করতে পারে তাকে কি আপনি সৌভাগ্যবান মানুষ বলবেন না দুর্ভাগা?
যাকে সারাজীবন একেশ্বরবাদের প্রচারণা করে শুধুমাত্র টাকার জন্য হজ্জের মতো একটা চরম পৌত্তলিক প্রথাকে জিইয়ে রাখতে হয়, যাকে নিজের ব্যক্তিগত কামনাবাসনা চরিতার্থ করার জন্য জিব্রাইলের কেচ্ছা বানাতে হয়, সে কি সৌভাগ্যবান?
যাকে তার ধর্ষক ভাইয়ের সঙ্গে নিজ কন্যাকে বিয়ে দিতে হয়, যাকে সমাজের অর্ধেক অংশ নারীদের ঘরে আটকিয়ে রাখার নির্দেশ দিতে হয়, যাকে নারী ধর্ষণের অনুমোদন দিতে হয়, সেই অসুস্থ লোকটা কি সত্যিই সৌভাগ্যবান?
বহুবিবাহ, শিশু ধর্ষণ, শিশু বিবাহ, গনিমতের মাল, গনিমতের মাল হিসেবে নারী ধর্ষণ, সদ্য বিধবা ধর্ষণ, বাঁদী ধর্ষণ, বিবাহের নামে নারী কেনার দেনমোহর, নারী প্রহার,গরুছাগলের মতো নারী বেচাকেনা,দাস ব্যবসা, পুত্রবধূ বিবাহ, শরাবুন তহুরা, অটো ভার্জিন স্বর্গবেশ্যা কিংবা অসংখ্য যুদ্ধ, লুটপাট, ডাকাতি, খুনখারাবি, মানুষকে মাতৃভৃমি থেকে উচ্ছেদ, পেছন থেকে কুপিয়ে খুন ও খুনকরার অব্যাহত নির্দেশ, পৃথিবীর অন্যান্য সব মানুষকে অভিশপ্ত কাফের বলে গালাগাল দিয়ে শত্রু আখ্যায়িত করে চিরস্থায়ী যুদ্ধ ঘোষণা করা এসব নজিরবিহীন অসংখ্য কুৎসিত কর্মকাণ্ড পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ সেই মহাপুরুষের।
সেই সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষটিকেও হত্যা করা হয়েছিল খাদ্যে বিষ প্রয়োগ করে! নির্যাতন থেকে বাঁচতে এক মহিলা তাকে হত্যা করেছিল। তার মৃত্যুর পরপরই ক্ষমতার দ্বন্দ্বে নিহত হয় দশ হাজার মুসলমান। লড়াই হয়েছিল তার পত্নী ও ভাই কাম জামাতার মধ্যে। পরবর্তী খলিফাগণ ছিলেন একে অপরের আত্মীয় এবং প্রত্যেকেই একে অপরের হাতে নিহত হন। খলিফা ওসমান হত্যা করেন মুহাম্মের কন্যা ফাতিমাকেও, যিনি গর্ভবতী ছিলেন।
এসব কি খুব সৌভাগ্যের লক্ষণ?
এরই অনুসারীরা নিজেদের সৌভাগ্যবান বলেন কারণ তারা তার অনুসারী। তারা বলেন, আমরা গর্বিত আমরা তার অনুসারী, আমরা গর্বিত আমরা মুসলমান। আল্লাহ তাদের সর্বশ্রেষ্ঠ জাতির মর্যাদা দিয়েছেন!
সবচেয়ে অন্ধকারে থেকেও তারা বলছে যে তারাই একমাত্র আলোকপ্রাপ্ত। তারাই শ্রেষ্ঠ ধর্মের অনুসারী, তারাই সর্বশ্রেষ্ঠ।
আপনি হাসছেন না কাঁদছেন?
সবচেয়ে অশিক্ষিত, সবচেয়ে দরিদ্র, সবচেয়ে জঙ্গী, সবচেয়ে কুসংস্কারাচ্ছন্ন, সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তু ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠীটি বলছে তারাই নাকি সৌভাগ্যবান!
দুনিয়া জুড়ে ইসলামের অনুসারীরা কী করছে? কী করছে এই জাতি সম্প্রদায়টি? আপনারা জানেন ; ঘৃণা করছে, যুদ্ধ করছে, খুন করছে, সংস্কৃতি গিলে খাচ্ছে, ধর্ষণ করছে, নারীদের পন্য বানাচ্ছে। তাদের প্রধানের সমস্ত রেকর্ড ভেঙ্গে গর্ব করছে তারা। ফলে মরছে, ঘৃণা বাড়াচ্ছে, নিষ্পেষিত হচ্ছে।
তবুও এরা টিকে আছে, কেন? কারণ মানুষ এদের করুণা করে, মানুষ এদের ভালও বাসে! কারণ এরাও তো মানুষ!
তবুও এরা করুণা নেবে, আর আপনাকেই গাল দেবে!
আপনি তাদের আলোর কথা বলবেন, তারা বলবে, আমাদের মতো আলোকিত কে আছে? শৈশব থেকেই এদের বুদ্ধির বিকাশ দেয়া হয় খৎনা করে। এইসব বুদ্ধি প্রতিবন্ধীর দলই নিজেদের অনবরত ঈশ্বরের একমাত্র আশির্বাদপুষ্ট বলছে!
মাত্র দুই বছর আগে আইএস-এর ( ইসলামী রাষ্ট্র) নির্যাতন থেকে বাঁচতে আড়াই’শ নারী একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছিল মশুলে!
এদের জবাব তৈরি, সব ইহুদীদের ষড়যন্ত্র! ইমাম সাহেব মসজিদের ভেতর শিশু ধর্ষণ করে বলছে, আমারে শয়তানে করাইছে!
এসব থাক! দুনিয়াতে তাদের ভয়াবহ এবং কুৎসিত কর্মকাণ্ডের অসংখ্য উদাহরণ আছে। আপনারা সেসব জানেন। আমি বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রতিককালের কয়েকটি ঘটনা আপনাদের স্বরণ করিয়ে দিচ্ছি। এদের ভয়ঙ্করত্ব এবং কুৎসিত মানসিকতা বুঝতে পারবেন সহজে।
১.কয়েকজন মুমিন মুসলমান কর্তৃক একটা মাদ্রাসার বারোটা কোরআনের উপর হাগুমুতো করে হিন্দুদের ফাঁসানোর চেষ্টা।
২.স্বপ্নে আল্লাহর আদেশ পেয়ে মনমনসিংহে নিজ সন্তানকে জবাই করে কোরবানি।
৩.জন্মের পরপর আজান না দেওয়ায় জন্মের এক ঘন্টা পর হাফেজ পিতার দ্বারা নিজ সন্তানকে হাসপাতালের মেঝেতে আছড়িয়ে খুন।
৪.কোরআনের পাতা কেটে তার ভেতর মাদক পাচার। তারা সহীহ মুসলমান।
৫.বাংলাদেশে ইসলামিস্টদের দ্বারা শিশু ও নিজ কন্যাকে ধর্ষণের মাইলফলক অর্জন।
প্রশ্নটা শেষবারের মতো করছি, এরা কি সত্যিই সৌভাগ্যবান?
হ্যাঁ, আপনি না মানলে কি হবে এরা নিজেদের সত্যিই সৌভাগ্যবান মনেকরে। এরা নিজেদের বলে মুসলমান আর অমুসলিমদের বলে কাফের। এরা সম্মিলিতভাবে অমুসলিমদেরকে মালাউন বা অভিশপ্ত বলে গালাগাল দেয়। আত্মতৃপ্তিতে ভোগে। পৃথিবীতে আর কোনো ধর্ম সম্প্রদায় অন্যদের এমন কুৎসিত গালাগাল করে না!
খুবই বেদনাদায়ক, খুবই লজ্জার – এরা তো আমাদের মতোই মানুষ! এরা তো আমাদেরই রক্ত।
এরা জানে না, এরা বুঝে না, এরা মানে না কিন্তু পৃথিবী বুঝে, পৃথিবী জানে, পৃথিবী মানে দুনিয়াজুড়ে এই মুসলমান নামের ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠীটিই হচ্ছে প্রকৃত মালাউন।
– দিয়ার্ষি আরাগ